সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলার বাটার মোড়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সব্যসাচী ভট্টাচার্য বললেন, এখানে বিজেপি ও সিপিএম যতই প্রচার করুক, কোনও লাভ হবে না। কারণ, মহেশতলা বিধানসভা ক্ষেত্রে বিরোধীরা এখনও সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। মহেশতলার বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, বিজেপির মতো বিভাজনের রাজনীতি করে না তৃণমূল। আমরা উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। এখানে বিজেপি ও সিপিএম কোনও ফ্যাক্টর নয়। বাম আমলে মহেশতলা কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে, তা অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝতে পারছেন এখানকার নাগরিকরা। জিনজিরা বাজার থেকে বাটা পর্যন্ত নতুন করে রাস্তা সংস্কার হয়েছে এবং তা হয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায়। পানীয় জলের আকালও মিটেছে। এখন বাড়ি বাড়ি জল যাচ্ছে। বিধায়ক বলেন, এবারের ভোটে আমাদের প্রধান ইস্যু, কেন্দ্রে মোদি সরকারকে উৎখাত করা। না হলে ভারতের অখণ্ডতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। 
দুলালবাবু বলেন, ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তার প্রমাণ মিলেছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের ভোটে। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মহেশতলায় তৃণমূল পেয়েছিল ৭০ হাজার ৪২৯টি ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ৬২ হাজার ৩৬০ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৩২ হাজার ৯৯১টি ভোট। কংগ্রেস আলাদাভাবে লড়েছিল। তাদের ঝুলিতে ছিল ১২ হাজার ভোট। পাঁচ বছর বাদে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মহেশতলায় তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয় ৯৮ হাজার ৯২টি। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। তারা পায় ৬৯ হাজার ২৫২টি ভোট। বামফ্রন্ট প্রার্থী পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৭৬টি ভোট। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট আরও বেড়ে পৌঁছে যায় ১ লক্ষ ২৪ হাজারে। বিজেপি ও সিপিএম পায় যথাক্রমে ৬৬ হাজার এবং ২৫ হাজার। এখানে বামের ভোট পদ্মে চলে যাওয়ায় বিজেপির ভোট একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। 
সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রভাত চৌধুরী বলেন, দুলালবাবুরা কি বিরোধীদের ভোট দিতে দেন? গত পুরসভা, পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা বা লোকসভা— কোনও নির্বাচনেই ভোট দিতে পারেন না সাধারণ ভোটাররা। অবাধ ভোট হলে উল্টে যাবে ফল। বিজেপি’র জেলা নির্বাচনী কোর কমিটির সদস্য পিন্টু দাস বলেন, পানীয় জলের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার একা করেনি। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় মহেশতলায় এই জল প্রকল্প তৈরি হয়েছে। তৃণমূল প্রকৃত সত্য চেপে গিয়ে নিজেদের সাফল্য বলে ঢাক পেটাচ্ছে। বিজেপি মহেশতলায় অনেক বেশি শক্তপোক্ত। প্রতিটি বুথেই জোড়াফুলের সঙ্গে টক্কর দেবে পদ্ম। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।