Bartaman Patrika
 

মেজাজটাই আসল রাজা... 

 করোনা আবহে এখন সকলের মনেই আতঙ্ক। মারণ ভাইরাস ঘরবন্দি করে ফেলেছে গোটা বিশ্বকে। প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত শিল্প। ট্রেন বা বিমান পরিষেবা কবে আবার স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই। তবু হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলে তো চলবে না। মাস্ক-স্যানিটাইজার সহযোগে এই ‘নিউ নর্মাল’ দুনিয়ায় একটু প্রকৃতির শ্বাস নেওয়ার জন্য কি কাছে-পিঠে বেরিয়ে পড়া যায় না? বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ির আতিথেয়তায় কয়েকটা দিন কাটিয়ে এলে মন্দ কী? কোথায়, কেমন সেসব রাজবাড়ির অন্দরমহল? রাজঅতিথি হতে পকেটে রেস্তই বা কতটা প্রয়োজন? করোনা পরিস্থিতিতে জায়গাগুলো কতটা নিরাপদ? সবদিক খোঁজখবর নিয়ে লিখেছেন বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী।

ইতিহাসের গন্ধ মাখা রাজপ্রাসাদগুলিকে অতিথিশালায় রূপান্তরিত করে তাক  লাগিয়ে দিয়েছে রাজস্থান। গুজরাত বা মধ্যপ্রদেশও অনেকটাই সফল এই প্রচেষ্টায়। পর্যটনপ্রেমী বাঙালি সেসব জায়গায় অবসর কাটিয়ে নির্ভেজাল আনন্দ পান। অথচ এই বাংলার সীমানার মধ্যেই এমন বেশ কিছু রাজবাড়ি, জমিদারবাড়ি বা ঐতিহ্যশালী ভবন আছে, যেগুলিকে অতিথিদের বসবাসের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে অফুরন্ত আরাম। আশ্চর্য দেখনদারি। আর তাক লাগানো লাক্সারি। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও কেউ কেউ দরজা খুলে রেখেছে অতিথিদের জন্য। মেনে চলছে সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা। কেউ বা অপেক্ষায় আছে, করোনার গ্রাস পেরিয়ে মুক্ত হবে বাংলা।
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়ি। কলকাতা থেকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় ‘দ্য রাজবাড়ি বাওয়ালি’তে। ৩০০ বছরের পুরনো বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পুকুর, আশ্রম সহ বিশাল প্রান্তর। ক্লাসিক হেরিটেজ, ডাকবাংলো, জমিদারি স্যুইট, রয়্যাল স্যুইট, নতুন বাড়ি প্রভৃতি নামে থাকার ব্যবস্থা রাজকীয়। অথচ সর্বত্র পাঁচতারা আধুনিকতার ছোঁয়া। জিভে জল আনা হরেক খাবারের পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় পোস্ত বা সরষে বাটা দেওয়া বাঙালির চিরন্তনী পদও। করোনা সংক্রমণকালেও দরজা খোলা বাওয়ালির অতিথিশালার। এখানকার কর্ণধার অজয় রাওলার কথায়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব রকমের নির্দেশিকা মেনে আমরা অতিথিদের রাখছি। কোনও জায়গাই সেন্ট্রালি এয়ারকন্ডিশনড নয়। এমনভাবে থাকার জায়গাগুলি ছড়ানো, যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় সর্বত্র। এমনকী, রেস্তরাঁতেও সব অতিথিদের একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছি না আমরা।’ অতিথিরা চলে গেলে, গোটা একটা দিন খালি রাখা হচ্ছে ঘর স্যানিটাইজ করার জন্য। প্রতিটি কর্মীকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। এই রাজবাড়িতে জলখাবার নিয়ে ঘরভাড়া শুরু দৈনিক ৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কর অতিরিক্ত। তবে অজয়বাবু বলছেন, ‘যাঁরা একটু নিরিবিলিতে দিন দশেক বা সাতেকের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা এই রাজবাড়ি। আমরা তার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ করে দিতেও প্রস্তুত।’
কথা হচ্ছিল বালাখানা এস্টেটের কর্ণধার রণধীর পালচৌধুরীর সঙ্গে। নদীয়ার মহেশগঞ্জের যে পৈত্রিক বাড়িটিকে তাঁরা হেরিটেজ হোম স্টে করেছেন, সেটি আসলে ছিল এক নীলকর সাহেবের বাড়ি, যিনি জন্মসূত্রে ছিলেন একজন ইতালিয়ান। ১৮৮০ সালে রণধীরবাবুর ঠাকুরদা এই বাড়িটি কিনে নেন। এখন আধুনিক সাজে সাজানো হলেও, বাড়িটির মূল কাঠামোয় কোনও রদবদল হয়নি। এস্টেটের বিঘের পর বিঘে জমিতে খাঁটি গ্রামবাংলার গন্ধ। এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা অন্তত আরও একবার আসার ইচ্ছা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বিদেশিরাও এখানে এলে বাংলার আসল রূপ চিনতে পারেন। নদীয়ায় এখন বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউনের সমস্যা চলছে। তবু অনেকেই এর মধ্যেও আসার জন্য খোঁজখবর করছেন, জানালেন রণধীরবাবু। এখানে থাকার খরচ শুরু দিন পিছু পাঁচ হাজার টাকা থেকে। লাঞ্চ বা ডিনারের খরচ শুরু ৪০০ টাকা থেকে। কিন্তু সে স্বাদের মাহাত্ম্য আলাদা। গরমকালে বন্ধ থাকে এস্টেট। জুলাই থেকে খোলে। দোল পর্যন্ত অতিথিরা আসা যাওয়া করেন।
মেমারির কাছে আমাদপুরে রয়েছে আরও একটি হেরিটেজ হোম স্টে। যদিও করোনার কারণে আমাদপুর হেরিটেজ হোম স্টে’তে এখন অতিথিদের আসা যাওয়া বন্ধ, তবে খুব তাড়াতাড়ি আবারও খুলে দেওয়া হবে দরজা, জানালেন এখানকার কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট বা ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা অতিথিদের বুকিং নেওয়া শুরু করলেও, ৪০ শতাংশ ঘর খালি রাখবেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে আর যা যা করতে হয়, সেগুলির পাশাপাশি কঠোরভাবে এই নীতি মানবেন তাঁরা। এমনকী, খাওয়াদাওয়ার সময়ও যাতে একাধিক পরিবার একসঙ্গে বসে না খেতে পারে, তার জন্য বদলে দেওয়া হবে সময়ও। কিন্তু এই বিপর্যয়ের সময়টুকু কাটিয়ে উঠলে, সারা বছরই এখানে প্রকৃতির নানা স্বাদ পান অতিথিরা। বাঘ বাড়ি, মুখার্জি বাড়ি, দুর্গাবাড়ি, সাধু বাড়ি আশ্রম, রাধামাধবের মন্দির, আনন্দময়ী কালীবাড়ি, বড় কালী, খ্যাপাকালী, মেজো কালী, টেরাকোটার শিবমন্দির— সব মিলিয়ে চিরন্তনী বাংলার আশ্চর্য স্বাদ এখানে। সঙ্গে আটপৌরে আতিথেয়তা তো রইলই।
একসময় যে বাড়িতে এসে দিনের পর দিন কাটিয়ে সাহিত্যের রসদ সংগ্রহ করতেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সেই ইটাচুনা রাজবাড়িতে এই করোনা সংক্রমণেও অতিথি আনাগোনা অব্যাহত। এখানকার অন্যতম কর্তা ধ্রুব কুণ্ডুর কথায়, ‘হুগলির এই রাজবাড়ির আশপাশে তো কোনও সমুদ্র বা পাহাড় নেই। তবুও এখানে কখনও গেস্ট আসায় ছেদ পড়ে না। আমরাই ভাবতাম, কী এমন রহস্য আছে এখানে? দেখা গিয়েছে, এখানকার অতিথিরা তিনটি বিষয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। প্রথমত, এখানকার খাঁটি বাঙালি খাবার। দ্বিতীয়ত, এখানকার কর্মীদের আতিথেয়তা। তৃতীয়ত, গোটা রাজবাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন। করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই অতিথিদের আসার অনুমতি দিইনি। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ ফের করে দেওয়ায়, আবারও বিপুল সাড়া পেতে শুরু করেছি। তবে সাবধানতার খাতিরেই কিন্তু কম বুকিং নিচ্ছি।’ ইটাচুনা রাজবাড়িতে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে থাকা যায়। খাওয়ার খরচ তিন বেলা মিলিয়ে হাজার খানেক টাকা। কিন্তু সেখানে অফুরান আয়োজন।
বাংলার রাজবাড়িগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি অন্যতম। এই বিরাট এস্টেটের একটি অংশ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে পর্যটন শিল্পের জন্য। মূল রাজবাড়ি এখনও রাজাদের হাতে। সেখানে হেরিটেজ ট্যুরের জন্য খোলা থাকে দরজা। রাজবাড়ির অন্যতম কর্তা বিক্রমাদিত্য মল্লদেবের কথায়, ‘এই করোনা সঙ্কটের মধ্যেও যেমন প্রচুর মানুষ খোঁজ করছেন আসার জন্য, তেমন আসছেনও। জঙ্গল, পাহাড়, নদীর এমন সহাবস্থান আর কোথায়?’ শুধু যে ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ির আতিথেয়তার জন্যই এখানে অতিথিরা আসেন, তা নয়। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক রাজবাড়ি আছে, যেগুলি দর্শনীয়। সব মিলিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা এমন রাজকীয় আয়োজন দুর্লভই বলা চলে। থাকার খরচও নাকি খুব বেশি নয়।
মুর্শিদাবাদের বারিকোঠি প্রাসাদে আছে হেরিটেজ স্যুইট, র‌য়্যাল হেরিটেজ স্যুইট ও মহারাজা হেরিটেজ স্যুইট। কিন্তু এই প্রাসাদের আতিথেয়তায় সেটাই বড় কথা নয়। দেড়শো বছরের পুরনো খাট, আড়াইশো বছরের পুরনো আসবাব হোক বা সুদূর বিস্তৃত আমবাগান— ইতিহাস এখানে এখনও সর্বত্র বিরাজমান। মুর্শিদাবাদের কাশেমবাজার রাজবাড়িতে ভোলা ময়রা ও অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির যে আসর বসত, সেই ইতিহাস যেন এখনও কথা বলে এখানকার অন্দরমহলে। এই রাজবাড়িও এখন পর্যটকদের প্রিয় ঠিকানা।
নবাব আলিবর্দি খাঁ একসময় ডেনিশদের (ডেনমার্কের অধিবাসী) বাংলায় বসবাস ও ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় শ্রীরামপুরে গড়ে ওঠে ডেনিশদের ভিটে। এমনই এক ঐতিহ্যবাহী বাড়িকে সংস্কার করে গড়ে উঠেছে ডেনমার্ক টাভার্ন। শুধু যে নতুন প্রজন্মই এখানকার আতিথেয়তায় মজেছে, তা নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আপন করে নিয়েছেন ইতিহাসের গন্ধ মাখা এই বাড়িটিকে।
হেরিটেজ প্রপার্টিগুলিকে পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রক। ইন্ডিয়া ট্যুরিজমের রিজিওনাল ডিরেক্টর (ইস্ট) সাগ্নিক চৌধুরীর কথায়, ‘আমরা চাই, বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, যেগুলি এখন পর্যটকদের থাকার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেশের মানুষের কাছেও সমাদর পাক। কারণ বাংলার আতিথেয়তা বিশ্ববন্দিত। তার পাশাপাশি ইতিহাসকে আঁকড়ে দিনযাপন করার অনুভূতিই আলাদা। সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর পর্যটন মন্ত্রকও।’
09th  August, 2020
প্রকৃতির মাঝে, পাহাড়ের কোলে 

কোভিড নাইন্টিন বিনোদনপ্রিয় বাঙালির দিনগুলোকেই আলুনি করে দিয়েছে। সিনেমা হল বন্ধ। করোনার জন্য ঘোরার প্ল্যানও বিশ বাঁও জলে। বদলে মাস্ক, স্যানিটাইজার, কন্টেইনমেন্ট জোন, হটস্পট শব্দগুলো সারাক্ষণ কান পচিয়ে দিল। লাগাতার পাঁচমাস ঘরে আর কাহাতক বসে থাকা যায়। নিয়মবিধির মধ্যে থেকে অনেকেই চাইছেন ছোট্ট ট্যুরে যদি কয়েকটা দিন প্রাণভরে শ্বাস নিয়ে আসা যায়। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এমনই কয়েকটি হটস্পটের সন্ধান দিচ্ছেন বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী।  
বিশদ

06th  September, 2020
লাদাখের অচেনা গ্রামে 

করোনা ভাইরাস অতিমারীর ধাক্কায় আজ বিশ্বজোড়া মানুষ গৃহবন্দি। যাঁদের পায়ের তলায় সরষে, তাঁদের কাছে এই বন্দিদশা আরও কষ্টের। দেশ-বিদেশের প্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিও গত কয়েক মাস ধরে খাঁ খাঁ করছে। সারা দুনিয়া আজ সুদিনের অপেক্ষায় বসে রয়েছে।
বিশদ

09th  August, 2020
সুন্দরী ছিবো 

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী: দার্জিলিং থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরে এক অসামান্য পার্বত্য সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান ছিবো। এখানকার পাহাড়ের গায়ে গজিয়ে ওঠা বাড়িঘর দেখলে মনে হবে কাঠের বাক্স সাজানো রয়েছে পাহাড়ের ঢালে।   বিশদ

15th  March, 2020
বারবার সা ম থা র 

নবনীতা ভট্টাচার্য: গুহার সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। ঢালু জমি থেকে অন্ধকারে ঢুকে গিয়েছে গুহার মুখ। মরচে ধরা শুকনো পাতায় ঢাকা শুরুর পথ। হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে বকুনি খেলাম।  বিশদ

15th  March, 2020
গ্রামীণ সংস্কৃতির নিদর্শন
রাজস্থানের শিল্পগ্রাম

 অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: রাজস্থানের উদয়পুর শহরের একপ্রান্তে রয়েছে আরাবল্লী পর্বতের সীমারেখা। সেই পাহাড়ের পাদদেশেই ৭০ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পশ্চিম ভারতের গ্রামীণ শিল্প-সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন সমৃদ্ধ এথনিক ভিলেজ ‘শিল্পগ্রাম’। বিশদ

01st  March, 2020
  ভ্রমণ মেলার আকর্ষণ ছিল কাশ্মীর

 সম্প্রতি ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে হয়ে গেল তিন দিনের ভ্রমণ মেলা— ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার সামার। দ্বিতীয় বছরের এই ভ্রমণ মেলায় প্রধান আকর্ষণ ছিল জম্মু-কাশ্মীরের স্টল। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। বিশদ

01st  March, 2020
মানালিতে ইগলু  

বরফে ঢাকা মানালিতে এবার অন্যতম আকর্ষণ ইগলু হোটেল। এই শীতে যাঁরা মানালি যাবেন, তাঁরা নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে পারেন। নিজেদের এস্কিমো ভেবে থাকতে পারেন ইগলুতে। স্কি ড্রাইভাররা নিজেদের থাকার জন্য এই ইগলুগুলি তৈরি করেন বরফ দিয়ে। পর্যটকদের যদি ইগলুতে থাকার সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেই ভাবনাতেই এই ইগলু হোটেলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  
বিশদ

16th  February, 2020
হীরক রাজার দেশে 

পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত নান্দুয়াড়া গ্রামের জয়চণ্ডী পাহাড়। আদ্রা জংশন স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অপূর্ব সুন্দর পাহাড়। প্রায় ৪৫০টি সিঁড়ি কষ্ট করে বেয়ে পাহাড়ের উপর উঠতে হয়। উপরে রয়েছে জয়চণ্ডী মাতার মন্দির ও বজরঙ্গবলীজির মন্দির। 
বিশদ

16th  February, 2020
গ্যারান্টেড ডিপারচার পরিষেবা আসছে 

শুভজিৎ ঘোষ: বিগত কয়েক বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পে ভারত খুবই উন্নতি করেছে। আর এই উন্নত বাজারকে মাথায় রেখেই পর্যটন সংস্থা ‘এসওটিসি’ ভারতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই বছর সংস্থার ৭১তম বর্ষও বটে।  
বিশদ

16th  February, 2020
ভালো থেকো চুইখিম 

অজন্তা সিনহা: সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। ভিলেজ ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছেন এমন একজনের কাছে খবর পেলাম চুইখিমের। এবারের ট্রিপে আমার সঙ্গী আরও তিন কর্মব্যস্ত তরুণী। তাঁরা থাকেন কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বই। তিন শহরের মহিলা ব্রিগেড নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে চললাম চুইখিম।  
বিশদ

16th  February, 2020
ইন্দোনেশিয়ার লুয়াক কফি 

প্রতিমা ঘোষ: ইন্দিনেশিয়া থেকে ফিরেছি ১৫-১৬ দিন হল । মনে পড়ে গেল জোক জাকার্তার নামী-দামি, সুস্বাদু ‘লুয়াক কফি’র কথা। জোক-জার্কাতার বিশ্ববিখ্যাত বৌদ্ধমন্দির ‘বরোবুদুর’ দেখানোর পর গাইড জানালেন, বিকেলে এখানের প্রসিদ্ধ কফি গার্ডেন দেখবেন। সেখানে ‘লুয়াক কফি’ টেস্ট করবেন। কিনেও নিয়ে যাবেন বন্ধুদের জন্য। 
বিশদ

02nd  February, 2020
পিকনিকে বা ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসার ঠিকানা
বেলুড় রাসবাড়ি 

উত্তরা গঙ্গোপাধ্যায়: জানেন কি কলকাতা থেকে হুগলি নদী পার করে গঙ্গার পাড়ে রয়েছে এমন এক জায়গা যেখানে বেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন বাংলার মন্দির স্থাপত্যের সঙ্গে, জানতে পারেন ইতিহাসের টুকরো গল্প?  
বিশদ

02nd  February, 2020
টিকটক 

হাওড়া ব্রিজে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তিতে দেশবাসীকে উপহার আলোক ধ্বনিতে সাজানো হাওড়া ব্রিজ।  
বিশদ

19th  January, 2020
পাকদণ্ডী পথ বেয়ে উটি 

সুপ্রিয় নায়েক: পিছনে ধূসর আকাশ। আর সামনে প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর মতো আধশোয়া অলস নীলগিরি। তারই পিঠ আষ্টেপৃষ্ঠে পেঁচিয়ে সাপের মতো উঁচুতে গিয়েছে পাকদণ্ডী পথ। সেই সাপের প্রান্ত পড়ে থাকে বুরলিয়রে। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার ছোট্ট গ্রাম। সেখান থেকেই শুরু চড়াই।  
বিশদ

19th  January, 2020

Pages: 12345

একনজরে
মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিফল মণ্ডল। ...

কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার নতুন মোড় নিতে চলেছে। এই কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআইয়ের নজরে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ন’টি বিশাল প্লট। বহু কোটি মূল্যের ...

শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি মানতে বাধ্য হল মোদি সরকার। করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের শংসাপত্রে আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকছে না। ভোটের আদর্শ  নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে কমিশনের নির্দেশ মতোই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছবি। ...

বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করতে চলেছেন কৃষকরা। উপস্থিত থাকবেন রাকেশ টিকায়েত। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ইস্যুতে ভোটের বাংলায় গোটা রাজ্যে সবমিলিয়ে ছ’টি মহাপঞ্চায়েত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM