অমৃতকথা

লীলা

তাঁহার লীলা কেহ বুঝিতে পারে না। জ্ঞানী হউক আর অজ্ঞানী হউক, সৎকর্ম করুক আর অসৎকর্ম করুক, সুখ-দুঃখ কর্মানুসারে সকলেরই ভোগ করিতে হয়। এ জগতে জন্মগ্রহণ করিয়া সুখ এবং শান্তিতে অবস্থান করে, এমন লোক অতি বিরল। বিশেষ ভাগ্যবান তিনিই, যিনি সকল বাসনা হইতে মুক্ত হইয়াছেন—বোধ করি শান্তিরাজ্যে তাহারই অধিকার। এ জগতে সুখের ভাগ অতি অল্প, দুঃখের ভাগই অধিক এবং এই দুঃখময় জীবন লইয়া সকলেই দিন অতিবাহিত করিতেছে। জগদীশ্বর পরম দয়াময় হইয়া কেন তাঁহার জীবকে এত কষ্টভোগ করান, ইহার গূঢ় ভাব তিনিই জানেন; সামান্য জীবের জানিবার কোন উপায় নাই। জীবের এত কষ্ট কেবল ‘আমি’ এবং ‘আমার’ এই অজ্ঞানবশতঃ। যাহার অহঙ্কার একেবারে পরিত্যাগ হইয়াছে—মন, বুদ্ধি, প্রাণ যিনি সেই জগদীশ্বরের পাদপদ্মে সমর্পণ করিয়াছেন—আমার বলিতে কিছুই নাই, এমত ব্যক্তিই সৌভাগ্যবান এবং যথার্থ সুখী। জীবের নিজের কোন বিষয় করিবার ক্ষমতা কিছুমাত্র নাই। কিন্তু সর্বদা তাঁহার নিকট এই প্রার্থনা ভিন্ন অন্য উপায় কিছু নাই—হে জগদীশ্বর, আমি কিছুই নই, এই চৈতন্যটুকু যেন থাকে এবং তুমি নিত্য এবং সত্য এই বোধ যেন সর্বদা থাকে। তাহা হইলে অজ্ঞান তাহাকে আক্রমণ করিতে পারে না। শ্রীশ্রীপরমহংসদেব বলিতেন, স্ত্রী-পুত্রাদিতে যেরূপ লোকের আসক্তি এবং ভালবাসা, ভগবানের নিমিত্ত কটা লোকের সেরূপ ভালবাসা হয়? বোধ করি তাহার শতাংশের এক অংশ জীব ভগবানকে ভালবাসিতে পারে না, এবং কয়টা লোকই বা ভালবাসিতে চেষ্টা করে।
বাহ্যজগৎ হইতে মন উৎপন্ন হইয়াছে এবং বাহ্যজগতে মন থাকিতে বড় ভালবাসে, ইহাই মনের স্বধর্ম। এই মনকে সর্বপ্রকারে বাহ্যবস্তু হইতে উঠাইয়া লইয়া সেই হরিপাদপদ্মে স্থিত করা—ইহা কেবল ভগবানের কৃপা না হইলে কোনমতে হওয়ার সম্ভাবনা নাই। উপস্থিত আমার মনের অবস্থা বড় ভাল নহে। যত দিন যাইতেছে ততই অজ্ঞান এবং অশান্তিতে মনকে জড়ীভূত করিতেছে। সাধনভজন দ্বারা মনের শান্তি পাইব এরূপ আশাও নাই। যেমন পক্ষীর পক্ষ না থাকিলে উড়া অসম্ভব, তদ্রূপ অনুরাগবিহীন সাধনভজনের চেষ্টা আমার পক্ষে বিফল হইতেছে। জানি না কতদিন আমাকে এরূপ অশান্তিতে এবং মনঃকষ্টে কালযাপন করিতে হইবে। শ্রীশ্রীজগদীশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতেছি এবং আপনারা আশীর্বাদ করুন যেন সত্বর দেহাদিভাব হইতে মুক্ত হইতে পারি। এ জনমে আর কোন আশা নাই। এখন বাঁচিয়া থাকা কেবল বিড়ম্বনামাত্র। আশীর্বাদ করুন যেন গুরুপাদপদ্মে মিশিয়া যাই, আর আমার কোন বাসনা না থাকে।
নরেন এখন কোথায় সাধনভজন করিতে গিয়াছে? পূর্ব পত্রে লিখিয়াছিলেন যে, পওহারী বাবার উপর পূর্বে যেরূপ শ্রদ্ধা এবং ভক্তি হইয়াছিল এখন তাহা আর নাই। এবার লিখিয়াছেন যে, তাঁহার আদেশে অন্য কোন স্থানে তপস্যা করিতে গিয়াছে। তাহা হইলে বোধ হইতেছে, তাঁহার উপর এখনো খুব বিশ্বাস আছে। নচেৎ তাঁহার কথায় কেন সাধন করিতে যাইবে? নরেন কি এখন গাজীপুরে নাই? বাবুরাম যদ্যপি পীড়িত অবস্থায় গাজীপুরে থাকে, তাহা হইলে আরোগ্য হইলেই যেন ফিরিয়া কলিকাতায় যায়। তাহাকে ফিরিয়া যাইতে আপনি পত্র লিখিবেন। এক জায়গায় থাকিলে নানাস্থানে যাইতে মন বড় ব্যস্ত হয়, সেটা কেবল ভ্রমমাত্র। শ্রীশ্রীগুরুদেবের কথায়ও আমাদের চৈতন্য হয় না। 
স্বামী ব্রহ্মানন্দের ‘ধর্মপ্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ’ থেকে    
14d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে আকস্মিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পর থেকে জটিলতা মুক্তি ও কর্মে উন্নতি। ভ্রমণ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৫ টাকা৮৫.৫৯ টাকা
পাউন্ড১০৬.১০ টাকা১০৯.৮৬ টাকা
ইউরো৮৭.৯১ টাকা৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা