Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর নির্বাচনী ভাষণে একের পর এক ছড়িয়ে দিচ্ছেন আরও বিদ্বেষ, আরও হিংসা, আরও মিথ্যাচার। মোদির শাসনকাল মানেই জুমলার এক দশক। এতদিন মিথ্যা প্রচারে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাজিগর, আজ সেই রঙিন প্রচ্ছদ ছিঁড়ে প্রকাশিত চরম সত্য। মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন প্রতিটি মিথ্যাচারকে। ঈশপ কথিত নীল শৃগালের ধরা পড়ে যাওয়ার পরিচিত গল্পই যেন ফের নবরূপে ফিরে এসেছে। 
দুই পর্যায়ে ভোটের পর মোদির পেটোয়া সংস্থারাও আর ভরসা দিতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনও মোদিকে জেতাতে অসহায়। ইডি, সিবিআইকে অস্ত্র করে মোদিজির প্রতিহিংসার চিহ্নগুলি মানুষ বুঝে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছে না। তাই দুই পর্যায়ের ১৯০ আসনের মধ্যে মোদির পোষ্য প্রাইভেট গোয়েন্দারা পঞ্চাশও আশা করছেন না। এর আগের নির্বাচনে এই ১৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি তাদের ব্যাগে পুরেছিল ৯৪টি আসন। মোদি বলেছিলেন, ‘আব কী বার চারশো পার’। সেই স্লোগান এখন অতীতের একটা জীর্ণ স্বপ্নমাত্র। মানুষ বলছেন, ‘আব কী বার, পার্লামেন্ট সে বাহার!’
বিজেপি সবথেকে বেশি ভয় পেয়েছে এবারের দুই পর্যায়ের ভোটের টার্ন আউট দেখে। প্রতিটা রাজ্যে কয়েক শতাংশ করে ভোট কমেছে। এর মধ্যে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু কেন্দ্রে  হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় যখন ভোটদান কমেছে, তখন সেই কেন্দ্রেরই মুসলিম মহল্লায় ঢেলে ভোট হয়েছে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর। সেখানে হিন্দু ও মুসলিমদের শতকরা হার যথাক্রমে ৫৭.৫১ এবং ৪১.৩০ শতাংশ। এই লোকসভা কেন্দ্রের মুসলিম এলাকাগুলিতে ভোটের হার মোটামুটি আগের মতোই আছে। তাই হিন্দু ভোটের আগ্রহ কমে যাওয়া এবং মুসলিম ভোটের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে বিজেপি সিঁদুরে মেঘ হিসাবে দেখছে। এমন ঘটনা বিভিন্ন রাজ্যের অনেকগুলি কেন্দ্রে ঘটেছে। 
বিজেপি নেতৃত্ব বারবার আকুল হয়ে ভাবছে, কেন হিন্দু ভোটাররা আর মোদির ভাবমূর্তিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন না! আসলে প্রত্যেক স্বৈরশাসকই নিজেকে ‘অবতার’ বলে মনে করেন। অনেকটা সত্যজিৎ রায়ের ‘মহাপুরুষ’ ছবির মতো। তিনি সূর্যদেবকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠান। মোদিও এবার নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসের উত্তুঙ্গ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের পিঠে দুর্নীতির ছাপ্পা মেরে জেলে ভরলেই খেলাটা সহজ হয়ে যাবে। তা যে হচ্ছে না, সেটা তিনি সম্যক বুঝতে পেরেছেন। মানুষও বুঝতে পারছেন, মোদির ফেরা মানে সংবিধান বদলের আশঙ্কা। মোদির ফেরা মানে আরও বেশি শক্তি সংগ্রহ করে এক স্বৈরাচারীর প্রত্যাবর্তন, মোদির ফেরা মানে দেশজুড়ে এক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প, মোদির ফেরা মানে দেশে আরও হিংসার বাতাবরণ, মোদির ফেরা মানে দেশের সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যাওয়া, মোদির ফেরা মানে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবসান, মোদির ফেরা মানে পাকিস্তানের মতো ভারত নামক এক মৌলবাদী রাষ্ট্রের জন্ম, মোদির ফেরা মানে আরও কয়েকটি গোধরা। এমনকী অনেকেই ভাবছেন, মোদির ফেরা মানে এটাই হয়তো শেষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের কবরে পোঁতা হতে পারে শেষ পেরেক। তাই মানুষ খুব সাবধানী। তাঁদের কাছে রামনামের চেয়ে ভাতের প্রার্থনা অনেক বেশি কাম্য। হিংসার দাপাদাপির থেকে শান্তি ও সুস্থিতি বেশি কাম্য। তাই একসুরে বাজছে দেশবাসীর মন। এক ব্যর্থ শাসকের খপ্পর থেকে মুক্তি চান দেশের মানুষ। 
কেন এমন হল? তাই নিয়ে গবেষণায় বসেছেন গেরুয়া শিবিরের থিংক ট্যাঙ্করা। কীভাবে আবার দেশবাসীকে মোদি ম্যাজিকে ভোলানো যায়, তাই নিয়ে পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে। দলের নেতারা বুঝতে পারছেন, আজ মোদির শত্রু মোদির ইমেজই। কিন্তু সেকথা বলার ক্ষমতা দলের কারও নেই। এক ইলেকশন বন্ডই মোদির ইমেজকে  চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে। সকলের দিকে যিনি এতদিন আঙুল তুলে ‘চোর চোর’ বলে চেঁচিয়েছেন, তাঁর কাপড়ে লেগে গেল দুর্নীতির কলঙ্ক। অনেক চেষ্টা করেছিলেন সেটা চাপা দেওয়ার। কিন্তু লুটমারির সেই বাস্তব চিত্র দেখে দেশের মানুষ তাঁর প্রতি এক লহমায় সব বিশ্বাস হারিয়েছেন। অভিযোগ, স্বাধীন ভারতের সবথেকে বড় কেলেঙ্কারির পাণ্ডা হলেন মোদি। পার্টির লোকেরাও আর নির্বাচনী প্রচারে বুক বাজিয়ে বলতে পারছেন না, মোদি কোনও দুষ্কর্ম করেননি। তাই বহুদিন পর পুরনো স্লোগান আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, মোদি সরকার চোর হ্যায়’। আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন মোদিও। সমস্ত নির্বাচনী ভাষণে নেই কোনও উন্নয়নের কথা। বিজেপির নির্বাচনী ভাষণ লক্ষ্য করে দেখবেন, শুধু পঞ্চ ম-কার। মোদি, মুসলমান, মঙ্গলসূত্র, মছলি, মুঘল। এই মন্ত্র আউড়ে চারশো পার করার স্বপ্ন বিলাসিতা নয়, হারিকিরি।   
মোদির অন্ধ ভক্তরা তাঁকে না চিনলেও ভালো করে চিনতে পেরেছে আরএসএস। আজ সঙ্গ পরিবারের কাছেও শিরঃপীড়ার কারণ মোদির স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। এতদিন পর্যন্ত বিজেপির সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রক ছিল সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু মোদির আমিত্ব সেসবকে পরোয়া করছে না। মোদির ক্যারিশমার ওপর অটুট ভরসা ছিল আরএসএসের। মোদি নিজেই সেই ভরসা ছিন্ন করেছেন। নিজের স্বভাবদোষে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে বেড়েছে তাঁর দূরত্ব।  একে তো যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে মো-শা জুটির দীর্ঘদিনের মন কষাকষি। তার ওপর রামমন্দির নিয়ে মোদির একগুঁয়ে আধিপত্যবাদ দেশের একশ্রেণির সাধু-সন্ন্যাসী মানতে নারাজ। অসম্পূর্ণ মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে যা হয়েছে,  তা নিয়ে খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চার শঙ্করাচার্যই। তাঁদের অনুগামী অসংখ্য হিন্দু রয়েছেন। তাঁদের কাছে মোদি নন, শঙ্করাচার্যই হিন্দুধর্মের শেষ কথা। রামকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য প্রাণপ্রতিষ্ঠা কর্মসূচি বয়কটের ডাক দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। তারা সেই অনুষ্ঠান নিয়ে বলেছিল, ‘এটা একটা রাজনৈতিক সার্কাস।’ তাই বহু হিন্দুই আজ মোদির হিন্দুত্বকে মানেন না। মোদির রাজনৈতিক হিন্দুত্ব আসলে ক্ষমতা দখলের একটা টোপ।    এসব দেখে আরএসএসও এখন প্রমাদ গুনছে। তারা বুঝতে পেরেছে, একদিন দেশে হিন্দুত্বের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা লাটাইয়ের সুতো ছেড়ে মোদিকে অবাধে উড়তে দিয়ে ভুল করেছিলেন। দলের প্রচারক থেকে তাঁকে ধাপে ধাপে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। একদিন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল বাজপেয়ি এবং আদবানির মধ্যে। আদবানিও যে সবসময় মোদিকে পছন্দ করতেন, তা নয়। গোধরার সেই কলঙ্কিত গণহত্যার পর আদবানি অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এই তালিবানি হিন্দুত্ব আমি মানি না।’ গোধরা কাণ্ডের পর বাজপেয়ি চেয়েছিলেন, রাজধর্ম পালন করতে মোদি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কিন্তু সেদিন আরএসএস মোদির পিছনে দাঁড়িয়েছিল। বাজপেয়ি হিন্দুত্বের ধার ধারতেন না। তিনি ছিলেন সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। আদবানির দায়বদ্ধতা ছিল পার্টির প্রতি বেশি। আর মোদির দায়বদ্ধতা স্বৈরতন্ত্রের কাছে। 
আরএসএস ও মোদির দ্বন্দ্বটা শুরু সেই ২০১৪ সাল থেকেই। বিজেপির জয়ের পর অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘মোদিই ম্যান অব দি ম্যাচ।’ তখন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সেকথাকে খণ্ডন করে বলেছিলেন, ‘এই জয় কোনও একক ব্যক্তির নয়। এটা সামগ্রিক লড়াইয়ের ফল।’ কথাটা নরেন্দ্র মোদির পছন্দ হয়নি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনওদিন মোদি ও ভাগবতের মুখোমুখি একান্ত বৈঠক হয়নি। মোহন ভাগবত চাইলেও মোদি সময় দেননি। মোদি নাগপুরে গেলেও আরএসএস দপ্তরে যাননি। ২০১৪ থেকে আরএসএস-মোদির মধ্যে যোগসূত্র রচনা করে চলেছেন অমিত শাহ। ভাগবত প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন মোদিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। সেটা সম্ভব হয়নি। তাই এখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সঙ্ঘ পরিবার বুঝতে পারছে, মোদিরাজ মানে সঙ্ঘের ক্ষতি। তারা এখন বিকল্প হিসাবে যোগীরাজকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু মোদির শক্তির সঙ্গে এখনই এঁটে ওঠা সম্ভব নয়। তাই সঙ্ঘ চাইছে, মোদি যেন কখনওই সোয়া দুশো পার করতে না পারে। মোদি যেন চাপে থাকেন, সেক্ষেত্রে মো-শা জুটিকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে। এ যেন সেই ইঁদুরের বিড়াল থেকে বাঘ হয়ে ওঠার গল্প! সেই বাঘ একদিন মুনিকেই খেতে গিয়েছিল। আরএসএস তা হতে দেবে না। তাদের কামড়ে খাওয়ার আগেই তারা বলে উঠতে চাইছে, পুনর্মূষিকো ভব। 
সারা দেশও সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, পুনর্মূষিকো ভব। তবে মানুষের ভোটের ইঙ্গিত বলছে, ভাটার টানে আসন সংখ্যা দুশোর আগেই থমকে যাবে। সেই অবস্থায় জোটসঙ্গীরা একছুটে পালাবে। এবারের নির্বাচন দেখবে সেই আকাশচুম্বি ঔদ্ধত্যের পতন।  
01st  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
একনজরে
বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা কিংবা নদীয়ার কল্যাণী বা হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এইসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে ...

পুলিস কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটি। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল। ...

রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...

পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM