Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। তাঁরা চটপট জায়গা বেছে ছিপ ফেলে বসে গেলেন। হেমেন্দ্রকুমারের বঁড়শিতে প্রথম শিকার পড়ল। অনেক খেলিয়ে তিনি ইয়াব্বড় এক কাতলা পাড়ে তুললেন।  তার মধ্যে বাগানের ম্যানেজারবাবু আর গোমস্তা গিয়ে লোকজন ডেকে এনেছেন। তারা ফিতে, দাঁড়িপাল্লা, খাতা, পেন্সিল নিয়ে হাজির। হেমেন্দ্রকুমার ছিপ ছেড়ে দিতেই ম্যানেজারবাবুর লোকরা মাছের লম্বা আর বেড় মাপতে লেগে গেল। লম্বা চার ফুট, বেড় ছত্রিশ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে বারো সের। সব কিছু খাতায় লেখা হল। মাছের নাকে একটা পেতলের নথ পরানো ছিল। তাতে খুদে একটা পেতলের টিকিট। গোমস্তা খাতায় নোট করালেন—  ৭৩ নং। তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাছটাকে ঠেলে ঝুপ করে আবার জলে ফেলে দেওয়া হল। মাছুড়েদের চক্ষুস্থির! 
অন্যদিকে ম্যানেজারবাবু মুখে মুখে হিসেব করলেন— সাড়ে বারোক্কে ছয় আনা হল গিয়ে ছয় বারোং বাহাত্তর আর তিন। মনিব্যাগ খুলে চার টাকা এগারো আনা এগিয়ে দিলেন। সঙ্গে অমায়িক পরামর্শ— ‘বাড়ি যাবার পথে ভালো দেখে একটা কিনে নিয়ে যাবেন, কেমন?’
বাড়িয়ে ধরা টাকার দিকে অতিথিদের ফ্যালফ্যালে দৃষ্টি থেকে পোড় খাওয়া ম্যানেজার আন্দাজ করলেন, কোথাও যেন ভুল হচ্ছে। তাই বোঝাতে দেরি করলেন না। ‘আরে ছি! ছি! কর্তাবাবু বোধহয় বলতে ভুলে গেছেন যে, আমাদের এখানকার নিয়ম, মাছ ধরা হবে, কিন্তু মারা হবে না। আনন্দটা তো ধরাতেই, মারাতে তো আর নয়। আমরা এই খাতায় মাছদের নম্বর দেখে, ওদের বাড়ের একটা হিসাব পাই।’ 
লীলা মজুমদারের ‘খেরোর খাতা’ বইতে এমন অহিংস মাছ ধরার গল্প শুনে ‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’ প্রবাদের সত্যতা নিয়ে কারও মনে সংশয়ের উদ্রেক হওয়া ঠিক নয়। কারণ ছিপে খেলিয়ে মাছ ধরে সেই শিকার বাড়ি নিয়ে এসে সৎকার, মানে ভাজা বা ঝোল রান্নার জন্য হস্তান্তর করার তৃপ্তির আর কোনও জুড়ি নেই বাঙালি মাছ শিকারির কাছে। 
গত শতকের প্রথম দিকের সময়কাল থেকে যতীন্দ্রমোহন দত্ত সেই রকমই এক গল্প শুনিয়েছেন তাঁর যম দত্তের ডায়েরিতে। তবে শেষে সামান্য টুইস্ট যোগ করেন। বিটি রোড ধরে বারাকপুর যাওয়ার পথেই সুখচর গির্জা মোড়ের লাগোয়া এলাকাটা একসময় আলো করে থাকত পাইকপাড়ার সিংহদের রাজবাড়ি। বাড়ি না বলে একটা ছোটখাট শহর বলাই ভালো। সাড়ে তিনশো ঘর নিয়ে তৈরি কমপ্লেক্সের মধ্যে এক বিশাল পুকুর ছিল। সেই পুকুরে প্রতি বছর গুনতি করে নদীর পোনা ছাড়া হতো। রাজারা পরম বৈষ্ণব হওয়ায় নিজেরা মাছ মারতেন না। তবে এলাকার লোকজনকে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হতো। শুধু অনুমতি নয়, বিকেলে মেছোদের রীতিমতো জলখাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। মাছের বাড়-বৃদ্ধির হিসেব করার উদ্দেশ্যে সেখানেও রাজবাড়ির কর্মচারীরা ধরা পড়া মাছ ওজন করে নোট রাখতেন। এখানে অবশ্য মাছ বাড়ি যাওয়ার অনুমতি ছিল। সন্ধের সময় মৎস্য শিকারিরা বাড়ি যাওয়ার সময় ঘটত আসল মজা। যে যত সের মাছ ধরেছে, তাকে তত পোয়া রাজবাড়ির ঘানির খাঁটি সর্ষের তেল দেওয়া হতো মাছ ভাজার জন্য। রাজারা মনে করতেন যে, রাজবাড়ির পুকুরের মাছ ভাজতে সাধারণ তেলের ব্যবহার একদমই উচিত নয়! 
শৌখিন মৎস্য শিকারিদের বঁড়শির বাক্স ছিল এক দেখার মতো জিনিস। ছোট ছোট টিনের খোপে থাকত নানা রকমের বঁড়শি। তিন-চারটি ডালায় ভাগ করা প্রতিটি খোপে টিকিট মারা থাকত—  ‘রুই মাছের বঁড়শি’, ‘পুঁটি মাছের বঁড়শি’ ইত্যাদি।  বঁড়শিরও ছিল নানা আকার ও প্রকারভেদ। যেমন হাতে কাটা বঁড়শি, করাত কাটা বঁড়শি, পান দেওয়া বঁড়শি,  ডাবল পান দেওয়া বঁড়শি ইত্যাদি। কালবোস মাছের বঁড়শি একটু আলাদা রকমের। সেটাতে সাধারণ বঁড়শির মতো কার্ভেচার থাকত না। টোপের আড়ালে বঁড়শি লুকিয়ে রাখা হয়। মাছ টোপ গিলে নিয়েই বঁড়শিতে আটকাবে। তাই টোপ তৈরিতে মাছের পছন্দের খাবার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। সেই জন্য প্রজাতি ভেদে মাছের টোপও তৈরি হতো বিভিন্ন উপকরণ ও অনুপাতে। বলা বাহুল্য, ভালো টোপ তৈরিও ছিল একটি বিশেষ শিল্প।  
বঁড়শির আর টোপের পর মাছের ‘চার’ বা মশলা নিয়ে খানিক বলতেই হয়। ‘চার’ থেকে নির্গত গন্ধের আকর্ষণে মাছ টোপের কাছাকাছি আসে। মেথি, লতাকস্তুরী, জটামানসী, খলভাজার মতো উপাদান থেকে হাঁড়িয়ে মদ, পিঁপড়ের বাসি ডিম ইত্যাদি নানা জিনিস দিয়ে অভিজ্ঞ মেছোরা চার বানাতেন। অবশ্যই সেই ফর্মুলা থাকত টপ সিক্রেট।  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর তিন ভাই— সারদারঞ্জন,  মুক্তিদারঞ্জন ও কুলদারঞ্জনের ছিল মাছ ধরার নেশা। লীলা মজুমদার শুনেছিলেন যে, জলের ওপর বড় জ্যাঠা, অর্থাৎ সারদারঞ্জনের তৈরি একটু ভালো চার ছড়িয়ে দিলেই পুকুরের চারকোনা থেকে মাছ ছুটে আসত। উনি একটি চার বানিয়ে নাম দিয়েছিলেন— ‘ইধার আও’! সেই চারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার আরও একটি চার বানিয়ে নাম দেন— ‘উধর মৎ যাও’!  তবে সারদারঞ্জন ও তাঁর মতো দিগগজ মৎস্য শিকারিরা মনে করতেন যে  মশলা দিয়ে ভুলিয়ে, কি আলো দিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে মাছ ধরা খুব স্পোর্টিং নয়।  
বিখ্যাত রায় পরিবার ছাড়াও মৎস্য শিকারের নেশায় ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য থেকে শচীন দেববর্মণের মতো বহু খ্যাতিমান বাঙালিও ডুবেছিলেন একসময়। এঁরা  দু’জন আবার ছিলেন মাছ ধরার পার্টনার। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীর অসুস্থতার সময় মানসিক স্থৈর্য বজায় রাখতে শচীন কর্তা পেসেন্স খেলার পাশাপাশি মাছ ধরাও সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন। 
তবে মাছ ধরার নেশা যে, একমাত্র বাঙালি বাবুদের একচেটিয়া ছিল, এমন ভাবা ঠিক হবে না। সাহেবরাও রীতিমতো ডুবেছিলেন মাছ ধরার নেশায়। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর শ্বেতাঙ্গ কর্মীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল এই খেলা। মাছ ধরার ক্ষেত্রেও কলকাতা ছিল পুরো ভারতের রাজধানী। ভালো ছিপ, সুতো আর আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের খোঁজে সারা ভারত থেকে এসে সাহেবরা ঢুঁ মারতেন কলকাতার  ডি এন বিশ্বাস অ্যান্ড কোং, রদা অ্যান্ড কোং অথবা ম্যান্টন অ্যান্ড কোং-এর মতো সংস্থায়। শিকারের গুলি বন্দুক যে দোকানে পাওয়া যেত, সেখানেই বিক্রি হতো মাছ ধরার সমস্ত সরঞ্জাম। আসলেই দুটোই যে স্পোর্টস!  
উনিশ শতকে ভারতে শৌখিন মাছ ধরার নানা খবর নিয়ে প্রথম প্রকাশিত বই লিখতে গিয়ে হেনরি সুলেভান টমাসকে বারবার ফিরে আসতে হয়েছে কলকাতার প্রসঙ্গে। টমাস সাহেব কলকাতার নিকটবর্তী এক মাছ ধরার পুকুরের দুর্দান্ত রক্ষণাবেক্ষণ দেখে তার মালিক জনৈক বাবুর খুব প্রশংসা করায় ভদ্রলোক সাহেবকে বুঝিয়েছিলেন যে, বাঙালির স্টেক বা কাটলেট— সব কিছুর উৎসই এই পুকুর। সুতরাং যত্ন তো করতেই হবে!   
গ্রীষ্মের জ্বালাপোড়া শেষে বঙ্গদেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টিপ টিপ, টাপুর টুপুর শুরু হয়ে গেলেই শহর-গ্রাম-মফস্‌স঩লে মাছ শিকারিদের মধ্যে শুরু যায় হয়ে কর্মচাঞ্চল্য। শিয়ালদা বা হাতিবাগানের মতো পুরনো বাজারে মাছ ধরার সরঞ্জামের দোকানগুলি ঝিম ভাব কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়ে নতুন ছিপ, বঁড়শি, সুতো আর নানা উপকরণের খোঁজ খবরের আদানপ্রদানে। আমাদের অজান্তেই আজও প্রকৃতির নিয়মেই এসে পড়ে মাছ শিকারের মরশুম।  
21st  July, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট ১২০ নয়, ৬০ দিন আগে থেকে কাটা যাবে। এই খবর পেয়েই খুশি আম জনতা। অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে এর ফলে ট্রেনের টিকিট একটু হলেও সহজলভ্য হবে। ...

নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে ...

সব্জির বাজারে গিয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়ছে আমজনতার। কাঁচালঙ্কা কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। ডাবল সেঞ্চুরি পার করে আড়াইশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে লঙ্কা। দাম শুনেই ...

শহরের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের দাবি মেনে অবশেষে বেহাল আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কার হচ্ছে। এই কাজের জন্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর থেকে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৩ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭১: কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের মৃত্যু
১৯১৮: চিত্রশিল্পী পরিতোষ সেনের জন্ম
১৯৩১: গ্রামাফোনের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু
১৯৪০: টলিউড অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫০: অভিনেতা ওমপুরীর জন্ম
১৯৫৬: বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম
১৯৬১: প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার গ্ল্যাডস্টোন স্মলের জন্ম
১৯৮০: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৪: বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক শঙ্কু মহারাজের
২০১৮: বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৩ টাকা ৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.০৬ টাকা ১১১.৮৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৯১ টাকা ৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ ১৯/৫ দিবা ১/১৬। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/৩০ দিবা ১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৫/৩৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৭ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৩ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
১ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪। প্রতিপদ দিবা ২/৫৭। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/০। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/১৫ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
১৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির ভোলানাথ নগরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হল ২ জনের, জখম ৪

12:08:36 PM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। তবুও বৃষ্টি চলছে কোথাও ...বিশদ

12:05:12 PM

শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড: ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলছেন কলকাতার সিপি মনোজ ভর্মা

12:03:00 PM

সদগুরুর প্রতিষ্ঠান ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

12:03:00 PM

পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করে, ২০১৫ সালের ধর্মত্যাগের মামলায় রাম রহিমের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

11:59:00 AM

জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে প্রস্তাব পাশ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে, তৎপর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা

11:51:00 AM