বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
তবে ভেঙে পড়বেন না, জীবনটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না— দ্বিতীয় ক্ষেত্রের পড়ুয়াদের দিশা দেখাচ্ছেন দেশের সেরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আইআইটি, আইআইএসসি, আইআইএসইআর-এর মতো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বয়ম (এসডব্লুএওয়াইএএম— স্টাডি ওয়েবস অব অ্যাকটিভ-লার্নিং ফর ইয়ং অ্যাস্পায়ারিং মাইন্ড)-এর উদ্যোগে চালু হয়েছে এনপিটিইএল (ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন টেকনোলজি এনহ্যান্সড লার্নিং)। এখানে অনলাইনে বিনামূল্যে কয়েকশো পাঠ্যক্রম থেকে পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারেন যে কোনও ছাত্রছাত্রী। রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, হিউম্যানিটিক্স, ম্যানেজমেন্ট, এমনকী আইনের মতো বিষয়ও। অনলাইনে ভিডিওর মাধ্যমে পড়াবেন আইআইটি থেকে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বিনামূল্যে। পরীক্ষাও হবে অনলাইনেই। তবে ঘরে বসে নয়, পরীক্ষা দিতে হবে নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রে। এবং সেই পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে লাগবে ন্যূনতম কিছু অর্থ। ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সেশনে ২৯১টি বিষয় পড়ানো হয়েছিল স্বয়ম-এনপিটিইএল-এ। রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন ১৬ লাখের বেশি পড়ুয়া। ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও ১৫টি দেশ থেকে পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশন করেন। তার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুই লাখের বেশি। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি ছিলেন বাংলা থেকে। এই বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সেশনে ৩৬০টি কোর্স পড়ানো হচ্ছে এনপিটিইএল-এ। রেজিস্ট্রেশন চালু রয়েছে আজ, সোমবার অর্থাৎ ৫ আগস্ট পর্যন্ত। www.swayam.gov.in-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।
সম্প্রতি সল্ট লেকের নিক্কো পার্কের ব্যাঙ্কোয়েটে এই এনপিটিইএল-এ অংশেগ্রহণকারী পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সেরা কলেজগুলি এবং সেরা ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল আইআইটি খড়্গপুর। সেখানে উপস্থিত সকলের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অরুণাচল প্রদেশের এনইআরআইএসটি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পামির রায়। এনপিটিইএল-এর ১৪ বিষয়ে সফলভাবে পরীক্ষায় পাশ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে এনপিটিইএল-এর কোর্ডিনেটর এবং আইআইটি খড়্গপুরের শিক্ষক শিবশঙ্কর দাস বললেন, অনেকে বিষয়টি এখনও জানেন না। তাই এর সুযোগ নিতে পারছেন না। কার্যত সারা জীবন ধরেই এই মাধ্যম থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন কেউ। সে তিনি কোনও কলেজে পড়ুন বা না পড়ুন, অথবা কোথাও কাজ করুন বা না করুন- কিছু আসে যায় না।
এনপিটিইএল-এর কোঅর্ডিনেটর এবং আইআইটি খড়্গপুরের ডিন, কন্টিনিউয়িং এডুকেশন-এর অদ্রিজিৎ গোস্বামী বললেন, মূলত তিন ধরনের মানুষ এর সুযোগ নিতে পারেন। ধরা যাক কোনও কলেজে পড়ছেন কোনও পড়ুয়া। তিনি বিশেষ একটি বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান, কিন্তু ওই কলেজে সেই বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় সেটা করে উঠতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে তিনি এনপিটিইএল-এ সেই বিষয়ে পড়াশোনা চালাতে পারেন। দ্বিতীয়ত, কর্মরত পেশাদাররাও এখানে আসতে পারেন। এর আগে যা পড়েছিলেন সেটা ঝালিয়ে নেওয়ার মতো এত ভালো প্ল্যাটফর্ম আগে ছিল না। এছাড়া কলেজের শিক্ষকরাও এর সুযোগ নিতে পারেন। ইউজিসি বা এআইসিটি-র মতো সংস্থা যে এই পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি দিয়েছে শুধু তাই নয়। ইউজিসি তো জানিয়েছে, শিক্ষকদের প্রোমোশন বা পদোন্নতির আগে এনপিটিইএল থেকে দুই, তিনটি বিষয়ে কোর্স করে নিলে ভালো হয়।