কলকাতা

একাদশীতেও প্রতিমা  দেখতে মানুষের স্রোত

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শেষ হয়েও হইল না শেষ! পঞ্জিকার দিনক্ষণ মেনে দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। চলছে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর্ব। এসবের মধ্যে বুধবার, একাদশীর দিনেও শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে উৎসবমুখর মানুষের স্রোত অব্যাহত। এদিন দুপুর থেকে শহরের নামকরা পুজো মণ্ডপগুলিতে ভালোরকম ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনী, সুরুচি সঙ্ঘ থেকে শুরু করে উত্তরে কাশী বোস লেন, হাতিবাগান, কুমোরটুলি, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সহ বহু মন্ডপে সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মণ্ডপমুখী ভিড়ে হাঁটতে হাঁটতে এক ব্যক্তির সরস উক্তি, ‘এখন তো এক্সট্রা টাইমের খেলা চলছে।’ 
নবমী-দশমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় অনেকে ওই দু’দিন ইচ্ছে থাকলেও বাড়ি থেকে বের হননি। বুধবার সকাল থেকে আকাশ ছিল পরিষ্কার। তাই দুপুর গড়াতেই দলে দলে মানুষ বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। এই ভিড়ে অবশ্য বয়স্ক ও কচিকাঁচাদের উপস্থিতিই বেশি ছিল। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখার আশাতেই তাঁরা পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরের দিনটিকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও এতটা ভিড়ভাট্টা আশা করেননি তাঁরা। যাদবপুর থেকে সপরিবারে কাশী বোস লেনে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন সার্থক রায়চৌধুরী। তিনি বলছিলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা একাদশীতে উত্তর কলকাতার ঠাকুরগুলি দেখতে বেরই। অনেক পুজো কমিটি দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন করে দেয়। কিন্তু এখন কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য বেশিরভাগ বড় পুজোর প্রতিমা থাকে এক-দু’দিন। সেই সুযোগটা নিই আমরা। তবে এবার দেখছি সবাই বিষয়টা জেনে ফেলেছে! না হলে একাদশীতেও এত ভিড় কীভাবে সম্ভব!’ সিআইটি রোড থেকে ত্রিধারায় এসেছিলেন গোবিন্দ যাদব। তিনি তাঁর বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের মণ্ডপের দিকে যেতে যেতে বললেন, ‘ওই ভিড়ে মাকে নিয়ে আসা যায় না। তাই একটু ফাঁকায় ফাঁকায় বেরিয়েছি। কিন্তু এসে দেখছি, ভিড় তেমন কিছু কম নয়।’ এদিন দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে এক তরুণী অবশ্য বেশ রেগেই গিয়েছেন। ‘কোথাও তো কোনও খাবারের স্টল নেই। খালি পেটে কতক্ষণ দৌড়নো যায়’—বালিগঞ্জ কালচারালের মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে গজগজ করছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বন্ধুদের সান্ত্বনা, ‘আরে এরকম দিনেই তো সবচেয়ে ভালো ছবি তোলা যায়। পুজোর মধ্যে এলে কি আর এত ভালো ছবি হতো?’ 
এবার পুজোর দিনগুলিতে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা মোটের উপর ঠিকঠাক থাকলেও পুলিসকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। সপ্তমী থেকে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। সূত্রের খবর, অতীতে শিয়ালদহ স্টেশনের দিক থেকে আসা দর্শনার্থীদের এম জি রোড দিয়ে মহম্মদ আলি পার্ক, কলেজ স্কোয়ারের প্যান্ডেল ঘুরিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিটে  আসতে দেওয়া হতো। এতে সরসারি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে চাপ বাড়ত না। কিন্তু এবার লালবাজার এম জি রোডে ট্রাফিক সচল রাখতে গিয়ে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আসা দর্শকদের সোজা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ঢুকতে দিয়েছিল।  ফলে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে ওই প্যান্ডেল ঘিরে। বুধবার অবশ্য এসব কিছুই ছিল না। মণ্ডপমুখী ভিড় থাকলেও শহরজুড়ে মন কেমন করা বিষণ্ণতার সুর। রাস্তার মোড় থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী ব্যারিকেড। খুলে ফেলা হচ্ছে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং। বাড়ির পথ ধরেছেন ঢাকিরা। কনকাঞ্জলি দিয়ে বাঙালির আকূল প্রার্থনা, ‘আবার এসো মা।’
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপে ভিড়। -নিজস্ব চিত্র
12Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা