রাজ্য

ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু, অবশেষে খাঁচাবন্দি জিনাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, গোঁসাইডি: শেষ হল লুকোচুরি খেলা। দীর্ঘদিন ধরে নাকানি চোবানি খাওয়ানোর পর অবশেষে জিনাতকে খাঁচাবন্দি করতে সক্ষম হলেন বনকর্মীরা। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডির জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি করে তাকে কাবু করা হয়। তারমধ্যেই খাঁচায় ভরার আগে সে একবার গাঝাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে বনদপ্তরের কর্মীরা তাকে তৎপরতার সঙ্গে খাঁচাবন্দি করেন। 
গত ২০ডিসেম্বর ওড়িশার সিমলিপাল জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়ে জিনাত। তারপর থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে তাকে ধরার চেষ্টা হয়। জঙ্গলে মোষ, শুয়োর, ছাগল দিয়ে ‘টোপ’ ফেলা হয়। কিন্তু, সেই টোপ গেলানো যায়নি জিনাতকে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ও বোরোর গভীর জঙ্গল থেকে শনিবার ভোরে গোঁসাইডির জঙ্গলে প্রবেশ করে জিনাত। এই জঙ্গল আয়তনে অনেক ছোট, সমতল। তাই বনদপ্তরের আধিকারিকরা ধরেই নিয়েছিলেন, এমন সুবর্ণ সুযোগ আর আসবে না। তাই জিনাতকে ধরতে ওইদিন সকাল থেকেই সবরকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা জঙ্গল। জঙ্গলের ভিতর জেসিবি দিয়ে তৈরি করা হয় রাস্তা। জিনাতের খোঁজে চষে বেড়াতে থাকে বনদপ্তরের গাড়ি। আকাশে ওড়ানো হয় ড্রোন। জিনাত যাতে জাল টপকে বেরিয়ে না যায়, তার জন্য জালের চারিদিকে প্রতি ১০ মিটার অন্তর রাখা হয় বনদপ্তরের কর্মীদের। আগুন জ্বেলে চলে রাতপাহারা। ওইদিন বিকেল থেকে রবিবার ভোর রাতে তিনবার ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে তাকে বাগে আনার চেষ্টা করা হয়। 
সূত্রের খবর, প্রথমবার গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপর তাকে লক্ষ্য করে হাফ ডোজের ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তা জিনাতের গায়ে লাগলেও ঝোপের আড়ালে সে লুকিয়ে পড়ে। ফলে তাকে বাগে আনতে সেকেন্ড ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ভোরের দিকে জিনাতকে লক্ষ্য করে ফুল ডোজের ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। সেই গুলিও তার গায়ে লাগে। তখনই বনদপ্তরের আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, এবার বুঝি বাগে আনা গেল জিনাতকে। আধিকারিকদের মধ্যে সাময়িক উচ্ছ্বাসও দেখা যায়। কিন্তু, যখন তাকে স্ট্রেচারে করে তুলে আনতে যাওয়া হয়, তখনই রাজকীয় ভঙ্গিতে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে জিনাত। যেন কিছুই হয়নি তার! এক লাফে ঢুকে পড়ে ঝোপের আড়ালে। রেগে গিয়ে যে বনদপ্তরের কর্মীদেরই ঘুরিয়ে আক্রমণ করেনি, এই রক্ষে! আধিকারিকদের দাবি, ঘুমপাড়ানি গুলি মুখে করে গা থেকে বের করে দিয়েছিল বাঘিনি। তাই কাবু হয়নি জিনাত। ট্র্যাঙ্কুলাইজের ওভারডোজে জিনাতের ক্ষতির আশঙ্কায় তখনকার মতো চেষ্টা ছাড়েন বনকর্মীরা। তবে বিকেলে একবারের চেষ্টাতেই বাঘিনিকে বাগে আনতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। রাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিম চক্রের মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার বলেন, অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টায় আমরা বাঘিনিকে বাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। বনদপ্তরের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমেই এই সাফল্য এসেছে। 
গত ১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। ২৪ নভেম্বর রেডিও কলার পরিয়ে তাকে সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল। তারপরই সে বাংলায় ঢুকে পড়ে। এদিন তাকে খাঁচাবন্দি করার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বনকর্তারা। জিনতাকে আপাতত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখান থেকেই তাকে সিমলিপালের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তবে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাঁহা হাঁসদা বলেন, বাঘিনির আগে চিকিৎসা হবে। তারজন্য কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এখনই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া বা ওড়িশা সরকারের বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয় নেই। - নিজস্ব চিত্র
3d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৮০ টাকা৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৬ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.০০ টাকা৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা