পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আশালতা ডাকুয়া বলেন, ওই কার্ড থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না বলে জানানো হয়েছিল। পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর আশ্বস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে কার্ডের গুরুত্ব নেই। তাহলে আমাদের কেন মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বুঝতে পারেনি। আর এক বাসিন্দা বলেন, ২০১৯ সালের শেষদিকে বিজেপির সাংসদ কার্ড বিলি করেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অনেককেই এই কার্ড দেওয়া হয়। অনেকেই তা পেয়ে বিজেপির দিকে ঢলেছিল। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে সবই ভাঁওতা ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত আরোপ করায় মতুয়ারা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। কয়েকদিন আগে জামালপুরে মমতাবালা ঠাকুর প্রতিবাদ সভা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন। শনিবার কাটোয়ায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় মতুয়াদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পূর্বস্থলী থেকে তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন অনিমা সরকার। তিনি বলেন, বিজেপি প্রথমে বিনা শর্তেই নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করতে চাইছে। কেউ ওদের আর বিশ্বাস করবে না। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি সুপ্রভাত গাইন বলেন, বিনা শর্তে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের আন্দোলন চলছে। যেসব নথি জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তা অনেকের কাছেই নেই।
তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, বিজেপি যতই চেষ্টা করুক না কেন ওরা এনআরসি চালু করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার পাশে রয়েছেন। শনিবার কাটোয়ার সভা থেকে অভিষেক বলেন, সিএএ বিজেপির জুমলা। কেউ ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। যদিও বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, তৃণমূল মিথ্যাচার করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু মানুষ সব বোঝে। কেউ ওদের কথা বিশ্বাস করবে না।
মতুয়ারা বলছেন, নাগরিকত্বর টোপ দিয়ে বিজেপি একাধিকবার ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল। কার্ড বিলি করে তারা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভোট পেয়েছে। কিন্তু এবার তাদের কোনও আশ্বাসই কাজে আসবে না। বিজেপি সাংসদের দেওয়া সেই কার্ড এখন বুমেরাং হয়ে গিয়েছে।