আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
আরামবাগ হাইস্কুলের জোড়া সাফল্য নজির গড়েছে। ফলপ্রকাশের পরেই দুই ছাত্রের বাড়াতি উৎসবের চেহারা নেয়। প্রতিবেশীরা শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমান। স্কুলের শিক্ষকরা দুই ছাত্রের ভালো ফলের প্রত্যাশা করেছিলেন। প্রথমজন মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় দশম স্থান পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়জন একাদশ স্থানে ছিলেন। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় শিখর ছোঁয়ার কৃতিত্ব। উচ্চ মাধ্যমিকে অবশ্য আরামবাগ শহরের দুই ছাত্রই মেধা তালিকায় কৃতিত্বের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন। সপ্তম স্থান অধিকারী মহম্মদ সাহিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৪৯০ নম্বর পেয়েছেন। সোমশুভ্রর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯।
মহম্মদ সাহিদ বলেন, মাধ্যমিককে মেধাতালিকায় ছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিককেও থাকব আশা করেছিলাম। প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় ভালো লাগছে। অঙ্ক, বায়োলজি ও রসায়নে আমি ৯৯, ইংরেজিতে ৯৬ ও বাংলায় ৯৭ নম্বর পেয়েছি। এই সাফল্যের পিছনে বাবা, মা ও দিদি ও স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। সদ্য নিট পরীক্ষা দিয়েছি। চিকিৎসক হতে চাই।
মহম্মদ সাহিদের বাবা মহম্মদ খায়রুল আলম ভেটেরিনারি চিকিৎসক। তিনি বলেন, ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। মাধ্যমিকের পর ও পড়াশোনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। মন দিয়ে পড়াশোনা করে গিয়েছে। তাই এই সাফল্য এসেছে। মহম্মদ সাহিদের মা সালেমা খাতুন বলেন, মাধ্যমিকে ও ভালো ফল করেছিল। উচ্চমাধ্যমিকেও মেধাতালিকায় থাকায় ভালো লাগছে।
অষ্টম স্থানাধিকারী সোমশুভ্র বলেন, মাধ্যমিকে অল্পের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পাইনি। সেই জেদই ভালো ফল করতে সাহায্য করেছে। অষ্টম স্থান অধিকার করায় খুবই ভালো লাগছে। সোমশুভ্র অঙ্কে ১০০, বায়োলজিতে ৯৫, রসায়নে ৯৯, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৭ পেয়েছেন। তিনিও চিকিৎসক হতে চান। নিট পরীক্ষা দিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে ও দেখতে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর প্রিয় খেলোয়াড় বিরাট কোহলি। সোমশুভ্রর বাবা গোপীনাথ কর্মকার পেশায় শিক্ষক। তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ছেলে জায়গা করে নিয়েছে। খুব ভালো লাগছে। এই সাফল্যের পিছনে স্কুলের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, দুই ছাত্রকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল। ওরা প্রত্যাশা পূরণ করেছে। স্কুলের এই জোড়া সাফল্যে আমরা উচ্ছ্বসিত।
মহম্মদ সাহিদ (বাঁদিকে)। সোমশুভ্র কর্মকার (ডানদিকে)। নিজস্ব চিত্র