মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ডাঃ রবার্ট এডওয়ার্ডস এবং ডাঃ প্যাট্রিক স্টেপটোর গবেষণার ফলে জন্ম হয় বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইসি ব্রাউনের।এই ঘটনার ঠিক ৬৭ দিন পরে, ভারতে, দুই সহযোগী ডাঃ সরোজকান্তি ভট্টাচার্য এবং অধ্যাপক সুনীত মুখোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় গবেষণা সৃষ্টি করেন দেশের প্রথম টেস্টটিউব বেবি কানুপ্রিয়া’কে!
এই কাজের জন্য ডাঃ এডওয়ার্ডস নোবেল পান ২০১০ সালে।অথচ ডাঃ রবার্ট এডওয়ার্ডস এবং ডাঃ প্যাট্রিক স্টেপটোর ডিম্বাণু সংগ্রহ করার পদ্ধতি ছিল জটিল। রোগীর পক্ষে কষ্টদায়কও। উপরন্তু বিভিন্ন শারীরিক অবস্থায় ভ্রূণ প্রতিস্থাপনে সাফল্যের হারও ছিল বেশ কম।অথচ তূল্যমূল্য বিচারে ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আইভিএফ পদ্ধতি ছিল সহজ। সাফল্যের হার যথেষ্ট বেশি! কিন্তু ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে গেলেন অন্ধকারে। কাজের স্বিকৃতি তো মিললো না, উপরন্তু মিলল বিদ্রূপ, অবহেলা। সেষ পর্যন্ত ডাঃ মুখোপাধ্যায়কে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হল!মানবজাতির হিতে ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার পরে এক গবেষকের এহন পরিণাম কি আদৌ প্রার্থিত ছিল? এমন কী বা ঘটেছিল যে শেষ পর্যন্ত তাকে আত্মহত্যা করতে হল। গাঙচিল প্রকাশনার ‘মরণোত্তর মুকুট’ আলোকপাত করেছে ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সেই আঁধার আচ্ছন্ন জীবনে।