একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে ২০১৫ সালে এই প্রকল্পটি পায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আবহাওয়া সম্পর্কে আগাম খবর পাওয়ার জন্যই এই বিশেষ রেডার বসানো হবে। হরিণঘাটায় আইনোস্পেরিক ফিল্ড স্টেশনে বসবে এই রেডার। ২০১৬ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে এই যন্ত্র কেনার বরাত পায় হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। সেই মতো গত বছরই তা আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। যন্ত্র এসে গেলেও, তা বসানোর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার ছিল, তা তৈরি হয়নি। ফলে বাঁশ-ত্রিপলের ছাউনি করেই রাখা হয়েছিল এই ১৪ কোটি টাকার যন্ত্রকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এইভাবে ফেলে রেখে দেওয়ার কারণ, ক্ষতি হতে পারে যন্ত্রটির। আবার কেউ বলেছেন, পরিকাঠামো না গড়েই কেনা হয়ে গেল!
বর্তমানে সেই পরিকাঠামো তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, একটি কংক্রিটের উঁচু জায়গা করে তার উপরই বসানো হবে রেডারটি। হরিণঘাটার ক্যাম্পাসের মাঠে সেই কাঠামো তৈরির কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হল, এতদিন কেন লেগে গেল এই যন্ত্রটি বসাতে? প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক আশিক পাল বলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে ফ্রিকোয়েন্সির ছাড়পত্র পেতেই প্রায় দু’বছর লেগে গিয়েছে। তাছাড়া রেডারের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের বসার জায়গা ইত্যাদি বিষয়ের জন্য বাড়তি টাকা চাইতে হয়েছিল। তাতেও কিছুতা সময় লেগে যায়।
তবে এমন যন্ত্র দক্ষিণ-পূর্ণ এশিয়ায় প্রথম বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপক। কী কজে করবে এই যন্ত্র? উত্তরে তিনি বলেন, ঝড়ের গতি বা তার সম্পর্কে আগাম সতর্কতামূলক পূর্বাভাস দেবে এই রেডার। কালবৈশাখী বা সাইক্নোন হলে, তার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই রেডারের মাধ্যমে আগাম খবর পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা যাবে। একটি বড় অঞ্চল জুড়ে এই রেডার পূর্বাভাস দিতে পারবে। এই রেডার শুধু যে গবেষণামূলক কাজেই সাহায্য করবে তা নয়, অন্যান্য তথ্যমূলক কাজের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।