একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যায় ওন্দার রতনপুরে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের সমর্থনে পথসভা হয়। সেখানেই অমরনাথবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার টাকা নিয়ে ভুয়ো চাকরি দিয়ে আজ ২৫ হাজার পরিবারকে বরবাদ করে দিল তাদের কী হবে? আবার ৩০ তারিখ আসছে। দেখুন, আরও ৫৯ হাজার লোকের চাকরি যাবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাহলে দেশ গড়ার কাজে এই চোর তৃণমূলকে ভোট দেবেন, নাকি বিজেপিকে ভোট দেবেন, সেটা চিন্তাভাবনা করবেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক, গ্ৰুপ সি এবং গ্ৰুপ ডি পদে চাকরিরত প্রায় ২৬ হাজার জনের প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। তা নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই অবস্থায় অমরনাথবাবু আরও ৫৯ হাজার জনের চাকরি বাতিল হবে বলে আগাম জানানোয় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ওইদিনের সভা থেকে অমরনাথবাবু আরও বলেন, ৪ জুন লোকসভা ভোটের রেজাল্ট বেরলেই ওন্দা বিধানসভায় যতগুলি তৃণমূলের চোর পঞ্চায়েত চলছে, প্রত্যেকটা আমরা দখল করবই করব। কারও হিম্মত নেই আমাদের আটকাবে। আমরা অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষের যেটা সম্মান, মানুষের যেটা ন্যায্য অধিকার, সেগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ।
উল্লেখ্য, ওন্দা বিধানসভায় ১৯টি পঞ্চায়েত রয়েছে। তারমধ্যে পাঁচটি ছাড়া বাকি সব পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। লোকসভা ভোটের পর পঞ্চায়েত দখল নিয়ে অমরনাথবাবু পরে বলেন, তৃণমূল ভোটে হারবে। তখন আর পঞ্চায়েত চালানোর ক্ষমতা থাকবে না তৃণমূলের। এমনিই ছেড়ে দেবে। ওই সভায় বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-ও চাকরি ইস্যুতে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেছেন।
অমরনাথবাবুর পাল্টা বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, ওই বিধায়কের শিক্ষাগত কোনও যোগ্যতা নেই। তিনি পাগলের প্রলাপ বকছেন। ওন্দায় মানুষের যা উৎসাহ দেখেছি, তাতে বিজেপি উড়ে যাবে। ওরা চাকরি দিতে জানে না। চাকরি কেড়ে নিতে জানে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।