পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনওভাবেই যাতে কোথাও ৬৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দমাত্রা না ছাড়ায় সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংড়ি, বিশেষজ্ঞ সদস্য সত্যয়ন সিং গর্বয়াল এবং শৈবাল দাশগুপ্তর বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য কতটা কাজ করল, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় পরিবেশ আদালতকে পাঠাতে হবে। তিন মাস অন্তর এই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যের রাজধানী কলকাতা এবং তারই প্রায় জোড়া শহর হাওড়ায় শব্দ দূষণের মাত্রা লাগাম ছাড়া হয়ে যায় বলে অভিযোগ করে মামলা করেছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। পুলিস এবং প্রতিরক্ষাক্ষেত্র বাদ দিয়ে পুজো, পার্বন, রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে তারস্বরে মাইকের ব্যবহার বন্ধেরও আর্জি জানান তিনি। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় শব্দ মাত্রা বেঁধে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতকারকদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলেও সওয়াল করেন। কয়েকদিন আগেই পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত মামলায় কার্যত নজিরবিহীনভাবে দিল্লিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে সশরীরে হাজির হতে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।
একইভাবে শব্দ দূষণ মামলার শুনানিতেও ফের মুখ্যসচিবের প্রসঙ্গ টানেন বিচারপতি এস পি ওয়াংড়ি। পরিবেশ আদালতের পূর্ব ভারতের বেঞ্চ কলকাতায় হাজির ছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিকাশ করগুপ্ত। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হয়েছে। তবে আবেদনকারী সুভাষ দত্ত নিজে সওয়াল করতে দিল্লিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানির গোড়াতেই বিচারপতি ওয়াংড়ি বলেন, হচ্ছেটা কী? বার বার বলা সত্ত্বেও কেন তা কার্যকর করছে না পশ্চিমবঙ্গ? এবার তাহলে ফের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাব।
শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দেয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ২০০৪ সালে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল, তা পালন করতেই হবে। অর্থাৎ কোনওভাবেই যাতে শব্দমাত্রা ৬৫ ডেসিবেল না ছাড়ায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দায়িত্ব নিয়ে শব্দ দূষণ রুখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। পুলিসের ডিজিকে বলা হয়েছে, এসপি অথবা ডিএসপি পদমর্যাদার কাউকে নিত্য নজরদারির দায়িত্ব দিতে হবে। তারাই দেখবে শব্দমাত্রা ছাড়াচ্ছে কি না। পাশাপাশি জনসচেতনা বাড়ানো এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য ২৪ ঘন্টার একটি হেল্প লাইন খুলতে হবে। তৈরি করতে হবে বিশেষ ওয়েবসাইট। আদালতের নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জানিয়ে দিয়েছে এনজিটি।