অমৃতকথা

দশমহাবিদ্যার

শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দপুরী মহারাজ একজন পণ্ডিত সাধক ছিলেন। তন্ত্র, পুরাণ এবং অন্যান্য শাস্ত্রীয় গ্রন্থ থেকে তিনি যথেষ্ট উদ্ধৃতি তাঁর রচিত গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছেন। কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গী ও কমলা ইঁহারাই দশমহাবিদ্যা। গ্রন্থকার এই দশমহাবিদ্যার অর্চনার সার্থকতা আলোচনা করেছেন। দশমহাবিদ্যার অর্চনার ও মাহাত্ম্য বর্ণনা প্রধানতঃ তন্ত্রশস্ত্রে পাওয়া যায়। সাধারণ পাঠকের পক্ষে এই দেবী সমূহের পূজা অর্চনার তত্ত্ব অনুধাবন করা খুবই কঠিন। গ্রন্থের ভূমিকায় শ্রীশ্রী পুরী মহারাজ পাঠকবর্গের অসুবিধার কথা মনে রেখেই যথাসম্ভব সহজ সরল ভাষায় দেবীদের মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে সচেষ্ট হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। শ্রীমৎ অদ্বৈতানন্দপুরী মহারাজ মূলতঃ একজন ব্রহ্মবাদী উপাসক ছিলেন। অপরপক্ষে দশমহাবিদ্যা প্রধানতঃ তান্ত্রিক দেবী। উল্লিখিত দশমহাবিদ্যা এক শক্তির বিভিন্নরূপ মাত্র। ব্রহ্মোপনার আলোকেই পুরী মহারাজ দশমহাবিদ্যার মাহাত্ম্য আলোচনা করেছেন। তাঁর মনে এই দশজন দেবী এক ঈশ্বরেরই বিভিন্নরূপ। এরূপ ব্যাখ্যা একরূপ অভূতপূর্ব যেতে পারে। দশমহাবিদ্যার মাহাত্ম্য আলোচনার পূর্বে শ্রীশ্রী মহারাজ শিবের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। শিব মঙ্গলের প্রতীক। তাঁর শক্তিই এই দশমহাবিদ্যায় প্রতিভাত হয়েছে। সুতরাং দশমহাবিদ্যা ও কল্যাণের প্রতীক। 
সাধক মহারাজের উপলব্ধিতে কালী করালবদনা সর্বগ্রাসী হলেও তিনি শিবা ও মঙ্গলময়ী। তাঁর মতে কালী জীবের যেমন মোহভঙ্গ করেন তেমনি তিনি মঙ্গল প্রদায়িণী সর্বমঙ্গলাও বটে। সাধক মহারাজ দেবী তারার পরিচিত প্রসঙ্গে বলেছেন— “বোধ বিকাশের দ্বিতীয়স্তরে যেভাবে উপনীত হওয়া যায় জ্ঞানবাহী প্রতীক ঋষিশিল্পে মা তারা। তিনি অজ্ঞান তিমিরহরা। মায়ের হস্তস্থিত অসির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি লিখছেন—“এই অসি জড়তার মহাপক্ষে নিমজ্জিত মায়াবদ্ধ জীবের স্থূলদেহে যে অহংবোধ ঐ অহংবোধের সুদৃঢ় সংস্কার খণ্ডন করবার উপযোগী মায়েরই মহাশক্তি। “শক্তি প্রয়োগের ফলে জীবের ভাঙ্গে মোহ হৃদয়ে উদিত হয় জ্ঞান ভানু।” 
দেবী ষোড়শী ব্যাখ্যায় “আমাদের মৃন্ময় দেহের অধিষ্ঠাত্রী আধ্যাত্মশক্তি দেবী চিন্ময়ী, আধার ষোড়শ।” এই জন্যই দেবী ষোড়শী। দেবী ভুবনেশ্বরীর প্রতি ভক্তি প্রণতি নিবেদন করে সাধক মহারাজ বলছেন, বিশ্ব ভূবনে তুমি সর্ব্বরূপে পরিপ্রাপ্তা, তুমি সর্ব্বশক্তি সমন্বিতা, অতএব সর্ব্বকারিনী দেবী ভৈরবী “ভক্তের অহিতকারী, দুষ্টজনের দণ্ডবিধানকারিনী।” দেবী ছিন্নমস্তার মাহাত্ম্য রজ তম গুণকে বর্জন করে সত্বগুণ অর্জন করা। দেবী ধূমাবতী “অলক্ষ্যশক্তি চালিকা আত্মশক্তি”। দেবী মাতঙ্গী “ভববন্ধন দুঃখহারিনী।” দেবী কমলা “চিন্ময়ীর বিকাশ মাধুরী”। দশমহাবিদ্যার মূলবিষয় হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে দেবী শক্তি জাগ্রত হয়। ইন্দ্রিয় দমনের মাধ্যমেই এই শক্তি অর্জন করা যায়। ইন্দ্রিয় দমনের জন্য যোগাভ্যাসের প্রয়োজন। 
দীপঙ্কর চৌধুরীর ‘অমৃত পুরুষ অদ্বৈতানন্দ’ (৩য় খণ্ড) থেকে
27d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা