শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বিধাননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবেদনকারীর বাড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাতিয়াড়া এলাকায়। বিয়েতে এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পুরসভায় এসে রূপশ্রীর আবেদন করেন। সঙ্গে বিয়ের কার্ডও দিয়ে যান। যাতে লেখা বিয়ের তারিখ আট জ্যৈষ্ঠ। তা দেখার পর দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী পঞ্জিকা ঘেঁটে দেখেন, ওই তারিখে বিবাহের দিনই নেই। বিয়ের দিন রয়েছে নয় জ্যৈষ্ঠ। তারপর মহিলার দেওয়া ইনকাম সার্টিফিকেটে তিনি দেখেন, তাঁর নামের আগে লেখা রয়েছে শ্রীমতি। বুঝতে পারেন, বিষয়টির মধ্যে গণ্ডগোল আছে।
এরপর এদিন বিকেলেই শুরু হয় তদন্ত। হাতিয়াড়ায় আবেদনকারীর বাড়ি গিয়ে রূপশ্রী দপ্তরের তদন্তকারী টিমের কর্মীরা দেখেন, তরুণী বাড়িতে নেই। পরিবার থেকে বলা হয়, টিউশন পড়াতে গিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে দপ্তরের কর্মীরা জানতে পারেন, তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে গত শীতে। এমনকী মার্চ মাসে রেজিস্ট্রিও হয়েছে। ওই তরুণী এখন শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। এরপর দপ্তরের একটি টিম মহিলার শ্বশুরবাড়িতে যান নিশ্চিত হতে। সেখানে গিয়ে দেখা মেলে তরুণীর। তারপর পুরসভার আধিকারিকদের নির্দেশে তাঁর ভুয়ো আবেদন বাতিল করা হয়। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, তরুণীর বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি ইকোপার্ক থানার অধীনে। তদন্তে গিয়ে প্রমাণ মিলেছে, তাঁর আবেদন সম্পূর্ণ ভুয়ো। সেই সঙ্গে তিনি বিবাহিতাও বটে। পঞ্জিকার সূত্র ধরে সন্দেহ হয়েছিল। পরে তদন্ত করে প্রমাণ মেলার পর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।