পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের ঝুলিতে রাখতে এই গ্রেটার নেতাকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত করেছে বিজেপি। মনোনয়নপত্রের হলফনামায় তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালে সরুপেটা ইংলিশ হাই স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছেন। কিন্তু জ্ঞানত এই নামে কোনও স্কুল খুঁজে না পাওয়ায়, অসমের শিক্ষাদপ্তরে আরটিআই আইনে আবেদন জানান ধুবরী আইন মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আইনজীবী উদয়রঞ্জন রায় প্রধানী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিরেক্টর অব সেকেন্ডারি এডুকেশন, অসম গত বছর নভেম্বর মাসেই জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে এই নামে কোনও স্কুল নেই। সুতরাং নগেন্দ্র রায়ের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এদিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে উদয়রঞ্জনবাবু বলেন, ‘অসমের বরপেটা জেলার সরুপেটা এলাকায় একটি স্কুল রয়েছে। সেটির নাম সরুপেটা হাই স্কুল। কিন্তু সরুপেটা ইংলিশ হাই স্কুল নামে কোনও বিদ্যালয় নেই। এই নামে কোনও স্কুল খুঁজে না পাওয়ায় আমি এব্যাপারে তথ্য জানার অধিকার আইনে অসম শিক্ষাদপ্তরের দ্বারস্থ হই। তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় নগেন রায় রাজ্যসভার মনোনয়নপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছে।’
অনন্ত মহারাজ বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ায় উদয়রঞ্জনবাবুর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্ভবত ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে বঙ্গাইগাঁওয়ের ওই সরকারি তেল কোম্পানিতে চাকরি জুটিয়ে ছিলেন গ্রেটার নেতা। এর আগেও নগেন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগের খবরও উদয়রঞ্জনবাবুই প্রকাশ্যে এনেছিলেন। বর্তমানে চিরাং জেলা আদালতে সেই মামলার বিচার চলছে। বিচারক ঘটনায় পূর্ণ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। এবার রাজ্যসভার মনোনয়নে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ‘নগেন রায় ভাওতা এবং মিথ্যা কথা বলে সহজ সরল রাজবংশীদের ঠকিয়ে যাচ্ছে তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল।’ ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক রায় বলেন, ‘এই বিষয়ে নগেন রায়ই ভালো বলতে পারবেন। একটা সময় এ রকম অনেক স্কুল থাকলেও পরবর্তীতে সেগুলি উঠে গিয়েছে। তাই না জেনে মন্তব্য করব না।’ কোচবিচার জেলার বিজেপি সভাপতি সুকুমার রাও বিষয়টিকে নগেন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে অনন্ত মহারাজের সমালোচনায় সরব হন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তিনি বলেন, ‘ওঁর নাম ছিল উপেন। পরে হয় নগেন। এখন অনন্ত মহারাজ। যাঁর নাম নিয়ে এত সমস্যা, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে।’