পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব দেখার জন্য একটা সময় দেশ-বিদেশে নানা প্রান্ত থেকে বিপুল পর্যটকের সমাগম হতো। কিন্তু করোনা আবহের পর থেকে পরিস্থিতি বদলায়। উপচে পড়া ভিড় এড়াতে বর্তমানে কর্তৃপক্ষ দোলের দিন বসন্ত উৎসব আয়োজন থেকে করেনি। এবছরও যার অন্যথা হল না। ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক করে আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে বসন্ত উৎসব ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হবে বলে বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে দোলের দিন বিশ্বভারতী উদযাপন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে রাজি নয় বোলপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি। বোলপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, রতনপল্লি নিমতলা মাঠ, জামবুনি দুর্গাপুজোর মাঠ, কাছারিপট্টি ম্যানেজারের মাঠ, রবীন্দ্রপল্লি, নুতনপল্লি প্রভৃতি জায়গায় বিশ্বভারতীর আদলে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। যার প্রস্তুতিও শেষ।
কলকাতা থেকে আসা পর্যটক বানানী ঘোষাল ও জয়িতা ঘোষাল বলেন, খোয়াইয়ের হাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে।
তবে গতবারের মতো এবারও সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে যানজট এড়াতে পরিকল্পনামাফিক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস। হাটে কোনওভাবেই যাতে গাড়ি বা টোটো না ঢুকতে পারে তারজন্য হাটের পার্শ্ববর্তী চারদিকে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা বা ইলামবাজার থেকে এলে বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের মাঠে যান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভেদিয়া থেকে এলে বোলপুর শিবতলা হয়ে কাশীপুর অতিক্রম করে কালিসায়রের রাস্তা আসার পর পার্কিং করা যাবে লালবাঁধে। শান্তিনিকেতন রোড আগত কোনও টোটোকেই খোয়াই হাটে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাদের জন্য গোয়ালপাড়ার রাস্তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া লাভপুর, আহমদপুর থেকে এলে পার্কিং করা হয়েছে প্রান্তিকে। একইভাবে নানুর থেকে এলে ত্রিশূলাপট্টি, লালপুল অতিক্রম করে ডাকবাংলো ময়দানে পর্যটক গাড়ি রাখতে পারবেন বলে থানার এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন।
বোলপুর হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, সমস্ত হোটেল পর্যটকে ঠাসা। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় ভাড়াও বেশি। নিজস্ব চিত্র