বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল

ফুসফুসের ছাঁকনি

স্বরূপ কুলভী: আমরা বেঁচে থাকার জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন নিই। আর কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ি। কিন্তু বাতাসে তো অক্সিজেন ছাড়াও আরও অনেক গ্যাস রয়েছে। এরমধ্যে নাইট্রোজেনই থাকে শতকরা ৭৮ ভাগ। আর অক্সিজেন শতকরা ২১ ভাগ। আর থাকে আর্গন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস। এছাড়াও বাতাসে ধুলোবালি থাকে। শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাস ফুসফুসে পৌঁছয়। সেখান থেকে অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে দেহের কোষগুলিতে যায়। সেখান থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড রক্ত ফিরিয়ে নিয়ে আসে ফুসফুসে। শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কার্বন ডাই অক্সাইড শরীরের বাইরে চলে যায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, আমাদের শরীর কীভাবে অক্সিজেনকে আলাদা করে নিতে পারে? আর অন্যান্য গ্যাস 
কোথায় যায়? 
নাসারন্ধ্র ও মুখ দিয়ে শ্বাস নিই আমরা। নাকের মধ্যে অক্সিজেন আলাদা করার কোনও ব্যবস্থা নেই। আর গ্যাস গন্ধহীন। তাই ফুসফুসে কী গেল, তা সেখানে বোঝার উপায় নেই। নাক ও মুখ দিয়ে নেওয়া বাতাস শ্বাসনালী হয়ে ব্রঙ্কিয়াল টিউবে পৌঁছয়। সেখান থেকে যায় ফুসফুসে। তারপর ফুসফুসের অ্যালভিওলাসে। অ্যালভিওলাস হচ্ছে বায়ুকোষ বা বায়ুথলি। এই বায়ুথলিগুলো মৌচাকের মতো থাকে। এগুলোর আবরণী এতই পাতলা যে, এর ভেতর দিয়ে সহজেই বায়ু আদান-প্রদান হয়। অ্যালভিওলাসেই গ্যাস থেকে অক্সিজেন আলাদা হওয়ার কাজ হয়। তাহলে বুঝতেই পারছ, ফুসফুসই ছাঁকনির কাজ করে। অ্যালভিওলাসে পৌঁছনোর পর অক্সিজেন ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তে মিশে যায়। মনে রাখা দরকার, সব গ্যাস কিন্তু আমাদের শরীরের কোনও কাজে লাগে না। রক্তে থাকে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা। অক্সিজেন শুধু লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটা রঞ্জক থাকে। এই হিমোগ্লোবিনই দেহকোষে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। সেখানে বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন হয়। শরীর সেই শক্তি প্রয়োজন অনুসারে কাজে লাগায়, এই প্রক্রিয়ায় দেহকোষে কার্বন ডাই অক্সাইডও তৈরি হয়। সেটি আবার ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তে ফিরে আসে। এবার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইড ঘুরতে ঘুরতে আবার সেই অ্যালভিওলাসে এসে ঢুকে পড়ে। তারপর ফুসফুস হয়ে শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর হ্যাঁ, সমগ্র প্রক্রিয়ায় খুব সামান্য পরিমাণ নাইট্রোজেনও রক্তে মিশে যায়। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। পরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ওই গ্যাসও বাইরে বেরিয়ে যায়। শ্বাস গ্রহণ ও ছাড়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান অত্যন্ত কম। এরমধ্যেই এত কিছু কাণ্ড ঘটে যায়। 
আর আগেই জেনেছ, বাতাসের সঙ্গে ধুলোবালিও মিশে থাকে। নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশের পথে এই ধুলোবালি ছাঁকারও ব্যবস্থা রয়েছে।
10d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৩ টাকা৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.০৫ টাকা১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো৮৭.৩০ টাকা৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা