একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এবার নতুন আরও একটি নির্দেশিকা এসেছে জেলায় জেলায়। তাতে বলা হয়েছে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করবে। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে বেসরকারি স্কুলের নাম পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার ওই বেসরকারি স্কুলের নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দিলে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ওই স্কুলকে। এরপর ওই বেসরকারি স্কুলের সকল ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবে। এতদিন বেসরকারি স্কুলের মেয়েরা কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিল। এবার থেকে তারাও কন্যাশ্রী পাবে। এতে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে বন্দিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কৃত হয়েছেন এজন্য। এবার থেকে বেসরকারি স্কুলের মেয়েরাও কন্যাশ্রী পাবে।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্প সমাজিক ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। আগে নাবালিকা বিয়ের হার ছিল বেশি। আইন করেও তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলি মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিতেন। কারণ মেয়েদের বয়স বাড়লেই পণের বোঝা বাড়ে। পাত্র জোগাড়ে হিমশিম খান বাবা মা’রা। কন্যাশ্রী প্রকল্প আসার পর বহু গরিব বাবা মা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দিচ্ছেন না। কারণ ১৮ বছর বয়স হলেই মেয়ে ২৫ হাজার টাকা পাবে, একারণে তাঁরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে। গ্রামীণ এলাকার মেয়েরা সপ্তম, অষ্টম বা দশম শ্রেণীর পরেই পড়াশোনা ছেড়ে দিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প আসার পর মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী হয়েছে। কে ৩ চালু হওয়ার পর কলেজে পড়ার হারও বেড়েছে মেয়েদের। কে ১ প্রকল্পে অষ্টম শ্রেণীর পডুয়া ১৩ বছর বয়স হলে বছরে এক হাজার টাকা পায়। কে ২ প্রকল্পে ১৮ বছর বয়স হলেই ছাত্রীরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায়। এবং কে ৩ প্রকল্পে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা ও কলা বিভাগের ছাত্রীরা প্রতি মাসে ২০০০ টাকা পান।-ফাইল চিত্র