আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
এনসিবির কাছে খবর ছিল, নেদারল্যান্ডস থেকে ডাকযোগে মাদক আসবে কলকাতার ফরেন পোস্ট অফিসে। তা পৌঁছে যাবে মিজোরামে। মাদক শহরে পৌঁছনো মাত্রই ডাকঘরের তরফে জানানো হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। তদন্তকারীরা ওই প্যাকেট খোলার সময় সন্দেহ করেন, মাদক জাতীয় কিছু লুকনো হয়েছে। বিশেষ কিট দিয়ে পরীক্ষার পর জানা যায়, সেগুলি অ্যমফেটামাইন ট্যাবলেট। বাজেয়াপ্ত করা হয় দু’কেজির বেশি নিষিদ্ধ মাদক। যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা পার্সেলের উপর ওই নার্সিং ছাত্রীর নাম ও ঠিকানা ছিল।
অফিসাররা খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, এই তরুণী মিজোরামে একটি কলেজ থেকে নার্সিংয়ে পিজি করছে। তার এক তুতো বোন কেনিয়া থেকে মাদক নিয়ে এসে গতবছর দিল্লিতে ধরা পড়ে। এখন সে কারাগারে বন্দি। এনসিবির তদন্তে উঠে আসে, তুতো বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই ছাত্রীর। নিয়মিত মেসেজ আদানপ্রদান হতো। সোমবার মিজোরামের ওই তরুণীকে কলকাতা অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। কেন তার নামে পার্সেলে এসেছিল, এই নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ওই নার্সিং ছাত্রী। তার মোবাইলের কল ডিটেইলস ও মেসেজ পরীক্ষা করতেই তদন্তকারীরা দেখেন, তার সঙ্গে কেনিয়া ও নেদারল্যান্ডসের মাদক কারবারিদের নিয়মিত কথা হতো। মেসেজে আদানপ্রাদান চলত বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে। ওই মিজো তরুণী চ্যাটের সময় বিভিন্ন মাদক অর্ডার করত। সেইমতো পার্সেল এসে পৌঁছত কলকাতার ডাক অফিসে। এররপর এজেন্ট মারফত তা পৌঁছে যেতো ওই তরুণীর কাছে। উদ্ধার হওয়া অ্যামেফটামাইন তরুণীর নির্দেশমতোই ডাকযোগে নেদারল্যান্ডস থেকে কলকাতায় এসেছিল। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জেরায় সে তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তুতো বোনের হাত ধরে সে বেআইনি মাদকের কারবারে নামে। বোন দিল্লিতে থাকাকালীন তাকে মাদক পাঠাত। সে এই মাদক পৌঁছে দিত এজেন্টদের কাছে। তুতো বোনের সঙ্গে কেনিয়ার এক মাদক কারবারির আলাপ হয়। বোন কেনিয়া গিয়ে পাকাপাকিভাবে মাদক কারবার শুরু করে। ওই বোনই নার্সিংয়ের ছাত্রীকে কেনিয়া নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বোন. জেলে যাবার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ মিজো তরুণী নিজের হাতে রেখেছিল।