নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শট গ্রেগ স্টুয়ার্টের। পুরো শরীর ছুড়েও তাতে হাত ছোঁয়াতে ব্যর্থ বিশাল কাইথ। পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়াতেই মোহন বাগান গ্যালারিতে উল্লাস। সিচুয়েশন প্র্যাকটিসে এই দৃশ্য দেখার পর বছর বাইশের এক তরুণ পাশের বন্ধুকে বলছিলেন, ‘এই জুটি ক্লিক করলে আইএসএলে মোহন বাগান ফুল ফোটাবে।’ ঘটা করে সোমবার সমর্থকদের প্র্যাকটিস দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। স্পিকারে গান, ড্রাম বাজিয়ে ফুটবলারদের উজ্জ্বীবিত করতে কোনও খামতি রাখেননি অনুরাগীরা। তবে এমন আনন্দের মুহূর্তেও উদ্বেগের কাঁটা সেই জেমি ম্যাকলারেন। অজি বিশ্বকাপার যে এখনও ফিট নন, তা সাদা চোখেই বোঝা যাচ্ছিল। এদিন তিনি হাল্কা সিচুয়েশন প্র্যাকটিসে অংশ নিলেও বেশিরভাগ সময় কাঁধে বরফ নিয়েই বসে থাকলেন।
সোমবার দুপুর থেকেই মোহন বাগান মাঠে বাজছিল, ‘আমাদের সূর্য মেরুন...’ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পুস্পবৃষ্টির মধ্যে টানেলের দু’ধারে সমর্থকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঠে প্রবেশ পেত্রাতোস,  কামিংসদের। ওয়ার্ম-আপের পর প্লেয়ারদের দু’টি দলে ভাগ করে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করালেন কোচ হোসে মোলিনা। প্রথম দলে তিনি রেখেছিলেন মূলত ডিফেন্ডার ও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের। শিল্ড করা ও বল ছিনেয়ে নেওয়ার প্র্যাকটিস করলেন তাঁরা। আর অন্য দলে স্টুয়ার্ট, আশিক, পেত্রাতোস, কামিংসরা লক্ষ্যভেদের মহড়া সারলেন। জেমি পা বাঁচিয়ে খেললেও এদিন আলবার্তো রডরিগেজ পুরোদমে অনুশীলন সারলেন। যা আভাস, তাতে তাঁর ম্যাচফিট হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। সেশনে টম আলড্রেড এবং দীপ্যেন্দু বিশ্বাসের দিকে আলাদা নজর ছিল কোচ হোসে মোলিনার। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর আইএসএলে মোহন বাগানের প্রথম ম্যাচ। তার আগে ডিফেন্স মেরামতিতে বদ্ধপরিকর তিনি। কারণ, ডুরান্ডে রক্ষণের ভুলে ভুগতে হয়েছিল মোহন বাগানকে। পাশাপাশি এদিন অনুশীলন চলাকালীন হাল্কা চোট পান আশিক ও সুহেল ভাট। তবে সেটা গুরতর নয়। পরে অনুশীলন করেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্র্যাকটিস শেষে ফের সমর্থকদের অভিবাদন গ্রহণ করে মাঠ ছাড়লেন ফুটবলাররা।