খেলা

‘শরীর আর নিতে পারছিল না’

একান্ত সাক্ষাৎকারে দীপা কর্মকার

সুতপা গুহ, আগরতলা:  রিও ওলিম্পিকসে চতুর্থ হওয়া দীপা কর্মকার নিলেন অবসর। তবে জিমন্যাস্টিক্সকে বিদায় জানানোর প্রশ্নই নেই। তাঁর রক্তেই যে জিমন্যাস্টিক্স। বর্তমান পত্রিতাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেকথাই জানালেন তিনি।
প্রশ্ন: টানা ২৫ বছর পর জিমনাস্টিকস থেকে অবসর ঘোষণা করলেন। ৭ অক্টোবরকেই কেন বেছে নিলেন?
দীপা: বিশেষ কিছু নয়, কয়েক মাস ধরেই ভাবছিলাম। তবে নিজেকে সামলাতে সময় লেগেছে কিছুটা। ‘৭’ আমার লাকি নম্বর। ২০০৭ সালই আমার কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। ৭ আগস্ট রিও ওলিম্পিকসের কোয়ালিফাইং ছিল। জীবনের অনেক কিছুই ৭ সংখ্যা দিয়ে, তাই এদিনটাই বেছে নিলাম।
প্রশ্ন: অবসরের সিদ্ধান্তের কথা প্রথম কাকে জানালেন?
দীপা: এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর আমার কব্জিতে চিড় ধরা পড়ে। কাঁধ-হাঁটুর অবস্থাও খুব খারাপ তখন। শরীর আর নিতে পারছিল না। সেই সময়ই কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর সঙ্গে কথা বলি। বাবা-মা প্রথম বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি। কারণ, সাড়ে পাঁচ বছর বয়সে জিমনাস্টিকসে পথ চলা শুরু আমার। হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত তাঁদের কাছে বড় ধাক্কা তো বটেই। তবে বাস্তব হল, লোকে খেয়ে বেঁচে থাকেন, আমি বরফ নিয়ে বাঁচি।
প্রশ্ন: সিদ্ধান্তটা নিশ্চয় আপনার কাছেও কঠিন ছিল?
দীপা: সেটাই তো স্বাভাবিক। আমার বয়স এখন ৩১ বছর। এর মধ্যে ২৫ বছরই জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে জড়িত। গতকাল জিম থেকে বেরিয়ে স্যারকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছি। আমি যে এখন থেকে প্রাক্তন ছাত্রী হয়ে গেলাম! জিমন্যাস্টিকস আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। 
প্রশ্ন: দীপা কর্মকার চিহ্নিত ‘প্রোদুনোভা কুইন’ হিসেবে। ভারতে প্রোদুনোভার ভবিষ্যৎ কেমন? 
দীপা:ইতিহাস সৃষ্টি হয় ভাঙারই জন্য। ভারতে দ্বিতীয় দীপা আবারও তৈরি হবে হয়তো। নতুন করে কেউ ফের প্রোদুনোভা করবে। আমার মতো চতুর্থ স্থানে থেমে না থেকে ওলিম্পিকসে পদক জিতে আসবে।
প্রশ্ন: বাড়ির দুর্গাপুজোয় দীপা কেমন?
দীপা: বাড়িতে আমি একেবারে ‘গুড গার্ল’ (হাসি)। খেতে খুব ভালোবাসি, সে করলা হোক বা মিষ্টি। এবার পুজোয় আর বাধানিষেধ নেই। তাই প্রচুর রসগোল্লা খাবো। অন্য মিষ্টিও খাব। এতদিন তো মিষ্টি, আইসক্রিম স্পর্শ করতাম না! আমি কিন্তু সেই ছোট্ট দীপাই রয়ে গেছি।
প্রশ্ন: কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর অবদান নিয়ে কী বলবেন?
দীপা: এমন একজন কোচ পেয়ে আমি ভাগ্যবান। তিনিই আমাকে পথ দেখিয়েছেন। আমি গর্ব করে বলছি যে, একজন ভারতীয় কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েই তিনটি রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছি। ত্রিপুরাকে গোটা বিশ্ব জানতে পেরেছে।
প্রশ্ন: আগামী দিনে কী পরিকল্পনা?
দীপা: আমি কোচিং খুব ভালোবাসি। কতদূর যেতে পারব জানি না, তবে একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে যে সমস্ত বাচ্চারা জিমনাস্টিকসে আসতে চায় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
28d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের রুক্ষ ব্যবহার ও মতিগতি নিয়ে মানসিক চিন্তা। কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বিদ্যায় উন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৮ টাকা৮৫.০২ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৭ টাকা১১০.৯৫ টাকা
ইউরো৮৯.৮৫ টাকা৯৩.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা