শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে তাঁর আমন্ত্রণেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরনগরে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর পুরনো অবস্থান থেকে সরে গিয়ে তিনি প্রার্থীও হয়েছেন। ঠাকুরবাড়ির লড়াইও জমজমাট হয়ে উঠেছে। কারণ এই ঠাকুরবাড়ির সদস্যা তথা শান্তনুর জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সাংসদও।
এদিন সভা শুরুর আগে শান্তনু ঠাকুরকে মঞ্চে দেখতে না পাওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি যোগীর সঙ্গেই মঞ্চে আসবেন। কিন্তু যোগী আসার পরেও প্রার্থী না আসায় হইচই শুরু হয়। যোগী তাঁর বক্তব্যে একবারের জন্যও দলীয় প্রার্থীর নাম করেননি। সভাস্থল থেকে অনেক কর্মীকে বলতেও শোনা যায়, যোগীর সঙ্গে প্রার্থীকেও দেখব বলে এসেছিলাম। উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগী এলেন, অথচ ঠাকুরনগর থেকে প্রার্থীই এলেন না! দলীয় সূত্রের খবর, তিনি সভার দায়িত্ব নিজের হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। তা নিয়েই বিবাদের ‘সূত্রপাত’। রবিবার রাতে তিনি একবার সভাস্থলে এসেছিলেন। তবে সভায় যাতে তিনি আসেন, তার জন্য সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে দলীয় নেতৃত্ব গিয়েছিল। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।
বিজেপির বারাসত জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তনু অসুস্থ। পেটের গণ্ডগোল হয়েছে। তাই আসতে পারেননি। অন্য কোনও কারণ নেই। অসুস্থ হলে রবিবার রাতে সভাস্থল কী করে ঘুরে গেলেন? তাঁর জবাব, তখন অবধি শরীর ভালোই ছিল। উনি না এলেও ওনার বাড়ির কেউ এলেন না কেন? প্রদীপবাবু বলেন, তাঁরা শান্তনুকে নিয়ে ব্যস্ত। ডঙ্কা নিয়ে মতুয়াদেরও তো দেখা যায়নি? প্রদীপবাবু বলেন, মতুয়ারাও এসেছিলেন।
এদিকে, শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করা হলে এক ব্যক্তি ফোন ধরে বলেন, উনি অসুস্থ কথা বলতে পারবেন না। বনগাঁ থেকে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে গেলেও তিনি দেখা করতে আসেননি। তাঁর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, খুব গরম। তাই পেট খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখন বিশ্রাম নিচ্ছে। দেখা করা যাবে না। শান্তনুবাবুর শরীর খারাপ যখন আপনি বা আপনারা যোগীর সভায় গেলেন না কেন? তাঁর উত্তর, আমি কি কোনও দল করি?