একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কুলটির সভার পর আসানসোলের সভা থেকেও ফের সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, বিজেপি এক একবার এক একরকম প্রার্থী দেয়। বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে যিনি জিতেছিলেন, অনেক খরচাও করেছিলেন। তারপর পাঁচ বছর আর আসেননি। অনেক কষ্ট করে এখানকার টিকিট ম্যানেজ করেছেন। আগে উনি কোন ওষুধের মাধ্যমে জিতেছিলেন, সেটা জেনে গিয়েছি। উনি এখানেও একই ওষুধ দেবেন। কাউকে এক কাউকে দুই কাউকে আবার পাঁচ। তাঁকে বলে দিন ১৫ লক্ষ চাই। মনে রাখবেন, উনি জিতলে, আবার পাঁচ বছর আসবেন না।
এরপর বিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলে মমতা বলেন, উনি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। সেকারণে শ্রদ্ধা আছে। যখন একজন শিখ অফিসারকে খালিস্তানি বলা হল, উনি কেন প্রতিবাদ করলেন না! একজন মুসলিমকে অপমান করার সময় কেন চুপ থাকলেন। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ওদের পার্টি অফিসের সামনে এতদিন প্রতিবাদ জানাল। খালিস্তানি বলার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাল। আজ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছে? কেন তিনি তখন নীরব ছিলেন। আমাদের এমপিরা যখন একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করার প্রতিবাদ করলেন, তখন একবারও বাংলার হয়ে আওয়াজ তুলেছেন?
এদিন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রশংসা করেন মমতা। তিনি বলেন, অমিতাভ বচ্চন ও শত্রুঘ্ন সিনহাকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি সরকার ওঁদের সম্মান দেয় না। আমি বাংলায় ওঁকে এনেছি। আসানসোল ও বাংলার যখনই দরকার হয়েছে উনি পাশে থেকেছেন। ঈদ বা দুর্গাপুজো, ছট হোক বা শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, প্রতি ক্ষেত্রেই উনি আসানসোলবাসীর পাশে থেকেছেন। মাত্র দু’বছর কাজ করার সময় পেয়েছেন। তাও অনেক কাজ করেছেন। এদিন সভায় শত্রুঘ্ন বলেন, আমার তিনটি বাড়ি, পাটনা, মুম্বই ও আসানসোল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি প্রকল্পই এখন অন্য রাজ্য সরকার নকল করছে। এতেই প্রমাণ হয় প্রশাসক হিসেবে তিনি কতটা সফল। বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া বলেন, আমার একটাই নীতি, মানুষ আপন টাকা পর। যত পারিস মানুষ ধর। প্রার্থী হিসেবে ওঁর গলায় কাঁটা হিসেবে লাগছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী আমার নামে এসব বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী ১৫ লক্ষ টাকা কখন দেবেন বলেছিলেন আমার জানা নেই। উনি আগে নিজের মন্ত্রীদের বাড়ির কোটি কোটি টাকার হিসেব দিন।