Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। চাক্ষুষ করবেন মানুষগুলি কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে বেঁচে আছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন এত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কী, যা পূরণ হয়নি। উদয়পুর কনক্লেভ কংগ্রেস নেতাদের তিনদিনের জন্য এক জায়গায় হওয়ার সুযোগ করে দেয়। দেশ আজ যেসব মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, আগামী দিনে সেই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করা গিয়েছে সেখানে। তার পাশাপাশি রায়পুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এআইসিসির অধিবেশন। বস্তুত, সেটি দলের জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণের একটি সংহত এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পেরেছে। সেগুলি ওই রাজ্যে তো বটেই, জাতীয় নির্বাচনেও বিজেপিকে মোকাবিলার পক্ষে হয়েছে সহায়ক।
‘নব সংকল্প অর্থনৈতিক নীতি’ তৈরি করা হয়েছিল উদয়পুরে। গরিব শ্রেণির পাশে দাঁড়ানোর নীতি রায়পুরে ভেবেচিন্তেই নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের ইস্তাহারটি প্রকাশিত হয় ৫ এপ্রিল। এটির নাম দেওয়া হয় ‘ন্যায়পাত্র’। সেখানে ৪৬ পৃষ্ঠা জুড়ে বর্ণিত হয়েছে জনগণের বিশাল অংশের জন্য নস্যাৎ হয়ে যাওয়া ‘ন্যায়বিচার’ প্রদানের নানাদিক। ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি সেখানে গৃহীত হয়েছে বিবিধ অর্থে। তার মধ্যে রয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার, যুবদের জন্য ন্যায়বিচার, মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার, কৃষকদের জন্য ন্যায়বিচার এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচার।
জনগণের বৃহৎ অংশ বৈষম্যের শিকার। দেশের শ্রীবৃদ্ধির কাহিনি, সেটি দ্রুত বা মন্থর যেমনই হোক না কেন, তাতে অংশগ্রহণের ন্যায্য সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। মোদি সরকারের ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে কংগ্রেসের এই ইস্তাহার। এই ইস্তাহার ওই সঙ্গে আর যে মারাত্মক কাজটি করেছে তা হল,  দেশের শাসকের সামনে একটি আয়না ধরেছে। এটি পদক্ষেপের উপযুক্ততা এবং ন্যায়বিচারের (ইকুইটি অ্যান্ড জাস্টিস) সঙ্গে শ্রীবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কংগ্রেসের ইস্তাহারটিকে ২০২৪-এর নির্বাচনের হিরো বা নায়ক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি গোড়ার দিকে কংগ্রেসের ইস্তাহারটিকে উপেক্ষা করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমন একটি নথিকে সংবাদ মাধ্যমও তেমন পাত্তা দেয়নি। এই ইস্তাহারের অনূদিত সংস্করণগুলি পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। 
কংগ্রেসের প্রার্থী এবং প্রচারকরাও গ্রাম, শহর নির্বিশেষে এই নথির নিহিত বার্তা মানুষকে জানাচ্ছেন। তার ফলে কংগ্রেসের ইস্তাহারটি মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।৫ এপ্রিল থেকে ন’দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিজেপি তাদের ইস্তাহার প্রকাশ করে। কেউ তা খেয়ালই করেনি। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ শিরোনামের নথির মাধ্যমে মোদি-পূজার যেসব উপকরণ সাজানো হয়েছে, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও তার প্রশংসা করেননি। বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের মাত্র একসপ্তাহ বাদে, ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ১০২টি আসনের ভোট। ইন্টেলিজেন্সের খবর বিজেপির জন্য স্পষ্টতই খারাপ ছিল। এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, যেসব ভোটার কংগ্রেস এবং তার মিত্রদের সমর্থন করেছেন, তাঁরা ভোট দিয়েছেন ইস্তাহারে দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’র পক্ষে, ঠিক যেমন তাঁরা কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় ‘গ্যারান্টি’র প্রশ্নে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির ‘গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম’ (সংক্ষেপে ‘জিওএটি’ বা ‘গোট’) স্লোগান ফেল করার কারণে ২১ এপ্রিল তিনি সুর পাল্টে ফেলেছেন।
বিজেপি তার সমস্ত নেতা এবং সদস্যদের জন্য যে চিত্রনাট্য তৈরি করেছে তা গোয়েবলসকে গর্বিত করবে: মিথ্যা, আরও মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা; সত্য যদি মিথ্যাকে খণ্ডন করে, সত্যকে উপেক্ষা কর। গত দু’সপ্তাহ যাবৎ চালানো মিথ্যার একটি নমুনা এখানে রইল: মিথ্যা: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ছাপ রয়েছে।
সত্য: অথচ, ৪৬ পৃষ্ঠার একটিতেও ‘মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ইস্তাহারে ‘সংখ্যালঘু’ বলতে ধর্মীয় ও ভাষাগত উভয় সংখ্যালঘুকেই বোঝানো হয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘ভারতের সংবিধানে ভাষাগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবিক ও নাগরিক অধিকারগুলি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এই অধিকারগুলি প্রদানের এবং রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ ইস্তাহারে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের কল্যাণের অনেক কথারই উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু কোথাও কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উল্লেখ নেই।
মিথ্যা: কংগ্রেস নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় ফিরলে শরিয়ত আইন চালু করে দেবে।
সত্য: কিন্তু ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘আমরা পার্সোনাল ল বা ব্যক্তিগত আইনের সংস্কারে উৎসাহ দেব। তবে এই ধরনের সংস্কার অবশ্যই করা হবে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এবং সম্মতিতে।’
মিথ্যা: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মার্কসবাদী এবং মাওবাদী অর্থনৈতিক তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে।
সত্য: ১০ পৃষ্ঠা জুড়ে আলোচিত হয়েছে অর্থনৈতিক প্রসঙ্গগুলি। তার ভূমিকায় কংগ্রেস বলেছে যে, কংগ্রেসের আর্থিক নীতির বিকাশ ঘটেছে বহু বছরের চেষ্টায়। দেশে উদারীকরণের যুগের সূচনা ১৯৯১ সালে এবং কংগ্রেসের হাতে। সেই সুবাদে দেশ পা বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাযুক্ত একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির দিকে। তার ফলে দেশ উপকৃত হয়েছে নানাভাবে। যেমন—বিপুল পরিমাণ সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন ব্যবসা এবং উদ্যোপতি। মাথা তুলেছে একটি সমৃদ্ধ মধ্যবিত্ত শ্রেণি। লক্ষ লক্ষ চাকরির দরজা খুলে গিয়েছে যুবদের সামনে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনও দেখেছি আমরা। লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যের গণ্ডি থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। একটি মুক্ত অর্থনীতির প্রতিই আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। প্রাইভেট সেক্টর বা বেসরকারি ক্ষেত্র অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে নেতত্ব দেবে, তবে তা হয়ে উঠবে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী পাবলিক সেক্টর বা সরকারি ক্ষেত্রের পরিপূরক।’
মিথ্যা: নির্বাচিত হলে কংগ্রেস এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দেবে।
সত্য: অথচ, এই নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস গ্যারান্টি দেয় যে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির জন্য তারা একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করবে। চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,  আর্থিক দিক থেকে দুর্বল শ্রেণির (ইডব্লুএস) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর করা হবে কোনওরকম বৈষম্য ছাড়াই, সেখানে সমস্ত জাতি ও সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত শূন্যপদগুলি সমস্ত ‘ব্যাকলগ’ ধরেই আমরা এক বছরের মধ্যে পূরণ করব।’ এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের উন্নয়নে আরও অনেক প্রতিশ্রুতি রয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে।
মিথ্যা: কংগ্রেস উত্তরাধিকার কর আরোপ করবে।
সত্য: কর ব্যবস্থা এবং কর সংস্কারের ব্যাপারে ইস্তাহারে ১২ দফা আলোচনা রয়েছে। সেখানে কংগ্রেস একটি ‘ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড’ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর প্রতিশ্রুতি রয়েছে—পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল ব্যক্তিগত আয়কর হার এবং ক্যাপ সেস ও সারচার্জের হার ৫ শতাংশ বজায় রাখা। পাস করা হবে জিএসটি ২.০। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) এবং ছোট খুচরো ব্যবসার উপর থেকেও করের বোঝা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরাধিকার কর নিয়ে কোনও কানাঘুষোও তাদের ইস্তাহারে নেই।
নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন। কংগ্রেসের ইস্তাহারের সত্যকে নির্বাচনী বিতর্কে এনে দিতে পেরেছেন তিনিই। পাশাপাশি, বিজেপির ইস্তাহারের কোনও উল্লেখ তাঁর কথায় পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে, কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে এম কে স্ট্যালিনের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারই হল চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আসল নায়ক। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
06th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
একনজরে
পুলিস কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটি। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল। ...

পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...

জ্যাক অলিভল প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান রসময় দাস মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তপতী দাস এবং দুই পুত্র রাজর্ষি দাস ও রীতেশ দাস ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM