একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এবারের প্রচারপর্বে দেখা গিয়েছে, দেওয়াল লিখনে কম গুরুত্ব দিয়ে বেশিরভাগ প্রার্থীই ফ্লেক্স, হোর্ডিংয়ে প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তার কারণ হিসেবে কলকাতার একাধিক প্রার্থী জানিয়েছিলেন, দেওয়াল লিখনে মালিকের অনুমতি নেওয়া, লেখার লোক ভাড়া করা, নির্বাচন শেষে তা আবার মুছে দিয়ে আসার মতো নানা সমস্যা থাকে। তাই তাঁরা ফ্লেক্স, হোর্ডিং বেশি ব্যবহার করছেন। এসব কারণে এবার এই ধরনের দূষণকারক বর্জ্যের পরিমাণ বেশি। যা প্রবণতা, তাতে আগামী নির্বাচনগুলিতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এত প্লাস্টিক বর্জ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশাসনের অবিলম্বে ভাবা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টও এখনও পর্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না বোধ হয়। আমি এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মামলা করেছিলাম, কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেনি। তবে স্থানীয়ভাবে রাজ্য সরকারও বেশ কিছু ব্যবস্থা করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করে আমরা প্রচারে যথেচ্ছ মাইকের ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছিলাম। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাধন ঘোষ জানান, তিনি কয়েকবছর আগে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরকারকে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। তাঁর ক্ষোভ, এরপরও সরকার এ বিষয়ে উদাসীন থাকলে বিপদ বাড়বে। তিনি বলেন, এই ধরনের বর্জ্য যাতে না তৈরি হয়, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে তা যদি ঠেকানো না যায়, সেক্ষেত্রে দু’রকমভাবে এগুলি পুনর্ব্যবহার করা যায়। একেবারে পাউডারের মতো গুঁড়ো করে তা ‘লো-ইউজ কংক্রিট’ (এই সিমেন্ট দিয়ে বাড়িঘর না তৈরি হলেও ফুটপাত, ছোট ছোট বাক্স তৈরি হয়) বা উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার এই ধরনের প্লাস্টিকের ‘হিট-ভ্যালু’ খুব বেশি। অর্থাৎ পুড়লে অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। তাই এগুলিকে ছোট ছোট দানায় পরিণত করে সিমেন্ট কারখানায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেখানে পাওয়া ছাই আবার ব্যবহার করা যাবে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে। সবটাই তিনি প্রস্তাব আকারে প্রায় সাত বছর আগে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠালেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে খেদ প্রকাশ করেন সাধনবাবু। কলকাতা পুরসভার তরফে সম্প্রতি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারমূলক ফ্লেক্স, ব্যানার সরিয়ে নিতে। কিন্তু সরিয়ে নেওয়ার পরে সেগুলির ভবিষ্যৎ কী, জানেন না কেউ। এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, সেই ব্যাপারে আপাতত কলকাতায় কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।