সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদে একটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বড় চক্রের খোঁজ মেলে। গ্রেপ্তার হন এক স্কুল শিক্ষক। তদন্তে উঠে আসে এই বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিআইদের একাংশ জড়িত। শিক্ষাদপ্তরের ভিতর যে এর বীজ ছড়িয়েছে, তা অফিসাররা জানতে পারেন। পরে অন্য আরও দু’টি নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া যায়। এর তদন্ত চলাকালীন একটি চিঠি তাঁদের হাতে আসে। দেখা যায়, জিটিএতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি আছে। একই চিঠি জমা পড়ে বিধাননগর থানায়। এর অধীনে স্কুল শিক্ষাদপ্তরের অফিস। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তারা কোনও তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ। এর মাঝে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চ আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, কোথা থেকে এই চিঠি এল, সেটি অনুসন্ধান করতে হবে। একইসঙ্গে উত্তর বিধাননগর থানার কাছে জানতে চায়, কেন এফআইআর করা হয়নি। এর মাঝে শিক্ষাদপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি অভিযোগ করেন। তাতে বিনয় তামাং, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বালু ঘনিষ্ঠ ছাত্র নেতা বুবাই বোস সহ মোট সাতজনের নাম রয়েছে। তার ভিত্তিতে এফআইআর করে বিধাননগর থানা। কিন্তু চিঠি পেয়ে এতদিন কেন বসেছিল, তার কোনও সদর্থক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না থানার আধিকারিকরা। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে সিবিআই তদন্ত আটকাতে রাজ্য কী তড়িঘড়ি এফআইআর করল।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত টিএমসিপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, এটা পুরোপুরি ভোটের আগে হেনস্তা করার জন্য একটা চক্রান্ত। শুনছি এটা ২০১৮ সালের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত। ওই সময় আমি এই পদে ছিলাম না। হাজরা ল কলেজ থেকে মাস্টার ডিগ্রি করে ফল প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলাম। তখনই যদি এত প্রভাবশালী থাকতাম, তাহলে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম না। আমি এখনও পিএইচডি করছি। একইসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটা বড় অংশ এই এফআইআর করানোর পিছনে নিজেদের সংগঠনের একাংশের হাত দেখছে।