আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এর আগে ব্রিগেডের গানে জনপ্রিয় ‘টুম্পা’ গানটির প্যারোডি করেছিল সিপিএম। ব্রিগেডে ঢোকার পথে তা চালিয়ে রাস্তায় ব্যাপক নেচেও ছিলেন কিছু কর্মী-সমর্থক। এসব নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। তখন বামেদের এক পক্ষ বলেছিল, ‘গণসঙ্গীতের লড়াকু ঐতিহ্য ছেড়ে সিপিএম টুম্পা ব্যবহার করছে।’ সেসব গান শুনে ব্রিগেডের কোমর নেচেছিল ঠিকই, কিন্তু ইভিএমে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। তবে তাতে কিঞ্চিৎমাত্রও বোধোদয় হয়নি বাম সঙ্গীতকারদের। ফলে এবারও জামাল কুদুর মতো ‘ঝিং চ্যাক’ সুরের আশ্রয়ে ঢুকে পড়ল সিপিএম। অবশ্য সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোলের ধাঁচেও তৈরি হয়েছে ছোট ছোট স্লোগান। লোকসভা ভোটের প্রার্থী এবং এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের কাছে প্রবীণ বামপন্থী কর্মীর প্রশ্নটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ‘গণসঙ্গীতে কি আর চিঁড়ে ভিজছে না? তাঁর উত্তর ‘গণসঙ্গীত কম পড়ার প্রশ্নই নেই। প্রতিটি প্রজন্মের নিজস্ব ভাষা থাকে। এই প্রজন্মেরও নিজস্ব গণসঙ্গীত আছে। আগের প্রজন্মেরও প্যারোডি-কবিগান ছিল। প্যারোডির সঙ্গে গণসঙ্গীতের কোনও বিরোধ আছে বলে মনে হয় না। দুটোকে ব্যবহার করেই আমাদের রাজনীতির কথা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ সৃজনের কাছে দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্যই কি সিপিএমের এই পন্থা?’ প্রার্থীর উত্তর, ‘যাঁরা টুম্পা গেয়েছিলেন, তাঁরাই এটা করেছেন। কী ভাবে করা হচ্ছে সেটা বড় নয়, এর মাধ্যমে বেকারত্ব, দুর্নীতির প্রশ্নকেই সামনে রাখা হয়েছে।’ আর সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য প্রবীণ নেতা রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘এখনও গানটি শুনিনি। না শুনে মন্তব্য করা যায় না।’
সৃজনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে চলেই আসে, এর আগেও ‘পুষ্পা’ সিনেমার ডায়লগ এসএফআইয়ের মিছিলে শোনা গিয়েছিল, ‘এসএফআই ঝুকেগা নেহি’। ‘এটাই কি নতুন সিপিএম?’ সৃজনের বক্তব্য, ‘যা কিছু অভিনব, আধুনিক সেগুলিকে চর্চায় আনার পক্ষে সিপিএম। এমন নয় যে, কমিউনিস্টরা জনপ্রিয় কনটেন্ট থেকে দূরে সরে থেকেছে। তবে বিষয়টা রাজনৈতিক হতে হবে।’ প্রশ্ন, ‘আর শাহরুখ খানের ডায়লগ?’ সৃজন বলেন, ‘শাহরুখ নিশ্চয়ই এটা বুঝে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তাঁর এই কথা ফিরে আসবে-জাত-ধর্মের নামে ভোট দিও না। আমরা যদি দেখি, আমাদেরই কথা শাহরুখ তাঁর সিনেমায় বলছেন, তবে আমরা সেটা তুলে নেব। আমার মনে হয় ওঁরও তাতে আপত্তি থাকবে না।’