বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের একাধিক সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশের এক নম্বর ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র মুম্বইয়ের টাটায় সবশুদ্ধ ৪৩ হাজার ৪৬১ জন রোগীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রোগীই ছিলেন ৫৬১২ জন। অর্থাৎ টাটার প্রায় ১৩ শতাংশ (১২.৯১) রোগীই বাংলার। অন্যভাবে বললে, প্রতি আট জন রোগীর মধ্যে একজনই ছিলেন বাংলার।
বাংলায় ফ্রি মেডিসিন পরিষেবা জোরকদমে চলা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে চিকিৎসায় রাজ্যছুট মুম্বইয়ের টাটায় যাওয়া রোগীর সংখ্যা আরও বেড়েছে। ২০১৭ সালে ছিল ৫৬১২। ১৮’তে ৬১৪৬ জন। আর সারা দেশ থেকে এখানে আসা রোগী হিসেবে, ২০১৮ সালে মোট নথিভুক্ত হন ৪৪ হাজার ৫১৬ জন রোগী। বাংলার রোগী ছিলেন ৬১৪৬ জন। শতাংশের বিচারে ১৭ সালের থেকে কমবেশি আরও এক শতাংশ বেশি— প্রায় ১৪ শতাংশ (১৩.৮)। আটজনের জায়গায় সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী, প্রতি সাতজন টাটার রোগীদের মধ্যে একজনই এখন আসছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে।
সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের বাংলা থেকে এখানে আসা রোগীদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৭৬৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ রোগী ২৭৮৫ জন এবং মহিলা রোগী ছিলেন ১৯৮৪ জন। ১৮’তে মোট ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৫২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ রোগী ছিলেন ৩০৫১ জন এবং মহিলা রোগী ২১৭৩ জন।
২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে, দেশের এক নম্বর ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্রেও সংখ্যা বাড়ছে মুখগহ্বরের ক্যান্সারের রোগীদের। বাংলা থেকে আসা রোগীদের মধ্যে সে বছর প্রায় নয় শতাংশ (৮.৯) রোগী ভুগছিলেন মুখের ক্যান্সারে। ৪৭৬৯ জনের মধ্যে ৪২৮ জন। তার মধ্যে আবার পুরুষ মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি মহিলাদের তুলনায়। পুরুষ ৩৩২ জন। মহিলা ৯৬ জন। অন্যদিকে মুখগহ্বর বাদ দিয়ে অন্যান্য সব ধরনের ক্যান্সার রোগী সে বছর ছিল ৪৩৪১ জন। পুরুষ ২৪৫৩ জন, মহিলা ১৮৮৮ জন।