দক্ষিণবঙ্গ

অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে
তার দায় ইডি-সিবিআইয়ের: শতাব্দী

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার দায়িত্ব নিতে হবে ইডি-সিবিআইকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে এভাবেই সুর চড়ালেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার ‘দিদির দূত’ হয়ে হাজির হয়েছিলেন সাঁইথিয়ার হাতোরা এলাকায়। সেখানেই স্পষ্ট করে দেন, দলের সিদ্ধান্ত মতো ‘কেষ্টদা’র পাশেই রয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, জেলায় সংগঠন গড়তে অনুব্রতর পরিশ্রম বিফলে যাবে না। তাঁর দিল্লিযাত্রা প্রভাব ফেলবে না ভোটেও। 
এর আগে ‘কেষ্টদা’র সঙ্গে শতাব্দীর তেতো সম্পর্ক নিয়ে সরগরম হয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহল। নাম না করে একে অপরকে খোঁচাও দিয়েছেন। এমনকী, গত লোকসভা ভোটের পর প্রায় তিন বছর মুখোমুখি হননি দু’জনেই। তার পর পরিস্থিতির কিছুটা বদল হতে থাকে। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, তা স্পষ্ট করে দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শতাব্দীও সেই অবস্থানই গ্রহণ করেন বলেন রাজনৈতিক শিবিরের মত। ফলে অসুস্থ ‘কেষ্টদা’কে দেখতে এসএসকেএমেও যান তিনি। এর মাঝেই নতুন বিতর্ক উস্কে দেয় সিবিআই। অনুব্রতর বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে সাক্ষী করা হয় তৃণমূলের তারকা নেত্রীকে। তবে, এ বিষয়ে শতাব্দী কখনই সেভাবে মুখ খোলেননি। বরং দলের একাধিক সভা-সমিতিতে ‘কেষ্টদা’র পাশে থাকারই বার্তা দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে সরাসরি নিশানা করেছেন ইডি-সিবিআইকে। বলেছেন, ‘ওঁর শরীর খারাপের কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এবার আরও খারাপ হলে সেই দায়িত্ব নিতে হবে ইডি ও সিবিআইকে।’ 
এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু করেন সাংসদ শতাব্দী। ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান সহ ব্লকস্তরের একাধিক তৃণমূল নেতা তাঁকে এলাকা ঘুরিয়ে দেখান। শতাব্দীকে দেখতে উপচে পড়া ভিড় ছিল সর্বত্রই। যা দেখে উৎসাহিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দীও বলেছেন, ‘অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিরোধীদের লাফানোর মতোও কিছু হয়নি। এতে সংগঠনে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। সবাই লাফাচ্ছেন, ভাবছেন অনুব্রত দিল্লি গেলেন, এবার কী হবে! একটা আইনের জায়গায় উনি রয়েছেন। আইনের বিষয়ে বিশেষ কিছু বলব না। তবে আবারও বলব, জেলার এই শক্ত সংগঠনকে নাড়িয়ে দেওয়া খুব কঠিন।’ 
এদিনের কর্মসূচিতে হাতোরা এলাকার বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগের কথা মন দিয়ে শোনেন  শতাব্দী। বিশেষ করে মহিলারা আবাস যোজনায় বাড়ি না পেয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, গ্রামে যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাঁরাই কেবল বাড়ি পাচ্ছেন। একজনের চার ছেলে।  প্রত্যেকের নামেই বাড়ি এসেছে। 
অথচ, যাঁদের বাড়ি নেই তাঁরা কেউ বাড়ি পাননি। বাসিন্দারের আশ্বস্ত করে সাংসদকে বলতে শোনা যায়—‘কেউ যদি বাড়ি পেয়েও ফের অসৎ উপায়ে আবেদন করে, সেক্ষেত্রে কী আর বলা যাবে! যতটা সম্ভব সার্ভে করে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অসৎ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করছে প্রশাসন।’ হাসানপুর থেকে গোয়ালগ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। রাস্তাটি সংস্কারের দাবি রাখেন বাসিন্দারা। সেই দাবিও পূরণ হবে বলে আশ্বাস দেন শতাব্দী। 
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। অনুব্রত দিল্লিতে। স্বভাবতই জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কপালে খানিকটা হলে ভাঁজ পড়েছে। তবে, শতাব্দীর মতে, ‘অনুব্রতর সঙ্গে থেকে যাঁরা এতদিন সংগঠন করেছেন তাঁরা প্রত্যেকে সংগঠনটা জানেন। সুতরাং কিছুই হবে না। অন্যান্য নির্বাচনের সময়ও ওঁকে নজরবন্দি করে রাখা হতো। তা নিয়ে কোনও চিন্তা ছিল না। জেলায় যেমন ভোট হয় তেমনই হবে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত।’ 
অভিযোগ শুনছেন শতাব্দী। নিজস্ব চিত্র
19Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা