সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
রাজস্থানের ভরতপুর থেকে উত্তরপ্রদেশের বেরিলি। কম দূর নয়। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই হবে। সঙ্গে রয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে। সে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়েই সাইকেল চুরি করেছিলেন লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকটি। তবে সাইকেল চুরি করলেও নিজের অসহায়তার কথা জানিয়ে মালিকের জন্য হিন্দিতে একটি চিঠি লিখে রেখে যান তিনি। চিঠিতে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘নমস্কার, আমি আপনার সাইকেলটি নিয়ে যাচ্ছি। পারলে আমায় ক্ষমা করবেন। কারণ, আমার কাছে এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আমার সঙ্গে বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে রয়েছে। সে হাঁটতে পারে না। তার জন্যই আমি এই কাজ করলাম। আমাদের বেরিলি যেতে হবে।’ পরদিন সকালে চিঠিটি দেখতে পান সাইকেলের মালিক। সম্প্রতি চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
খেলতে খেলতে গুপ্তধন
দীর্ঘ এই লকডাউনে সন্তানদের সময় কাটবে কীভাবে? আপাতত এটাই বাবা-মায়ের কাছে বড় চিন্তার ব্যাপার। তাই বিরক্তি কাটাতে বাড়ির বাগানে বা আনাচে কানাচে চলছে খেলাধুলো। এভাবেই খেলা করতে গিয়ে গুপ্তধনের সন্ধান পেল দুই শিশু। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার ইউরো। জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় ফ্রান্স সরকার লকডাউন ঘোষণা করতেই প্যারিস ছেড়ে ভেনডোম এলাকায় পৈতৃক বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এক দম্পতি। সেখানে থাকাকালীন বাগানে একটি কুঁড়েঘর বানাতে শুরু করে ওই দম্পতির দুই ছেলে। বছর দশেকের দুই খুদের উৎসাহ দেখে তাদেরকে দিদার পুরনো চাদর ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বাবা। স্টোররুমে ঢুকে পুরনো চাদর ধরে টান দিতেই হঠাৎ ভারী দু’টি বস্তু নীচে পড়ে। সেসব অবশ্য দেখার সময় ছিল না দুই ভাইয়ের। বস্তুগুলি আবার একই স্থানে রেখে চাদর নিয়ে আসে শিশুরা। পরে বাবাকে দু’টি বস্তু পাওয়ার কথা জানালে তাদেরকে সেগুলি নিয়ে আসতে বলে বাবা। জিনিসগুলি হাতে পেয়ে চোখ কপালে ওঠে ওই ব্যক্তির। কারণ, ওই ভারী দু’টি জিনিস অন্য কিছু নয়, দু’টি সোনার বার। এরপরেই স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নিলামে উঠতে চলেছে ১৯৬৭ সালে কেনা ওই সোনার বার দু’টি। প্রতিটির দাম ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ইউরো। এদিকে, এই গুপ্তধন পাওয়ার পর বাবার কাছে একটি সুইমিং পুল তৈরি করে দেওয়ার দাবি তুলেছে দুই খুদে।
সপ্তাহে কাজের দিন ৪?
সপ্তাহে কাজের দিনের সংখ্যা হোক চার-এমনটাই চান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশীয় পর্যটন শিল্প চাঙ্গা করার বিষয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময়েই এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। জেসিন্ডা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় মানুষ ঘরে বসেই অফিসের কাজ করেছেন। এতে তাঁরা বেশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আর বছরে ৬০ শতাংশ পর্যটকই এদেশের নাগরিক। পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এখন অফিসের কাজ সহজ করে দিয়ে মানুষকে ঘুরতে দেয়া উচিত। বহু মানুষ সপ্তাহে চারদিন কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি মালিক ও কর্মীদের মধ্যেকার বিষয়। নিউজিল্যান্ডে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় গত সপ্তাহে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। দোকানপাট, স্কুল, পার্ক, স্টেডিয়াম, জিম থেকে শুরু করে একে একে সব কর্মস্থল খুলে দেয়া হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ১০ শতাংশ নির্ভর করে পর্যটনের উপর। যদিও করোনার কারণে এ বছর সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করতে দেশীয় পর্যটকদের উপরেই ভরসা রাখছে নিউজিল্যান্ড।
গরমের গুঁতো, শিকেয় লকডাউন
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। ব্যতিক্রম নয় ব্রিটেনও। কিন্তু তীব্র গরম পড়ায় লকডাউন শিকেয় তুলে সেখানে সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছে মানুষ। জানা গিয়েছে, গত বুধবার গরম এতটাই বেশি ছিল যে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে বহু মানুষ। ভিড় জমান সমুদ্র সৈকতে। লকডাউন শুরুর পর থেকে এই প্রথম এত মানুষ ঘরের বাইরে বের হন। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি বিভিন্ন শহরের বড় বড় পার্কগুলিতেও হাজির হন বহু মানুষ।
মোনালিসা বিক্রি?
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অধিকাংশ দেশ। ব্যতিক্রম নয় ফ্রান্সও। দিনের পর দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাই আর্থিক মন্দা সামাল দিতে এবার লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি ‘মোনালিসা’ বিক্রির পরামর্শ দিলেন সেদেশের এক প্রযুক্তি সংস্থার প্রধান। প্রযুক্তি সংস্থা ফেবারনোভালের প্রতিষ্ঠাতা স্টেফানে ডিস্টিঙ্গুইনের মতে, মোনালিসা বিক্রি করা হলে সেখান থেকে বড় রকমের আর্থিক সহায়তা মিলবে। তা দিয়ে করোনা পরিস্থিতির ধাক্কা অনেকটাই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। ইতালির জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী সিভিচ্চি অবশ্য এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির এই শিল্পকর্মটি ল্যুভরে রয়েছে ঠিকই, তবে তা ফ্রান্সের সম্পদ নয়। তাই এই শিল্পকর্ম বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। মোনালিসা বিক্রির সম্ভাবনার কথা সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে ওয়ার্ল্ড পেইন্টিং ফোরামও। জানিয়েছে, মোনালিসা বিক্রি করা হলে তারা ফ্রান্সের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
গোপন নথি ফাঁস, ৬ লক্ষের বেশি আক্রান্ত চীনে
চীনের উহান থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনার উৎসস্থল হলেও চীনে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ্যে আসেনি বলে দাবি করেছেন বহু বিশেষজ্ঞ। তাঁদের দাবি, চীন সরকার এতদিন করোনা আক্রান্তের যে তথ্য জানিয়েছিল, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা তার চেয়ে অনেকটাই বেশি। সম্প্রতি চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য এই দাবিকে আরও জোরালো করেছে। চীনের হুনান প্রদেশে অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজি থেকে ফাঁস হওয়া ওই নথি থেকে জানা গিয়েছে, চীনে এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবের তুলনায় যা প্রায় সাড়ে ৬ গুণ বেশি। একাধিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চীনের অন্তত ২৩০টি শহরের ৬ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাঁদের দেহে এর কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। ফলে শুধু চীন নয়, বিশ্বের সব দেশেই সরকারি হিসেবের থেকে প্রকৃত আক্রান্ত অনেক বেশি হতে পারে।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যেই?
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও চ্যাট চলছে। তার মধ্যেই নগ্ন হলেন এক ব্যক্তি। যা ঘিরে তোলপাড় বিশ্ব। জানা গিয়েছে, দেশের আমলা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জুম ভিডিও কলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। সেই সময়ে ভুলবশত ভিডিও কল অফ না করেই নগ্ন হন এক ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ভিডিও কলে আচমকা ওই ব্যক্তিকে নগ্ন অবস্থায় দেখে মাঝপথেই আলোচনা থামিয়ে দেন বলসোনারো। ব্রাজিলের শিল্পমন্ত্রী পাওলো গুয়েদাস সেই ভিডিও কলে ছিলেন বলসোনারোর ঠিক পাশেই। তিনি জানান, ওই ভদ্রলোক নগ্ন হয়ে স্নান করছিলেন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নাচের আসর!
নাচের আসর! তাও আবার খোদ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে! চোখ কপালে তোলার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। সমস্তিপুর জেলার কারাখ গ্রামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মনোরঞ্জনের জন্যই বাইরে থেকে নর্তকীদের আনা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারা এই নাচের আসরের আয়োজন করেছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রসাশন। সমস্তিপুরের অতিরিক্ত কালেক্টর রবি রঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিনোদনের জন্য টিভির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিনোদনের জন্য বাইরে থেকে কাউকে আনার অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন।
করোনা তহবিলে সঞ্চয় দিলেন ভিক্ষুক
গোটা দেশকে এক নতুন পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে করোনা। সম্পূর্ণ অচেনা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসছেন বহু মানুষ। নিজেদের মতো করে। এমনই একজন হলেন পুলপান্ডিয়ান। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের এই ভিক্ষুক আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল। কারণ? ভিক্ষা করে উপার্জিত টাকাপয়সা তিনি স্থানীয় জেলাশাসক টিজি বিনায়কের হাতে তুলে দিয়েছেন। পুলপান্ডিয়ানের এই ১০ হাজার টাকা তামিলনাড়ুর রাজ্য কোভিড-১৯ ত্রাণ তহবিলে যাবে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে এই সঞ্চিত টাকা রাজ্যের শিক্ষাখাতে খরচের জন্য দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু চোখের সামনে করোনা পরিস্থিতি দেখে মত বদলান।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যেই?
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও চ্যাট চলছে। তার মধ্যেই নগ্ন হলেন এক ব্যক্তি। যা ঘিরে তোলপাড় বিশ্ব। জানা গিয়েছে, দেশের আমলা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জুম ভিডিও কলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। সেই সময়ে ভুলবশত ভিডিও কল অফ না করেই নগ্ন হন এক ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ভিডিও কলে আচমকা ওই ব্যক্তিকে নগ্ন অবস্থায় দেখে মাঝপথেই আলোচনা থামিয়ে দেন বলসোনারো। ব্রাজিলের শিল্পমন্ত্রী পাওলো গুয়েদাস সেই ভিডিও কলে ছিলেন বলসোনারোর ঠিক পাশেই। তিনি জানান, ওই ভদ্রলোক নগ্ন হয়ে স্নান করছিলেন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
অ্যাপল-গুগলের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’
স্মার্টফোনেই মুশকিল আসান। আমাদের আশেপাশে কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন কি না, তা জানতে বিশেষ এক প্রযুক্তি আনল অ্যাপল এবং গুগল। কোনও ব্যক্তি নিজের অজ্ঞাতেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে বা কাছাকাছি গিয়েছেন কি না, তা কনট্যাক্ট ট্রেসিং প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি এই অ্যাপের মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে।
শেষপাত
অবিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন পরিকল্পনায় ছাত্ররা সোম, বুধ আর শুক্রবার স্কুলে আসবে। আর শিক্ষকরা মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি। আর সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকবে না।