আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, মামলায় যাতে একপক্ষ কোনও শুনানি না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই ‘ক্যাভিয়েট’ করে রেখেছেন যোগ্য অথচ চাকরি না পাওয়া এসএসসি’র প্রার্থীদের একাংশ। রাজ্য সরকার মামলা ফাইল করার পর দ্রুত শুনানিরও আবেদন জানানো হবে বলেই খবর। সরকার চায়, যেসব যোগ্য প্রার্থী চাকরি করছেন, তাদের চাকরি বহাল থাকুক। এখন দেখার, মামলা ফাইলের পর কবে শুনানির তারিখ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে এসএসসির এই মামলায় ২১ টি আবেদনের সমাধানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে ছ’মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করবে। তাতে কোনও পক্ষ সন্তুষ্ট না হলে, সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা রয়েছে। সেসময় মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির একটি মন্তব্য ছিল উল্লেখযোগ্য। সেটি হল, এভাবে এক লপ্তে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী স্পষ্ট, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে। পুরনো কোনও নথি কার্যকর হবে না।
অপরদিকে মঙ্গলবারও দু’টি জনসভা থেকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের রামপুরহাটের হাসন এবং পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের জনসভায় মমতার সমালোচনার লক্ষ্য ছিল বিজেপি এবং হাইকোর্ট। ভোটের মধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং আদালতের কোপে পড়ার ঝুঁকি নিয়েও তিনি বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। মমতা বলেন, বাংলার সরকার যখন চাকরি দিচ্ছে, তখন কোর্টকে দিয়ে বিজেপি সেই চাকরি কেড়ে নিচ্ছে। বিরোধী দলনেতার নাম না করে তিনি হুশিয়ারি দেন, ‘বোমা ফাটিয়ে চাকরি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।’ বিচারপতিদের নাম না নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই রায়ের ফলে কেউ যদি কোনও ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন, তার দায় কি তাঁরা নেবেন? তাঁদের বাড়ির কোনও সদস্যের চাকরি গেলে তাঁরা কী করতেন? বিচারপতিরা কেন এই ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি মানবিক হতে পারলেন না কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সামাজিক সম্মান নষ্টের প্রসঙ্গের পাশাপাশি, চাকরিহারা অবস্থায় ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের অর্থ ফেরতের প্রায় অসম্ভব দিকটির কথাও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে। তিনি এও বলেন, হাইকোর্ট কোনও ভুল বা সমস্যার কথা থাকলে, তা সরকারকে বলতে পারত। সেটা সংশোধনও করে নেওয়া যেত। তবে যাই হোক, এই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য তিনি লড়াই করে যাবেন।
এদিকে চাকরিহারারা মঙ্গলবার ধর্মতলায় অবস্থান করে একটি মঞ্চ গঠনের ডাক দিয়েছেন। তাঁরাও নিজেদের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। অবস্থান থেকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। চাকরিহারাদের বক্তব্য, তাঁদের ওএমআর শিটের যে কপি এসএসসি ওয়েবসাইটে দিয়েছিল, তা তাঁরা ডিআই অফিসে দেখিয়েছিলেন। তাই তথ্য না থাকার যে কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। একটি প্রতিনিধিদল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আসেন।