অমৃতকথা

অলৌকিকত্ব

শ্রীঠাকুর সত্যানন্দের মাতৃদেবীর দেহরক্ষার সময় ঘটেছিল অলৌকিকত্বের অদ্ভুত প্রকাশ। মাতা কাশীশ্বরী ছিলেন কলকাতার কাশীপুরের বাড়ীতে। শ্রীঠাকুর সিউড়ী চলে এসেছেন মা ভবতারিণীর নির্দেশক্রমে। পরের দিনই ঠাকুরমার হৃদরোগের প্রবল আক্রমণের খবর এল। শ্রীঠাকুর স্বামী নির্বেদানন্দজী, সুরেশ্বরানন্দজী, অমলানন্দজী প্রমুখ ত্যাগী সন্তানদের পাঠিয়ে দিলেন। নিজে শত অনুরোধ উপেক্ষা করে সিউড়িতেই রয়ে গেলেন। ওদিকে কাশীশ্বরী দেবীকে জিজ্ঞাসা করা হলে দৃঢ়ভাবে বারণ করেছেন তাঁর গোপালকে অর্থাৎ ঠাকুরকে ডেকে পাঠাতে। অসুখ খুব বাড়াবাড়ি অবস্থায় পৌঁছেছে। ফোনে শ্রীঠাকুর নির্দেশ পাঠিয়েছেন নাম খুব জোরে চালিয়ে যেতে। সকলেই মনের জোর ঠিক রেখে খুব নাম করে চলেছেন। ঠাকুরমা ঠাকুরের লকেট হাতে ধরে দেখালেন—‘গোপাল সব সময় আমার কাছে আছে।’ শেষ মুহূর্তে ফোনে নির্দেশ এল—‘কেউ ভেঙ্গে পড়বে না, খুব নাম করে যাও।’ নির্দেশ পালিত হচ্ছে এমন সময় ঠাকুরমা একটা সামান্য ঝাঁকুনি দিয়ে উপুড় হয়ে মা ভবতারিণী ও শ্রীঠাকুরের মূর্তির চরণে শেষ প্রণামের ছন্দে লুটিয়ে পড়লেন। যেন মিশে গেলেন ভবতারিণীর অঙ্গে অথবা ঠাকুরের সঙ্গে।
ফুলচন্দনে সাজিয়ে কাশীপুর মহাশ্মশানে চিতায় তুলে দেহে অগ্নি সংযোগ করা মাত্র ঠাকুরমার জিভ মা কালীর জিভের মত ঈষৎ বেরিয়ে এল এবং ডান হাত ঠিক বরাভয় মুদ্রাতে অর্ধেক উঠে গেল এবং প্রায় দশ মিনিট ধরে ঠিক ঐভাবেই রইল। যারা চোখে দেখলো তারা আশ্চর্য্যে হতবাক হয়ে রইলো সারাক্ষণ। দশমিনিট পর হাত ধীরে ধীরে নেমে গেল, মুখও বন্ধ হয়ে গেল। শেষ মুহূর্তে স্বরূপ প্রাপ্তির প্রমাণ এমনটি আর কোথায় মেলে? আসলে ঠাকুমা কঠোর শ্মশান সাধনা করে মা ভবতারিণীর সাক্ষাৎ বরলাভে ধন্য হয়েছিলেন স্বয়ং ভগবানকে গর্ভে ধারণের নিমিত্ত। তাই তাঁকেও হয়ে যেতে হয়েছে সাক্ষাৎ মা ভবতারিণী। আর ঠাকুর, যিনি সর্বজ্ঞ সর্বদর্শী স্বয়ং ভগবান, তিনি সিউড়ীতে বসেই চোখ বুজে দেখেছিলেন গর্ভধারিণী জননীর শেষ যাত্রার দৃশ্য। কলকাতা থেকে যারা ফিরে এল সিউড়ী, তাদের প্রথমেই শ্রীঠাকুর জিজ্ঞাসা করেছিলেন—‘আচ্ছা, মা কি উপুড় হয়ে প্রণামের ছন্দে লুটিয়ে পড়ে দেহত্যাগ করেছেন? কারণ, আমি ঐ মুহূর্তে ধ্যানে মাকে ঐভাবেই দেখলাম।’ কথাটা যে সত্যি, তা বলা বাহুল্য। তাই তো ঠাকুরও স্থূলে গেলেন না মায়ের শেষ শয্যার পাশে, মাও ছেলেকে স্থূলে ডাকলেন না কাছে। উভয়েই যে পূর্ণ সমর্থ অলৌকিক রাজ্যের লীলায়। শ্রীঠাকুরকে মা কালীর বরে পেয়েছিলেন মাতা কাশীশ্বরী। তাই মা কালীও ঠাকুর সত্যানন্দের সাধন জগতে প্রবেশ করলেন পূর্ণ কর্তৃত্ব নিয়েই। শ্রীঠাকুর যখন নির্বিকল্প ধ্যানে সমাধিস্থ থাকতেন বেশীর ভাগ সময় আর ভাবতেন এইভাবেই একদিন নির্বিকল্প ভূমিতে মহাসমাধি অবস্থায় দেহ ছেড়ে দেবো, সেই সময় একদিন হঠাৎ অলৌকিক ভাবে এসে পড়লেন মা ভবতারিণী। 
স্বামী মৃগানন্দের ‘অলৌকিক কৃপাময় সত্যানন্দ’ থেকে 
24d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে আকস্মিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পর থেকে জটিলতা মুক্তি ও কর্মে উন্নতি। ভ্রমণ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৫ টাকা৮৫.৫৯ টাকা
পাউন্ড১০৬.১০ টাকা১০৯.৮৬ টাকা
ইউরো৮৭.৯১ টাকা৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা