হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে—
বিবিএ: স্নাতক স্তরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় বিবিএ। যে কোনও স্ট্রিম থেকে বিষয়টি পড়ে নেওয়া যায়। কোর্সের মধ্যে স্পেশালাইজেশন করার সুযোগ থাকে। বিবিএ পড়ার পর পেশার জগতে পা রাখার সুযোগ রয়েছে। আবার এমবিএ পড়ার প্রস্তুতি হিসাবেও সাহায্য করে থাকে। ফিনান্স, সেলস, মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরি পাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয় বিবিএ।
বিবিএ অ্যাকাউন্টেন্সি, ট্যাক্সেশন অ্যান্ড অডিটিং:
কোনও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়, আয়ের উৎস এবং আর্থিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়, ফান্ডের ব্যবহার এইগুলি নিয়ে আলেচনা করে। এই বিষয়গুলি যেকোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড। এর উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য। বিবিএ-এর এই বিষয়টির মধ্যে ফিনান্স এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট দু’টি দিক নিয়েই পড়ানো হয়ে থাকে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি এবং নতুন ধরনের ট্যাক্স স্ট্রাকচার তৈরি হওয়ার জন্য এই ধরনের পেশাদারদের কাজের সুযোগ বেড়েছে।
বিবিএ ইন ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস:
ব্যাঙ্কিং, ফিনান্সিয়াল বিজনেস এবং পুঁজির বাজারের সঙ্গে সংযোগ সাধনের জন্য বিষয়টি খুবই কার্যকারী। স্নাতকস্তরে বিষয়টি নিয়ে পড়ার পর ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত দক্ষতা যেমন— যোগযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস, উপস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আবার পিআর (পাবলিক রিলেশন) গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দক্ষতাও তৈরি হয়। আর এ কারণে পড়া শেষে ব্যাঙ্কিং বা ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কাজের সুযোগ নেওয়া যায় ব্রোকিং হাউস, মাইক্রো ফিনান্স অর্গানাইজেশনে।
বিবিএ বিজনেস অ্যানালিটিক্স:
বিষয়টি শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটিস্টিক্স ও ডেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে ব্যবসার বিশ্লেষণ করার শিক্ষা দিয়ে থাকে। কোনও প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অতীতের বৈষয়িক এবং আর্থিক দিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়। সেটি দেখার জন্যই এই বিষয়টি দক্ষ পেশাদার তৈরি করে। বিষয়টির মধ্যে রয়েছে ডেটা ইনভায়রনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ডেটা মাইনিং-এর মতো বিষয়গুলি। এই বিষয়টি প্রযুক্তিগত দিকটি যেমন দেখে আবার ম্যানেজমেন্টের দিকটির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে।
পড়া শেষে কাজের পরিধিও অনেকটা বেড়ে যায়। আইটি ফার্ম, টেলিকম কোম্পানি, ই-কমার্স, বিজনেস অ্যানালিটিক্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম, কনসালটেন্সিতে যোগদান করা যায়। দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়ে। কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, কোয়ান্টিটেটিভ অ্যানালিস্ট, হেলথ কেয়ার অ্যানালিস্ট, স্ট্যাটিস্টিশিয়ান, ডেটা সায়েন্টিস্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজার, মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্ট, হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
বিবিএ ইন ডিজিটাল মর্কেটিং:
ইন্টারনেট, মোবাইন ফোন, ডিসপ্লে অ্যাডভার্টাইজিং বা অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়ার সাহায্যে, বলা যেতে পারে ডিজিটাল টেকনোলজিকে ব্যবহার করে সেলস এবং মার্কেটিং করা বিষয়টির মূল।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে পড়ার পর কাজের জগতের মধ্যে রয়েছে— আইটি এবং সফটওয়্যার কোম্পানি, ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি, ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি, ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, ডেটা অ্যানালিসিস এজেন্সি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ম্যাগাজিন এবং প্রকাশনী সংস্থা।
বিবিএ ইন সাপ্লাই অ্যান্ড চেন ম্যানেজমেন্ট:
আধুনিক ম্যানেজমেন্ট কোর্সগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় সাপ্লাই অ্যান্ড চেন ম্যানেজমেন্ট। সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পদ্ধতির উপর আলোকপাত করে এই ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি। ইন্টারনেট নির্ভর প্রযুক্তিগুলো এই ম্যানেজমেন্টের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। আরও বড় বিষয় হল বিশ্ব বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও সাপ্লাই অ্যান্ড চেন ম্যানেজমেন্ট সমাদৃত। এই সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি শিক্ষার্থীদের পণ্য সংগ্রহ করা, পণ্য তালিকা তৈরি করে সংরক্ষণ করা, সেগুলি বিতরণের পদ্ধতি, তা ক্রেতার কাছে পৌঁছনোর পদ্ধতি, খুচরো বা পাইকারি বাজার কী হবে, বিক্রেতা কারা হবে, ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, আবার ট্রেডিং পদ্ধতি কেমন হবে, ব্যবসায়িক নীতিগুলি সম্বন্ধেও সম্যক জ্ঞান দিয়ে থাকে।
পড়া শেষে হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠানে, আইটি সেক্টরে, ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে এবং ই-কমার্সের কাজ যে সকল প্রতিষ্ঠানে হয়, সেইসব জায়গায় কাজের সুযোগ রয়েছে। বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও অটোমোবাইল কোম্পানিতে কাজের সুযোগ মেলে।
বিবিএ ইন ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:
যে কোনও ইন্ডাস্ট্রি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি থাকে। ইনস্যুরেন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পেশাদারদের দায়িত্ব থাকে সেই ঝুঁকি কীভাবে কমানো যায় বা ঝুঁকির মধ্যে পড়তেই না হয়, তার ব্যবস্থা করা। এই কোর্সটি ছাত্রছাত্রীদের শেখায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকি কীভাবে বুঝতে হয়, তার ম্যানেজমেন্ট কেমন হবে প্রভৃতি। কোর্স শেষে কাজ করা যায় ক্লেমস অ্যাডজাস্টারস বা এক্সামিনার হিসাবে, ইনস্যুরেন্স আন্ডার রাইটার্স হিসাবে, রিস্ক ম্যানেজার্স বা অ্যানালিস্ট হিসাবে, ইনস্যুরেন্স ম্যানেজার হিসাবে ও রিস্ক কন্ট্রোল কনসালট্যান্ট হিসাবে।
বিবিএ ইন রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট-
আবাসন, ভূসম্পত্তি, জমি-জায়গা সংক্রান্ত পড়াশোনা করতে চায় যারা, এই কোর্সটি রয়েছে তাদের জন্য। কীভাবে জমি জায়গা হাতবদল হবে, বর্তমান বাজার দর, সেলস এবং সাপোর্ট সিস্টেম কেমন হবে সবই শেখানো হয় এই কোর্সটিতে। এই অফবিট কোর্সটির এখন খুবই চাহিদা রয়েছে।
বিবিএ ইন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট-
একটু অন্য ধরনের পড়াশোনা বিবিএ ইন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। প্রকৃতপক্ষে স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিতে যে ধরনের ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলে তার ম্যানেজমেন্টের দিকটি দেখেন স্পোর্টস ম্যানেজাররা। যাদের খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এবং শারীরিকভাবে সক্ষম, তাদের জন্য এই কোর্সটি খুবই উপযোগী।
স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রি, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টে, মিডিয়া বা মার্কেটিংয়ে কাজের সুযোগ রয়েছে। এইচ আর ম্যানেজার, ইভেন্ট ম্যানেজার, ডিরেক্টর, ইভেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্ট, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং অপারেশন কোঅর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করা যায়।
বিবিএ ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট:
ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ পেশাদারদের। এই পেশাদার তৈরির লক্ষ্যে কোর্সটি তৈরি হয়েছে। হেলথ কেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে হেলথ কেয়ার স্টাফ ছাড়াও প্রয়োজন এই দক্ষ ম্যানেজারদের। যারা প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
কেরিয়ার হিসাবে রয়েছে হসপিটাল অপারেশন, এনজিও-এর হেলথ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, হেলথ কেয়ার কনসালট্যান্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইনিং হসপিটালস, হেলথ কেয়ার ইনস্যুরেন্স, মেডিক্যাল ট্যুরিজম, টেলি মেডিসিন।
বিবিএ ইন ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট:
ফার্মাসির বিভিন্ন বিষয়গুলি হল— অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, ফার্মাকোলজি। এছাড়াও এই কোর্সের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ম্যানেজমেন্ট কোর্সও রয়েছে। বর্তমান সময়ে ফার্মাসি ইন্ডাস্ট্রির কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ম্যানেজমেন্ট কোর্স হওয়ার জন্য ম্যানেজেরিয়াল জব যেমন পাওয়া যায়, আবার সরকারি এবং বেসরকারি ফার্মা কোম্পানিতে, হেলথ কেয়ার অর্গানাইজেশনে কাজের সুযোগ রয়েছে।
বিবিএ ইন হেরিটেজ টুরিজম:
এখন প্রায়ই দেখা যায় এই কলকাতা শহরেই বিশেষভাবে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বা কোনও মিউজিয়াম দেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ছোট ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিজমের যে জায়গাগুলি রয়েছে, সেগুলিই হেরিটেজ ট্যুরিজমের বিষয় । কাস্টমার সার্ভিস, টিকিটিং, ট্যুর অপারেশন প্রভৃতি কিছু সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি করে দেয় এই কোর্সটি। পাশ করার পর পেশাদার হতে গেলে বর্তমান প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে, যে কোনও ধরনের সমস্যা তৈরি হলে কাস্টমারকে অসন্তুষ্ট না করে, তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এই কোর্সটি।
বিবিএ ইন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট:
বিবিএ কোর্স হওয়ার জন্য বিষয়টির মধ্যে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়টি বিশেষ গুরত্বপূর্ণ। ট্রাভেল ও ট্যুরিজম বিষয়টি থাকার জন্য ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটির দিকটিও দেখা হয়।
কাজের সুযোগ রয়েছে হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি, গভর্নমেন্ট ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট, হোটেলস অ্যান্ড অ্যালায়ড সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস সার্ভিস, টিকিটিং এজেন্সিতে, ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড কার্গো কোম্পানি সহ প্রভৃতি জায়গায়।
এছাড়াও ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট এমপ্লয়ি, টিকেটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভিসা এক্সিকিউটিভ, ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার, ট্যুর ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ, ফ্রন্ট অফিস এক্সিকিউটিভ, ট্যুর অপারেটর, লবি ম্যানজার, রিজার্ভেশন এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে।
ব্যাচেলর ইন হোটেল ম্যানেজমেন্ট:
হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিকে পেশা হিসাবে নিতে গেলে পড়ে নেওয়া যায় এই কোর্সটি। কোর্সটির মধ্য রয়েছে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রিপারেশন, হাউস কিপিং অপারেশন, ফ্রন্ট অফিস অপারেশন, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, বিজনেস কমিউনিকেশন, সেলস, মার্কেটিং প্রভৃতি। ম্যানেজমেন্ট কোর্স হওয়ার জন্য কোর্স শেষে হোটেলের কাজে যোগদান করা যায়। আবার ফ্রন্ট অফিস এগজিকিউটিভ, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এগজিকিউটিভ হওয়া যায়।