শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ডলুতে শ্রমিকদের উচ্ছেদ রুখতে এনজিটির হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন যাদবপুরের তাপস গুহ, কাঁকুরগাছির প্রদীপ রায় এবং নাকতলার বৈদ্যনাথ সেনগুপ্ত। কিন্তু গত ২৫ মার্চ সেই আবেদন নাকচ করে দেয় এনজিটি। জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র এখনও দেওয়া হয়নি, এর প্রক্রিয়া চলছে। তাই এতে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই।’ এনজিটির সেই নির্দেশকেই এদিন তিরস্কার করে সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি, পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই কীভাবে প্রায় একচল্লিশ লক্ষ চায়ের গাছ এবং ছায়া প্রদানকারী বড় গাছ উপড়ে ফেলা হল, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। তারপর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ওই জায়গায় কাজ শুরু করা নিয়ে অসম সরকার আবেদন জানাতে পারবে।’
সোমবার শুনানির সময় অবশ্য মামলাকারীর অভিযোগ খারিজ করার জোর চেষ্টা করেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বলেন, ‘এই মামলার কিছু আবেদনকারী প্রস্তাবিত বিমানবন্দর থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকেন। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই মামলাটি করা হয়েছে।’ পাল্টা জবাব দেন আবেদনকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। বলেন, ‘বড় বড় গাছের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক প্রভাবও বিশ্লেষণ হওয়া জরুরি।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জায়গা খালি করার যে প্রক্রিয়া চলছে তা পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়েই হচ্ছে। এটি ২০০৬ সালের এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইইএ) বিজ্ঞপ্তির সরাসরি লঙ্ঘন।’
এদিনের রায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য তথা শিলচরের বাসিন্দা সুস্মিতা দেব বলেন, ‘কোনও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার জমি চাইলে না করা যাবে না, এটা নিয়ম। পাশাপাশি এটাও নিয়মের মধ্যে রয়েছে যে, জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ এই ঘটনা একবার ঘটে গেলে তা বারবার হবে। মানুষের অধিকারকে খুন করে উন্নয়নের কাজ হতে পারে না।’ প্রতিক্রিয়া জানতে শিলচরের বিদায়ী সাংসদ ডাঃ রাজদ্বীপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। কিন্তু শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন শ্রমিকরা। কারণ, বাগানে আপাতত আর্থমুভারের দাপাদাপি বন্ধ।