হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের একের পর এক আধিকারিককে বিশেষ পদ্ধতিতে খুন করা হচ্ছে। তদন্তে নেমে খুনিকে ধরতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে তদন্তকারীরা। তদন্তকারী দলে রয়েছে কলকাতা পুলিসে নতুন যোগ দেওয়া রেসিডেন্ট ক্রিমিনোলজিস্ট কিংশুক রায় (অনির্বাণ ভট্টাচার্য)। তার তীক্ষ্ম বুদ্ধিতেই খুনির কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে পুলিস। কিন্তু খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে রয়েছে উপর মহলের চাপ। একটা সময় তদন্তের দলে রদবদল হয়। বদলে যাওয়া চিত্রটা পর্দায় দেখাই ভালো।
বাংলার তাবড় অভিনেতাদের এক ছাদের তলায় নিয়ে এসেছেন বিরসা। সিনেমা হলে ছবি দেখার অতিরিক্ত একটা মজা হল,পরিচালক বিরতির ঠিক আগে গল্পের অন্ধকার ঘরে নতুন একটা দরজা খুলে দেন। সেই দরজা দিয়ে আলো ঢোকে। চোখ বন্ধ হয়ে যায়। বিরসার এই ছবিতেও সেই ব্যাপারটা রয়েছে। অনির্বাণ এর আগেও গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে এই চরিত্রটি খানিক অন্যরকমের। আটপৌরে ভিজে বেড়াল অথচ রক্ত গরম। আর এক আধিকারিকের চরিত্রে রয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। নিঃসন্দেহে এই শক্তিশালী অভিনেতা তাঁর মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। অনেকদিন পর বড়পর্দায় চান্দ্রেয়ী ঘোষকে পাওয়া গেল। রয়েছেন কৌশিক সেন। কিংশুকের স্ত্রীয়ের চরিত্রে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে ভালোই অভিনয় করেছেন। ছোট চরিত্রে টোটা রায়চৌধুরীও বেশ ভালো। ছবিতে অতিথি শিল্পী সোহিনী সরকার।
ছবিতে ভিলেনের দৃশ্যগুলোয় ব্যাকগ্রাউন্ডে মাউথঅর্গানের মিউজিক শোনা গিয়েছে। সেটিও বেশ কানে লেগে থাকার মতো। ছবির ভাঁজে ভাঁজে নীতিবাক্যের মতো কিছু সংলাপের ব্যবহার করেছেন পরিচালক। সেগুলো শুনতে ভালোই লাগে। কিছু কিছু জায়গায় পরিচালক আরও একটু নিখুঁত ভাবনাচিন্তা করলে ফুল মার্কস পেতেন। উত্তরবঙ্গ থেকে কিংশুকের কাছে কলকাতায় ফোন আসে। আর সেই ফোন পেয়েই সে এমনভাবে বলল, ‘এক্ষুনি যাচ্ছি’, মনে হল যেন পাশের পাড়ায় যাচ্ছে। পুলিসে যোগ দেওয়ার পর প্রথম অপারেশন কিংশুকের। অথচ তার হাতে পিস্তল নেই। আর এক আধিকারিক তাকে পিস্তল দিল। সে কি পিস্তল চালানো না জেনেই অপারেশনে এসেছে? দৃশ্যটা দেখে সব কেমন যেন গুলিয়ে যায়।
গোয়েন্দাদের মতো চোখ ছোট করে যাঁরা ছবি দেখতে বসবেন, তাঁদের চোখে এসব পড়তেই পারে। তবে এগুলো বাদ দিয়ে বুদ্ধির খেলা দেখতে এবং উত্তেজনা বজায় রেখে নখ কামড়াতে কামড়াতে এই ছবি দেখা যেতেই পারে।