ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, পানিহাটির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তারাপুকুর রোড এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এদিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ এক প্রাতর্ভ্রমণকারীর উপর তিনজন চড়াও হয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ওই প্রাতর্ভ্রমণকারীদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে যান। তাঁরা দুষ্কৃতীদের পিছু নেন। দু’জন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় সুমন। অমনি উত্তেজিত জনতা তাকে বেধড়ক মারধর করে। গণপিটুনিতে গুরুতর জখম ওই যুবককে পুলিস উদ্ধার করে খড়দহ বলরাম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রাক্তন কাউন্সিলার সুব্রত রায় বলেন, ইদানীং তিন-চারজন যুবক ভোরে প্রাতর্ভ্রমণকারী এবং অফিস যাত্রীদের উপর হামলাসহ ছিনতাই করছিল। এরকম ছিনতাইকারীদের একটি দলকে ধরে আগেও পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এদিনও একজনের উপর হামলা এবং ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। তখন স্থানীয় লোকজন একজনকে ধরে মারধর করেছে। এটা গণরোষেরই পরিণতি।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছেন মৃতের মা মিঠু মাইতি। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন তিনি। মিঠু বলেন, ছেলে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এখন শুনছি ছিনতাইকারী সন্দেহে ওকে পিটিয়ে মারা হয়েছে! আমার ছেলে কোনও অন্যায় করলে পুলিসে ধরিয়ে দিতে পারত ওরা। তার বদলে ওর প্রাণটাই কেড়ে নিল। আমি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।