রাজ্য

কমিশনের বাড়তি বোঝা রাজ্যেরই কাঁধে, রেশনে শুধু কৃতিত্ব! টাকা দেবে না কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঢক্কানিনাদ! এই একটি শব্দ গত দশ বছরের কেন্দ্রীয় শাসনের সঙ্গে ভীষণভাবে খাটে। জনধন থেকে বালাকোট—মানুষ এই জমানাতেই এসে সবকিছু পেয়েছে। আর তাই কাজ হোক না হোক, প্রচার হবে চুটিয়ে। ঠিক যেভাবে রেশন ব্যবস্থায় হয়ে চলেছে। ব্যাগে নরেন্দ্র মোদির ছবি, হোর্ডিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘দানছত্রে’র প্রচার এবং কত মানুষকে এই সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্যের জোগান দিয়ে একেবারে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে এসেছে—এটাই রেশনের সারমর্ম। কৃতিত্ব চাই। কিন্তু দায়িত্ব? নৈব নৈব চ।  প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রকল্পের নামকরণের (প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা) পরও না। কারণ, রেশন ব্যবস্থার সফল রূপায়ণে যে ডিলাররা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের কমিশন বৃদ্ধির জন্য কোনওরকম অতিরিক্ত আর্থিক দায় নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। সম্প্রতি সংসদেই সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কমিশন বাড়াতে হলে সেটা রাজ্য সরকারগুলিকেই করতে হবে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্র এখন রেশন ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর বিষয় বিবেচনাই করছে না। 
সদ্য সমাপ্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রেশন ডিলারদের কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রবীণ তৃণমূল এমপি সৌগত রায়। খাদ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া ওই প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ডিলারদের কমিশন, ভাতা হিসেবে কত টাকা পাবে, তা ঠিক করার ব্যাপারে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা ঩নেই। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কেন্দ্রের ভূমিকা সীমাবদ্ধ রয়েছে রাজ্যে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর খরচ ও কমিশনের একটা অংশ দেওয়ার মধ্যে। ডিলাররা কত টাকা পাবে, সেটা রাজ্য সরকার ঠিক করতে পারে। যে পরিমাণ টাকা দেওয়া নির্ধারিত, তার অতিরিক্ত ডিলারদের দিলে অসুবিধা নেই। কিন্তু এই অতিরিক্ত আর্থিক দায় পুরোটাই রাজ্যকে নিতে হবে। 
আইন অনুযায়ী ডিলারদের কমিশন শেষ বাড়ানো হয়েছিল ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ওই সময় পশ্চিমবঙ্গের মতো সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলিতে প্রতি কুইন্টাল খাদ্যশস্যের জন্য ডিলারদের কমিশন ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হয়। ই-পস যন্ত্র ব্যবহারের জন্য বিশেষ কমিশন ১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২১ টাকা। রাজ্যের মধ্যে পরিবহণ খরচও তখনই শেষবার বাড়ানো হয়েছিল। সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই খরচের অর্ধেক অর্থাৎ মূল কমিশন খাতে ৪৫ টাকা কিন্তু রাজ্য সরকারকে দিতে হয়। তবে এর বাইরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুয়ারে রেশন পরিষেবার জন্য ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ৭৫ টাকা কমিশন দেয়। তাছাড়াও ৫ হাজার টাকা বিশেষ অনুদান দেওয়া হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি ঠিকমতো কার্যকর করলে। সবচেয়ে বড় কথা, জাতীয় প্রকল্পের অধীনে থাকা রেশন গ্রাহকদের জন্যও রাজ্য সরকার এই অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে থাকে। 
কোনও কোনও রাজ্য অবশ্য দুয়ারে সরকারের মতো কর্মসূচি না থাকলেও ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে থাকে। কিছু রাজ্যে রয়েছে কুইন্টালে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমিশনও। ফলে সর্বভারতীয় স্তরে রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির দাবি জোরদার হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্র কমিশন না বাড়ালে তাঁরা নতুন বছরে বড় মাপের আন্দোলনে নামবেন। অথচ, কেন্দ্র এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই নারাজ! 
3d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৮০ টাকা৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৬ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.০০ টাকা৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা