একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে, মেট্রো রেল সূত্রের খবর, জোর করে ট্রেনের দরজা আটকানোর ঘটনায় জরিমানার পাশাপাশি হাজতবাসের দাওয়াইও রাখা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, জরিমানার অঙ্ক মোটের উপরে ৫০০ টাকা রাখা হলেও, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত তা করা যেতে পারে। তার সঙ্গে হতে পারে সর্বোচ্চ ছ’মাসের জেলও। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, আইনেই রয়েছে মেট্রোর কোনও কর্মীর কাজে বাধা দিলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া যেতে পারে। তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ছ’মাসের জেল। ট্রেনে ওঠার সময়ে জোর করে কেউ দরজা আটকালে এই আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, সোমবার পার্ক স্ট্রিট স্টেশন, সংশ্লিষ্ট রেক এবং নোয়াপাড়া কারশেড পরিদর্শন করেছিলেন সিআরএস। আজ, মেট্রো ভবনে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তদন্ত শুরু করবেন তিনি। মেট্রো ভবনে গিয়ে কোনও যাত্রী ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেন। দিল্লিতে সিআরএসের অফিসেও যাত্রীরা লিখিতভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে পারেন। আজ থেকে চার-পাঁচ দিন ধরে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলতে পারে বলে খবর। তদন্তে ট্রেনটির চালক-সহকারী চালকের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি অন্যান্য কর্মী-অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। ঘটনার পুনর্নির্মাণও করানো হতে পারে বলে খবর। তদন্তে রেকটির নির্মাতা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হবে। সবদিক বিচার করে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন সিআরএস। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হবে। বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। সব দিক বিচার করা হবে।
একই সঙ্গে যাত্রী মৃত্যু এবং সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নীতির প্রতিবাদে মেট্রোর গেটে যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখান ‘মেট্রো রেলওয়ে ওয়ার্কার্স কংগ্রেস’ এবং ‘মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মদন মিত্র। তিনি বলেন, মেট্রোয় নানা সমস্যায় জর্জরিত ত্রুটিপূর্ণ রেক চালানো হচ্ছে। স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তার হালও খুব খারাপ। যাত্রীদের একেবারে অসহায় অবস্থা। শনিবারের ঘটনায় আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের পদত্যাগ দাবি করছি। রেলে আসন্ন নির্বাচনে মেট্রোয় এই দুই ইউনিয়ন জোট বেঁধে লড়াই করবে বলে এদিনের বিক্ষোভ সভা থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিশির মজুমদার বলেন, আমাদের ধারণা, শনিবারের ঘটনার তদন্তে রেকের সমস্যা সামনে আসবে। আমরা চালকদের আরও প্রশিক্ষণের দাবি করছি। যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না।