নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাইয়ের শ্বশুরের দেহ হাওড়ার বাড়িতে নিয়ে আসার সময় লরির ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল দাদার। শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। মনোজকুমার সাউ (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির পিছনে স্কুটারে করে আসছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘাতক লরির খোঁজ করছে হেস্টিংস থানা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার বনবিহারী রোডের বাসিন্দা মনোজরা দুই ভাই। ছোটভাই অমরনাথের শ্বশুর পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি সেখানে মারা যান। হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হলে মনোজ ও অমরনাথ স্কুটার নিয়ে রাতেই বেরিয়ে যান। ভোরের দিকে দেহ নিয়ে হাওড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। শববাহী গাড়িতে শ্বশুরের দেহ থাকলেও তার পিছনে স্কুটারে করে আসছিলেন মনোজ ও অমরনাথ। অমরনাথই ছিলেন চালকের আসনে। দু’জনের মাথায় হেলমেট ছিল। সেতুর এক পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি লরি তাঁদের স্কুটারে ধাক্কা মারে। রাস্তার ধারে ছিটকে পড়েন মনোজ। অন্যদিকে পড়েন অমরনাথ। মাথায় আঘাত লাগে মনোজের। ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। ভাই ফোন করে শববাহী গাড়িতে থাকা আত্মীয়দের বিষয়টি জানান। তাঁরা গাড়ি থামিয়ে আসেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আসে হেস্টিংস থানার পুলিস। মনোজকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অমরনাথকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর বাড়িতে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। মনোজের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, এভাবে মৃত্যু তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। একজনের দেহ আনতে গিয়ে পরিবারের আরও একজনের মৃত্যু হল।