আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
এই লেকের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কেএমডিএ। তারা জানাচ্ছে, প্রতি বছরই গরমে কমবেশি জলস্তর নেমে যায়। এবারও প্রায় ১৮ ইঞ্চি অর্থাৎ দেড় থেকে দু’ফুট নেমে গিয়েছে জলস্তর। সরোবরের গভীরতা বাড়াতে গত বছরও মাটি কাটার কাজ হয়েছে। তবে পরিবেশ কর্মী এবং প্রাতর্ভ্রমণকারীদের দাবি, গত ২৫ বছরে এখানকার জলস্তর কখনও এতটা নীচে নামেনি।
এই অবস্থায় দ্রুত ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত ১০২ বছরের প্রাচীন এই জলাশয়। মোট ১৯০ একর এলাকার মধ্যে ৯০ একরজুড়ে রয়েছে সরোবর। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, ‘এই লেক শুকিয়ে গেলে দক্ষিণ কলকাতায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা বহুবার লেকের গভীরতা বাড়াতে পলি তোলার কথা বলেছি। নাম কা ওয়াস্তে কিছু কাজ হচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ড্রেজিং করতে হবে। কেএমডিএ যা-ই বলুক না কেন, আদপে দেখা যাচ্ছে লেকের ধারে ধারে জলের গভীরতা এক ফুটও নেই। যাঁরা নৌকা বাইচ করেন, তাঁরা বলছেন, সরোবরের মাঝ বরাবর জলের গভীরতা খুব বেশি বলে পাঁচ থেকে ছ’ফুট। যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। একটি জাতীয় সরোবরের গভীরতা অন্তত ১৫ ফুট থাকা উচিত। রবীন্দ্র সরোবরের গভীরতা ছিল ২০ ফুট, যা দিন দিন এখন কমছে।’
প্রাতর্ভ্রমণকারী নিখিল ঘোষের বক্তব্য, ‘প্রতি বছরই গরমের সময় জল শুকিয়ে যায়। কিন্তু এবার লেকের ধার বরাবর কয়েকটি জায়গায় যেভাবে জল শুকিয়ে গিয়েছে, তাতে তলার মাটি দেখা যাচ্ছে। তাজ্জব হয়ে গিয়েছি এটা দেখে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’ অনেকে আবার কেএমডিএর বিরুদ্ধে সরোবর নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন। কেএমডিএ জানিয়েছে, লেকে জলের গভীরতা নিয়মিত মাপা হচ্ছে। প্রতি বছর গরমে এই পরিস্থিতি হয়। বৃষ্টি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, জলস্তর খানিকটা বাড়বে। ফাইল চিত্র