বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ

হরিশ্চন্দ্রপুরে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চালু হচ্ছে মাখনা প্রসেসিং ইউনিট

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রথম মাখনা প্রসেসিং ইউনিট চালু হতে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তরের উদ্যোগে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকাতেই ওই মাখনা প্রসেসিং ইউনিটটি গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক মহলে এনিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বাইরে থেকে মেশিনপত্র এলেই উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।  হরিশচন্দ্রপুর তো বটেই সার্বিকভাবে উত্তর মালদহের মাখনা চাষিরা উপকৃত হবেন। সর্বোপরি ওই  ইউনিট ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। তবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ওই মাখনা প্রসেসিং ইউনিটটি সফল হলে আগামী দিনে আরও বৃহৎ আকারে বেশকিছু ইউনিট গড়ে তোলা হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন। 
রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন বলেন, মালদহে প্রথম মাখনা প্রসেসিং ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে  ওই ইউনিটটি বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু মেশিনপত্র বসানো হলেই সেখান থেকে মাখনা প্রসেসিং করা হবে। শিল্প উদ্যোগীরা ওই প্রসেসিং করা মাখনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে পারলে তাঁরা ভালো বাজার পাবেন। সেই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া  হচ্ছে। এবিষয়ে মালদহের ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার  মানবেন্দ্র মণ্ডল বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরে মাখনার পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। সেখানে মেশিনের মাধ্যমে মাখনাকে প্রসেসিং করা হবে। বর্তমানে ওই সব এলাকার মাখনা চাষিরা বাইরে থেকে শ্রমিক এনে মাখনা প্রস্তুত করেন। এতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু ইউনিটটি চালু হলে মাখনার গুণগত মান বাড়বে। 
জেলা শিল্পদপ্তর জানিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর স্ট্যান্ডে ১০ কাঠা জমির উপরে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাখনার পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হবে। ইতিমধ্যে মাখনা প্রসেসিং ক্লাস্টার প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। এই ক্লাস্টারে ৫০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরাই  মাখনা প্রসেসিং প্রক্রিয়া চালাবেন। মাখনা মূলত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, চাঁচল সহ উত্তর মালদহের ছ’টি ব্লকের জলা জমিতে   বেশি মাত্রায় চাষ হয়ে থাকে। মাখনাতে প্রচুর পরিমাণে হাই প্রোটিন থাকে। মাখনার খই প্রায় ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এসব এলাকায় মাখনা প্রসেসিংয়ের যে পদ্ধতি রয়েছে তা বহু পুরনো। মূলত শ্রমিক নির্ভর মাখনা চাষাবাদ হয়। ফলে রাজ্যের বাইরে বিহার থেকে শ্রমিক এনে মাখনা চাষ থেকে শুরু করে বীজ তুলে আনা হয়। পরে সেটিকে আগুনে পুড়িয়ে তা থেকে খই ফোটানো হয়। এভাবেই মাখনার ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রসেসিং চলে। এতে সময় বেশি অপচয় হয়। পাশাপাশি খরচ বেশি হয়।  ওই প্রসেসিং ক্লাস্টারটি গড়ে উঠলে সম্পূর্ণভাবে মেশিনের মাধ্যমে মাখনা প্রসেসিং হবে। এবং সেটি বাজারজাত করা সহজলভ্য হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, মাখনার গুণগত মানও বাড়বে। ফলে মাখনার কদরও বেড়ে যাবে। 
 নিজস্ব চিত্র।
14Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

স্ত্রীর  শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৫৩ টাকা৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড১০৩.৬৪ টাকা১০৭.৩২ টাকা
ইউরো৮৭.৩১ টাকা৯০.৬৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা