কলকাতা

গাড়ির ফিটনেস টেস্ট! তোলাবাজি সাঁতরাগাছিতে,  রেট ১০০ থেকে ৩০০ টাকা

দীপন ঘোষাল, হাওড়া: বেনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় চড়া সুর। বিভিন্ন জায়গায় ‘টাকার খেলা’ নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকে সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই নবান্ন থেকেই খানিক দূরে সাঁতরাগাছি টার্মিনাসে সিএফ (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস) করাতে আসা গাড়িগুলি থেকে ‘ফিজিক্যাল টেস্ট’ এর নামে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে টাকা! বাইক অথবা লরি, গাড়ির আকার অনুযায়ী আবার বাড়ানো-কমানো হয় টাকার অঙ্ক।
হাওড়া মোটর ভেহিকেলস ডিপার্টমেন্ট লাইসেন্সের জন্য ড্রাইভিং টেস্ট করায় সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে। একইসঙ্গে বাইক, প্রাইভেট গাড়ি এবং ছোট মালবাহী গাড়ি, লরি, এমনকী কন্টেইনারেরও ফিটনেস চেকিং করার কাজ অর্থাৎ ‘সিএফ’এর কাজও হয়। বাইক এবং প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছর অন্তর এবং কমার্শিয়াল নম্বর প্লেটের গাড়িগুলিতে প্রতিবছর  এই সিএফ করাতে হয়। তাই এই কাজের জন্য সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে মোটর ভেহিকেলস দপ্তরের কিছু অস্থায়ী অফিসঘর রয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে সিএফ করাতে আসা গাড়িগুলি থেকেই বেআইনিভাবে তোলা হচ্ছে টাকা। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিজিক্যাল টেস্ট ফি’। কিন্তু মোটর ভেহিকেলস দপ্তর সূত্রের খবর, অনলাইনে টাকা দেওয়ার পর সিএফ করাতে গিয়ে আর টাকা দেওয়ার দরকার পড়ে না। সাধারণত সরকারিভাবে একটি বাইকের জন্য মোটামুটি দেড় হাজারের কাছাকাছি সি এফ নবীকরণের টাকা লাগে। সিএফ করাতে আসা মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ‘দালাল’ মারফত সিএফ’এর ফাইল তৈরির কাজগুলি করাতে গিয়ে নম্বর প্লেট সহ খরচ পড়ে যায় চার হাজার টাকার আশেপাশে। কিন্তু সাঁতরাগাছির ক্ষেত্রে এর বাইরেও টাকা তুলছে এক বা একাধিক ব্যক্তি। এই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টিতেই বিরক্ত সাধারণ মানুষ। একেবারে গাড়ির আকার অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া হয়েছে ‘রেট’। দেখা গিয়েছে, বাইক এবং প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। ছোট মালবাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও টাকার অঙ্ক মোটামুটি একই। মাঝারি অথবা বড় লরির ক্ষেত্রে এই ‘তোলাবাজি’র অঙ্ক পৌঁছে যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। অর্থাৎ সারাদিনে ছোট বড় মিলিয়ে কয়েকশো গাড়ি সিএফ করাতে গেলে অবৈধভাবে হাজার হাজার টাকা তোলা হচ্ছে। একাংশ গাড়ি চালকের অভিযোগ, সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে সিএফ’এর ছাড়পত্র দেওয়া নিয়েও ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই সেই টাকা দিতে হচ্ছে তাদের। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক লরি চালকের দাবি, প্রথমে এক ব্যক্তি এসে সিএফ’এর সমস্ত কাগজপত্র দেখার পাশাপাশি সেই টাকা নিয়ে যান। তারপর হয় সিএফ এর জন্য প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণের কাজ। যেহেতু ১০০ অথবা ২০০ টাকার ব্যাপার, তাই কেউ অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে খুব বেশি গা করেন না। কিন্তু এই টাকা যাচ্ছে কার পকেটে? অফিসারদের চোখের সামনে যারা টাকা তুলছেন তারা আসলে কে? প্রশ্ন করছেন তারা। পাশাপাশি ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার জন্য পরিবহণ দপ্তরের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। 
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হাওড়ার আরটিও অশোক কুমার ঘোষকে। তিনি অবশ্য বিষয়টি শুনে আকাশ থেকে পড়েন। বলেন, ‘সিএফ করাতে সরকারি ফি আগেই নেওয়া হয়ে যায়। গ্রাউন্ডে গেলে সেখানে অতিরিক্ত এক টাকাও দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। বিষয়টি নিয়ে আমি দপ্তরে খোঁজখবর নেব।’
3d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৫৮ টাকা৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৩ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৯০ টাকা৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা