একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ শিক্ষা দপ্তরের কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল এদিন। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, মুখ্যসচিব তথা রাজ্যের অনুমতি না-পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এই ব্যাপারে মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা তলব করেছিল বেঞ্চ। মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, লোকসভা ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় জবাব দিতে পারেননি মুখ্যসচিব। রাজ্যের এই যুক্তি শুনেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচি। তিনি বলেন, ‘তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া মসৃণভাবে চলছে কি না, সেটা দেখা আদালতের কাজ। যদি দেখা যায় সেখানে কোনও বাধা আসছে, তবে তা সরানোর কাজ করতে হবে।’
বিচারপতি বাগচির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অযথা দেরি করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিজের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। তাহলে আমাদের কি এটাই ধরে নিতে হবে, এই অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে রাজ্যের মুখ্যসচিবও বিচার শুরু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?’
বিচারপতির আরও সংযোজন, ‘এই দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে এবং অনেক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যসচিবকে এটা মাথায় রাখতে হবে। তাই বিচারের কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকতে হবে।’
এরপরই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজ্যের অবস্থান ২ মে’র মধ্যে জানাতে হবে। এটা মুখ্যসচিবকে শেষবারের মতোই বলা হচ্ছে। এবারও যদি তিনি তাঁর অবস্থান না জানান, তাহলে আদালতই তাঁর মতো পদক্ষেপ করবে।