যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ছিল অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় রচিত ও নির্দেশিত পাঁচটি শ্রতিনাটক ও একটি গল্পপাঠ। বিষয় দুর্গোৎসব। বোধন থেকে বিসর্জন, পুজোকে ঘিরে মানুষের অন্তরমহলের আবেগ-আশঙ্কা, বৈভব-বিষাদ, আশা-নিরাশার টানাপোড়েন টানটান নাটকীয়তায় ফুটে উঠল পরিবেশনার গুণে।
প্রথমে ‘বোধন’। বৃদ্ধাশ্রমবাসী এক বিধবা ও এক বিপত্নীকের নতুন সম্পর্কের বোধন। ‘সুশাব্দিক’ প্রযোজিত শ্রুতিনাটকটিতে অভিনয়ে মন ভরালেন অনিন্দ্য গুপ্ত ও সুমনা দাস। পুঁজি সীমিত কিন্তু প্রেম অফুরন্ত। চাহিদাহীন চমকে দেওয়া প্রাপ্তিগুলোই তো মনের প্রাঙ্গণে উৎসব বয়ে নিয়ে আসে।
‘রানির সাজ’ নাটকে প্রাঞ্জল অভিনয় সঞ্জয় দত্ত ও ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এছাড়াও ছিল শৌভিক সেন, সুতপা সেনগুপ্ত, সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘বিজয়া’, শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়, অন্বেষা দত্ত, রিয়া দেব, অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ‘বলি’। কালারস বাচিক প্রযোজিত, তিলক ভট্টাচার্য, কমলিকা দত্ত, তমালি গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘সিঁদুর খেলা’ নাটকটি চমৎকার ও সুখশ্রাব্য। শেষ তিনটি শ্রুতিনাটকে অংশ নেন অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ও। মনকাড়া বাচনভঙ্গিতে ‘বনেদিয়ানা’ গল্পটি পাঠ করেন সত্যপ্রিয় সরকার। অনুষ্ঠানের ফাঁকে সম্মান জানানো হয় সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ডঃ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমুদ্র বসুকে। আবহ ও সঞ্চালনায় ছিলেন যথাক্রমে সন্দীপ দে ও অন্বেষা আচার্য।