ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনের পরই চরম আগ্রাসনের পথ নিয়েছেন বিজেপির হর্তাকর্তারা। উন্নয়ন বা প্রতিশ্রুতি নয়, দেখা যাচ্ছে চেনা মেরুকরণ ও বিদ্বেষের সমীকরণ। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি জনসভায় দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ভাষণ দিচ্ছেন। বিরোধীদের দাবি, গেরুয়া বাহিনীর ভিত নড়ে গিয়েছে বলেই মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। বিভাজনের এই রাজনীতি যে তাদের বাঁচাতে পারবে না, সেটাই বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মমতা। প্রথমে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে আউশগ্রামের জনসভা, আর তারপর বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে গলসি। তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে আসা হাজার হাজার মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে মোদির বিরুদ্ধে তাঁর প্রত্যয়ী বার্তা, ‘আর মাত্র এক মাস রাজত্ব করে নিন। জমিদারি চালিয়ে নিন। এই এক মাসে যাঁদের ঘরে খুশি ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দিন। জেলে ভরে দিন তৃণমূল নেতাদের। মানুষ ভোটযন্ত্রে জবাব দেবে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাস, ২০০ পেরবে না বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ভালো লড়াই করছে। বিজেপি আগের বারের মতো আসন সেখানে পাবে না। বিহারে অর্ধেক আসনও পাবে না বিজেপি। চেন্নাই, তামিলনাড়ুতে শূন্য হবে। কেরলে বাম-কংগ্রেস বেশিরভাগ আসন পাবে। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় বিজেপির ফল খারাপ হবে।’ ভরাডুবি হতে চলেছে বুঝেই এজেন্সিকে অতিসক্রিয় করে তুলেছে বিজেপি—এই অভিযোগ মমতার। শুধু তাই নয়, মমতার দাবি, ‘বিএসএফ, সিআরপিএফকে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তারা বলছে, বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। আর ৫০০ টাকা করে দিয়ে মিছিলে লোক আনছে।’ সাধারণ মানুষকে মমতার আহ্বান, ‘এই একটা মাস সব কষ্ট করব। কিন্তু বিজেপিকে বিদায় দিন।’ মমতার ডাকে সাড়া দিয়েছে জনতাও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লেখা ঘট মাথায় তুলে সভাস্থল থেকে স্লোগান উঠেছে, ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও।’
এই সুরই প্রতিধ্বনিত হয়েছে নবাবের শহর মুর্শিদাবাদের বুকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমায়েতে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে রোড-শো এবং জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তোপ দেগেছেন, ‘প্রথম দফাতেই বিজেপির ঘাড় ভেঙে গিয়েছে।’ আর তাতে সোৎসাহে সমর্থন জানিয়েছেন জনতা। আত্মবিশ্বাসী অভিষেকের ঘোষণা, ‘বিজেপির ১০ জন নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী। তৃণমূলের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। খুলে দিলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। সঠিক সময় দরজা খোলা হবে।’ দিল্লির বুকে গণতন্ত্রকে ফের প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন অভিষেক। আর্জি জানিয়েছেন ইন্ডিয়ার হাত মজবুত করার জন্য। হাত তুলে সমর্থন জানাতে দেরি করেনি মুর্শিদাবাদের মানুষ। ‘খেলা হবে’ স্লোগান উঠেছে বারবার। এই তীব্র গরমেও খেটে খাওয়া মানুষের কণ্ঠস্বর একবারের জন্য শুকিয়ে যায়নি। বর্ধমান, দুর্গাপুর, মুর্শিদাবাদের আওয়াজ এক সুরে পাড়ি দিয়েছে দিল্লির দিকে।