একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি সব কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে সতর্কবার্তা পাঠায় যে, মিক্সার গ্রাইন্ডারের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডলার। কারণ এটি ব্যাগেজ স্ক্যানারে ধরা পড়ে না। তাই কালো টাকা এখানে অবৈধভাবে ভাঙিয়ে ডলারে বদলে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। ভারতীর ব্যবসায়ীদের কালো টাকাও এভাবে পাচার করতে সাহায্য করছে কিছু ব্যক্তি। তার ভিত্তিতে কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসে সফররত যাত্রীদের ব্যাগ স্ক্যানিংয়ের সময় মিক্সার গ্রাইন্ডার পাওয়া গেলে, তা পরীক্ষা করা চলছিল। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ বাংলদেশের ট্রেন ধরতে আসেন ওদেশের বাসিন্দা জলিল। স্ক্যানারে ওই মেশিন ধরা পড়তে সেটি খোলেন আরপিএফ ও শুল্কদপ্তরের অফিসাররা। দেখা যায়, তার মধ্যে ডলার রয়েছে। এর নথি চাওয়া হলে জলিল তা দেখাতে পারেননি। এরপর ওই ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। শুক্রবার একই কায়দায় ডলার নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিলেন দু’জন। তদন্তে জানা গিয়েছে, জলিল সপ্তাহখানেক আগে কলকাতায় এসে একটি হোটেলে ওঠেন। ধৃতকে জেরা করে অফিসাররা জেনেছেন, তিনি কেরিয়ার হিসেবে কাজ করেন। শুক্রবার একজন হোটেলে এসে তাঁকে এই মেশিন দিয়ে যান। এরপর সেটি নিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছিলেন তিনি। কলকাতায় যে ব্যক্তি এই মেশিন দেন, তিনি অবৈধভাবে ডলার লেনদেনের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের হাওলা কারবারিদের যোগ আছে। তবে কলকাতার এই ব্যক্তির মাথায় এখনকার আরও বড়ো কেউ আছেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।