একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত জানুয়ারি মাসেই একটি সভা থেকে রাহুল গান্ধীকে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। চোরেরা সবসময়ই চৌকিদারকে সরাতে চায় বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এরপরই গতকাল, শনিবার থেকে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করতে ‘চৌকিদার’ নিয়ে জাতীয় স্তরে নতুন প্রচারের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তিনি নন, দেশের উন্নতির স্বার্থে কাজ করা যে কোনও ব্যক্তিই চৌকিদার। সমর্থকদের উদ্দেশে এই বার্তাও দিয়েছিলেন মোদি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনাদের চৌকিদার নিজের অবস্থানে অনড় এবং দেশের স্বার্থে নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু আমি একা নই। দুর্নীতি, অপরিচ্ছন্নতা, সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার যাঁরা হন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। ভারতের উন্নতির লক্ষ্যে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তাঁরা সকলেই চৌকিদার। আজ প্রত্যেক ভারতবাসী বলছেন #ম্যায়ভিচৌকিদার।’ এরপর এদিন সকালেই ট্যুইটারে নিজের নামের আগে ‘চৌকিদার’ জুড়েছেন মোদি।
রবিবার সকালে তাঁর সমর্থনে নিজেদের নাম বদলে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, জেপি নাড্ডা, হর্ষবর্ধন, ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ বহু নেতা, এমনকী বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-মন্ত্রীরাও। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা কীভাবে দেশের জন্য দায়িত্বপালন করে নিজেরা চৌকিদার হয়ে উঠেছেন, সেই বিজ্ঞাপনী ভিডিও পোস্ট করেছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষ কীভাবে নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখেন, তা নিয়ে তৈরি করা একটি প্রচারের ভিডিও ট্যুইট করেছেন অমিত শাহ। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইট করেছেন, ‘দেশের চৌকিদার হিসেবে আমরা নগদহীন আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ অর্থনীতি গড়তে বদ্ধপরিকর। বহু দশক ধরে দুর্নীতি ও কালো টাকা আমাদের ক্ষতি করেছে। উন্নত ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবার এগুলিকে বন্ধ করার সময় এসেছে। #ম্যায়ভিচৌকিদার #চৌকিদারফিরসে।’ তাঁদের অনেকেরই পোস্ট রিট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, এই ‘চৌকিদার’ প্রচার নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় কম জলঘোলা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকেও পস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিএনবি দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত, ফেরার শিল্পপতি নীরব মোদির নামেও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই নিয়ে ট্যুইটারে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুরু করছেন কংগ্রেস নেতারা।