আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
সমাজে আজকাল অনেকেই ভ্রু কুঁচকে বলেন, বাংলা মিডিয়াম? ইংরেজিটা তার মানে খুবই দুর্বল। স্কুল জীবনে এই কথা একাধিকবার শুনতে হয়েছে সুকৃতীকে। কিন্তু নিজে বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়লেও ইংরেজি নিয়ে আড়ষ্ঠতা নেই তো তাঁর! তাই বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়াশোনা করেও যে ভালো ফল করা যায় এবং ইংরেজি নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করা যায়, তা দেখিয়ে দিতে চান তিনি। এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর নিজের এই লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন দশম স্থানাধিকারী ছাত্রী।
সুকৃতির বাবা পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং মা গৃহবধূ। মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে মেয়েকে নিয়ে উচ্চাশা রয়েছে তাঁদের। তবে কোনও কিছুই মেয়ের উপর চাপিয়ে দিতে চান না তাঁরা। মেধা তালিকায় মেয়ের নাম শুনেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন বাবা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সকলেই খুব খুশি। ওর ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক, এটাই চাই। তবে ওর যেটা ভালো লাগে, তা নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাক। মেয়ের সাফল্যের পিছনে স্কুল শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য’।
প্রসঙ্গত, সাঁকরাইল অভয়চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী সুকৃতি। উচ্চমাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক লক্ষ্যভেদ হয়েছে। মুডের উপর নির্ভর করেই বরাবর পড়াশোনা করেছি। কখনও এক ঘণ্টা, কখনও আবার ১০ ঘণ্টা টানা পড়েছি। নির্দিষ্ট রুটিন কোনওকালেই ছিল না। বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে ইংরেজিতে পোক্ত হওয়া যায় না, এই মিথ ভাঙাই আমার লক্ষ্য’। তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুকৃতীর এই সাফল্য স্কুলের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীকে অনুপ্রাণিত করবে। ও যে লক্ষ্য নিয়ে চলতে চায় বা যে প্রচলিত মিথ ভাঙতে চায়, তা গর্বের। -নিজস্ব চিত্র